পুলিশের অস্ত্রে কী গুলি ব্যবহার, জানতে চায় তদন্ত সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৩: ০৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের যেসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, সেসব অস্ত্রে কী ধরনের গুলি করা হয়েছে, তার ব্যালিস্টিক রিপোর্ট চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একই সঙ্গে এসব অস্ত্র কারা ব্যবহার করেছেন, তাঁদেরও নামের তালিকাও চাওয়া হয়েছে। 

ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) আট মহানগর পুলিশকে এই চিঠি দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। চিঠিতে তদন্ত সংস্থা আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করা সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পরিদর্শক (তদন্ত) এবং গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) থেকে পরিদর্শক পর্যন্ত পদমর্যাদার সদস্যদের তালিকা চেয়েছে। তদন্ত সংস্থা বলেছে, গণহত্যার অভিযোগের সুষ্ঠু ও যথাযথ তদন্তের স্বার্থে এসব কর্মকর্তার তথ্য পাওয়া জরুরি। 

৯ অক্টোবর তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাজহারুল হকের সই করা চিঠিটি আট মহানগর পুলিশে পাঠানো হয়। এর আগে ৬ অক্টোবর তদন্ত সংস্থা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাসহ অপারেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চেয়েছে। 

জানতে চাইলে আজ রোববার ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. ইসরাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার চিঠি ডিএমপিও পেয়েছে। প্রথম চিঠিতে আন্দোলনের সময় অপারেশন বিভাগে কর্মরতদের নাম জানতে চাইলেও দ্বিতীয় চিঠিতে সেই সময় মাঠে থাকা ডিবি পুলিশের সব কর্মকর্তা ও থানাগুলোর ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) এবং তাঁদের ব্যবহার করা অস্ত্রের ব্যালিস্টিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ডিএমপি ইতিমধ্যে তালিকা তৈরি শুরু করেছে। 

গত জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের মন্ত্রী, সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত সংস্থায় জমা পড়েছে। 

তদন্ত সংস্থার ৯ অক্টোবরের চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সাবেক সরকারের সময়ে বিভিন্ন বাহিনী এবং দলীয় সশস্ত্র ব্যক্তিরা ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৭৩-এ করা অভিযোগগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে মহানগর পুলিশের অপরাধ ও অপারেশন বিভাগের কাঠামো এবং ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোতায়েন করা ফোর্সদের নাম-পদবি জানা প্রয়োজন। এ সময় দায়িত্বে থাকা সব থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) ও ডিবিতে কর্মরত উপপরিদর্শক থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং তাঁদের ব্যবহৃত অস্ত্রের ব্যালিস্টিক প্রতিবেদন দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছে তদন্ত সংস্থা। 

ডিএমপিতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত উপকমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার চিঠিতে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এমন পদক্ষেপ অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের কাজে ফেরার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত