যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে লিয়াজোঁ ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯: ১৯
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২: ০৪

র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছে বাংলাদেশ। এবার নেলসন মুলিন্স নামে মার্কিন একটি লবি ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।

এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর থেকে কাজ করে যাচ্ছি। মার্কিনদের সঙ্গে সরকার থেকে সরকারে সম্পর্ক বাড়াতে নেলসন মুলিন্স নামে একটি সংস্থাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও গভীর ও বেগবান করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করি।’ 

এটি কি লবিস্ট ফার্ম? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সরকারি পর্যায়ে সম্পর্ক বাড়াতে সহযোগিতা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠান। একে জিআর বা গভর্নমেন্ট রিলেশন ফার্ম বলে।’ 

কত দিনের জন্য নেলসন মুলিন্সকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাসিক ২০ হাজার ডলার করে খরচ হবে।’ 

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় সংসদে জানান, সরকার লবিস্ট নয়, পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছে। বিজিআর নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৪-১৫ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে বানোয়াট তথ্যের বিরুদ্ধে লিখতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। 

বিজিআরকে বাদ দেওয়া হচ্ছে কি না? এর উত্তরে আজ এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘না বিজিআরকে বাদ দিচ্ছি না। বিজিআরের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার কাজ তারা চালিয়ে যাবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয় নিয়ে তথ্য নিয়ে বাংলাদেশে জানাবে।’ 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসনের কাঠামোটি ভিন্ন, যা একটি দূতাবাস বা চার-পাঁচ জন কূটনীতিকের পক্ষে পুরো যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। এটিই দেশটিতে সার্বিকভাবে ব্যবহার করা হয়।’ 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। বাণিজ্য সম্পর্কিত বৈঠকের জন্য ২৫ মে তারিখ ঠিক করা হয়েছে। বৈঠকটি ওয়াশিংটনে হবে। এ বৈঠকগুলোর মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।’ 

মানবাধিকার ও অন্যান্য ইস্যুতে পশ্চিমা চাপ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘কোনো চাপ নেই। বরং যোগাযোগ বাড়ছে। আমরা যে বিষয়টি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে ভুল তথ্য, ভুল বোঝাবুঝি এবং বাংলাদেশ বিরোধী কিছু শক্তি বিষয়গুলো ছড়াচ্ছে। সেগুলো দূর করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত