মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে। তবে বিশ্ব সংকটের কারণে আমরা একটু বিপদে আছি। তবুও ভয় পাইনি আমরা। দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময় মানিকগঞ্জে কী উন্নয়ন হয়েছে তা আপনারই ভালো জানেন। বিএনপির সময় দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন হয়নি, তাদের পকেটের উন্নয়ন হয়েছে। আর শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াব, কিছুটা কষ্টে আছি, ধৈর্য ধরছি, একটা মানুষও কিন্তু না খেয়ে মারা যায়নি। আমাদের স্টকে খাদ্য আছে, কৃষি আমাদের ভালো। শেখ হাসিনা ১০০ সেতু একদিনে উদ্বোধন করেছেন। আগে মানুষ বাঁচাতে হবে, মেগা মেগা প্রকল্প করব, আর আমার গরিব মানুষ না খেয়ে মরবে, শেখ হাসিনা এই উন্নয়ন চান না।’
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমাবেশের কথা বলে তারা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। দেশে অরাজকতার সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।’
কিছু বিদেশি দূতাবাসের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাঁরা বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি প্রশ্ন করি, আপনাদের দেশে প্রতিদিন কত নারী ধর্ষণের শিকার হয়। তখন মানবাধিকার কোথায় থাকে? আমাদের দেশের পুলিশের ওপর যখন হামলা, হত্যার চেষ্টা করা হয় তখন তারা কি চুপ করে বসে থাকবে।’
ওবায়দুল কাদের জাতিসংঘের সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁরা বড়বড় কথা বলেন। অথচ ফিলিস্তিনে যখন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয় তখন তারা কোথায় থাকে। জাতিসংঘ ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের মতো গরিব দেশকে বিপদে ফেলে।’
বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা একটু বিপদে আছি। বিশ্ব সংকট। তবুও ভয় পাইনি আমরা। দেশে খাবার মজুত আছে। দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন একটু স্লো যাচ্ছি। কারণ আগে মানুষ বাঁচতে হবে। তারপরে বড়-বড় উন্নয়ন। মেগা প্রকল্প করব, আর আমার গরিব মানুষ না খেয়ে মরবে শেখ হাসিনা এই উন্নয়ন চান না।’
বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপির নেতারা নোংরা ভাষায় কথা বলেন। আমরা তা দেখে রাখছি। এর জবাব সময়মতো দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া সম্ভব নয়।’
দলের নেতা কর্মীদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা বসন্তের কোকিল তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আওয়ামী লীগের পদ নিয়ে যারা বাণিজ্য করার চেষ্টা করছেন, তাঁরা সাবধান হয়ে যান।’
আজ বেলা ১টার পর থেকে সম্মেলনস্থলে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে নেতা কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। বেলা আড়াইটার দিকে সভামঞ্চে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে উপস্থিত হন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম এমপি, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি, মমতাজ বেগম এমপি, ঢাকার সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম ও সামছুন নাহার চাপা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনে আগের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ বহাল রেখে তৃণমূলের ভোট ছাড়াই আগামী তিন বছরের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীনকে সভাপতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে। তবে বিশ্ব সংকটের কারণে আমরা একটু বিপদে আছি। তবুও ভয় পাইনি আমরা। দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময় মানিকগঞ্জে কী উন্নয়ন হয়েছে তা আপনারই ভালো জানেন। বিএনপির সময় দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন হয়নি, তাদের পকেটের উন্নয়ন হয়েছে। আর শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াব, কিছুটা কষ্টে আছি, ধৈর্য ধরছি, একটা মানুষও কিন্তু না খেয়ে মারা যায়নি। আমাদের স্টকে খাদ্য আছে, কৃষি আমাদের ভালো। শেখ হাসিনা ১০০ সেতু একদিনে উদ্বোধন করেছেন। আগে মানুষ বাঁচাতে হবে, মেগা মেগা প্রকল্প করব, আর আমার গরিব মানুষ না খেয়ে মরবে, শেখ হাসিনা এই উন্নয়ন চান না।’
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমাবেশের কথা বলে তারা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। দেশে অরাজকতার সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।’
কিছু বিদেশি দূতাবাসের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাঁরা বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি প্রশ্ন করি, আপনাদের দেশে প্রতিদিন কত নারী ধর্ষণের শিকার হয়। তখন মানবাধিকার কোথায় থাকে? আমাদের দেশের পুলিশের ওপর যখন হামলা, হত্যার চেষ্টা করা হয় তখন তারা কি চুপ করে বসে থাকবে।’
ওবায়দুল কাদের জাতিসংঘের সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁরা বড়বড় কথা বলেন। অথচ ফিলিস্তিনে যখন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয় তখন তারা কোথায় থাকে। জাতিসংঘ ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের মতো গরিব দেশকে বিপদে ফেলে।’
বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা একটু বিপদে আছি। বিশ্ব সংকট। তবুও ভয় পাইনি আমরা। দেশে খাবার মজুত আছে। দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন একটু স্লো যাচ্ছি। কারণ আগে মানুষ বাঁচতে হবে। তারপরে বড়-বড় উন্নয়ন। মেগা প্রকল্প করব, আর আমার গরিব মানুষ না খেয়ে মরবে শেখ হাসিনা এই উন্নয়ন চান না।’
বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপির নেতারা নোংরা ভাষায় কথা বলেন। আমরা তা দেখে রাখছি। এর জবাব সময়মতো দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া সম্ভব নয়।’
দলের নেতা কর্মীদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা বসন্তের কোকিল তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আওয়ামী লীগের পদ নিয়ে যারা বাণিজ্য করার চেষ্টা করছেন, তাঁরা সাবধান হয়ে যান।’
আজ বেলা ১টার পর থেকে সম্মেলনস্থলে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে নেতা কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। বেলা আড়াইটার দিকে সভামঞ্চে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে উপস্থিত হন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম এমপি, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি, মমতাজ বেগম এমপি, ঢাকার সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম ও সামছুন নাহার চাপা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনে আগের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ বহাল রেখে তৃণমূলের ভোট ছাড়াই আগামী তিন বছরের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীনকে সভাপতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
১১ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
১১ ঘণ্টা আগে