বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৩৫ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনোমিক ফোরাম ২০২২ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও উৎপাদনের হাব হওয়ার সম্ভাবনার নিদর্শন বাংলাদেশ ইতিমধ্যে দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  

এতে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ দিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ শক্তিশালী করা এবং উভয়ের জন্য লাভজনক ব্যবসার জন্য বাংলাদেশের যা দরকার সব করবে। সেই সঙ্গে খাদ্য, অর্থায়ন, কানেকটিভিটি, বন্দর, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, মানবসম্পদ খাতেও সংযোগ শক্তিশালী করবে বাংলাদেশ। বিশ্বে একটি বার্তাই বাংলাদেশ পরিষ্কার করে ও জোরালোভাবে বলতে চায় বাংলাদেশ প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের জন্য আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতির প্যাকেজ করেছি। প্রথমে ন্যায়সংগত বাজারে প্রবেশাধিকার করব। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াব, তৃতীয়ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৈদেশিক বিনিয়োগ আনব, চতুর্থ জটিল প্রযুক্তির হস্তান্তর চাই এবং সর্বশেষ বাংলাদেশের পেশাজীবী ও কর্মীদের বিদেশে কর্মের সংস্থান করতে চাই।’

আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, যেকোনো বড় বিনিয়োগের জন্য আমরা এখন প্রস্তুত। ব্যবসা এবং উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ বেশ বড় সম্ভাবনাময়। অর্থনীতির একটি আন্তর্জাতিক বলয় হয়ে ওঠার জন্যও আমাদের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতা এবং দক্ষতা রয়েছে। আইসিটি এবং আইটিইএস ডোমেনে বিশ্বের যেকোনো জায়গার চেয়ে লাভজনক হবে আমাদের দেশ।’ 

‘করোনা মহামারির ঊর্ধ্বমুখী সূচকের সময়ও আমাদের অর্থনীতি পূর্ণভাবে সচল ছিল। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী মহামারি মোকাবিলায় একটি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। একই সঙ্গে অর্থনীতিকেও চাঙা রেখেছে।’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনোমিক ফোরাম ২০২২ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।