আগামী শিক্ষাবর্ষের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রমের ঘাটতি পূরণ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২২, ১৬: ৪৯

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার কারণে গত দুই বছরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। হয়তো এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ সম্ভব না। আশা করছি, এই শিক্ষাবর্ষ এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে যেখানে যত ঘাটতি, সব পূরণ করা সম্ভব হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে আজ বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। নতুন করে সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি, তাদের আগামীর দিনগুলো সুন্দর হবে। আগের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

দীপু মনি বলেন, ‘প্রাথমিকের ক্লাসও আজ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিকের ক্লাস আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারব।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলব, তারা যাতে শুরুর দিকের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে কিছু অ্যাসেসমেন্ট করিয়ে নেয়।’

পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি বইগুলো ভালো হবে। চেষ্টা করা হয়েছে বইগুলো ভুলত্রুটি মুক্ত রাখতে। তবে একেবারেই তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের রিভিউ কমিটি আছে, তারা আবার রিভিউ করবে। আগামী দিনে আমাদের পাঠ্যপুস্তক আরও ভালো হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থা চাই, যেখানে তারা আনন্দের সঙ্গে শিখবে।’

এ সময় এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত