এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এই সংস্থা হবে পুলিশ বাহিনী থেকে স্বতন্ত্র একটি কাঠামো।
প্রস্তাব অনুযায়ী, পুলিশের বদলে মামলার তদন্ত করবেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা। তদন্তকাজ তদারক করবেন সংশ্লিষ্ট অ্যাটর্নি বা প্রসিকিউটর। অর্থাৎ ফৌজদারি মামলা তদন্তের ভার আর পুলিশের কাছে থাকবে না। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের এই প্রস্তাবসংবলিত সুপারিশ আইন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। পুলিশ বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলছে, ফৌজদারি মামলায় আসামির সাজা নির্ভর করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর। তবে এই তদন্তে কখনো কখনো পক্ষপাত, অসম্পূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ ও দুর্বলতার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এসব কারণে কখনো কখনো প্রকৃত আসামির সাজা হয় না, নির্দোষ ব্যক্তি ফেঁসেও যান। তাই তদন্তের ক্ষমতা পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে পৃথক তদন্ত সংস্থাকে দিলে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত হবে। এতে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি কমবে, প্রকৃত আসামিদের সাজা হবে, নির্দোষ মানুষ ফাঁসবে না এবং তদন্তে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে।
সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের বিষয়ে মন্তব্য জানতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। মন্তব্য জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চাকরিতে থেকে সরকারি কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেউ মতামত দিতে পারেন না। এসব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ জমা দেয়। ওই সুপারিশে পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস করার প্রস্তাবও রয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশে বিরোধী পক্ষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা এবং পুলিশকে ব্যবহারের মাধ্যমে হেনস্তার ঘটনা অহরহ ঘটে। এর ওপর রয়েছে পুলিশের কিছুসংখ্যক সদস্যের দুর্নীতি; যা রোধের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, তদন্ত সংস্থায় নিয়োজিত জনবল পুলিশ বাহিনী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। তাঁদের নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলি, নিয়ন্ত্রণ, বাজেট, অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক বিষয় একটি স্বতন্ত্র সংগঠন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোভুক্ত হবে। মামলা হওয়ার পরই কেবল তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করবে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে এবং ঘটনার জটিলতা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ আনুষ্ঠানিক মামলা করার আগেও সম্ভাব্য তদন্তের অংশ হিসেবে তদন্ত সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে। তদন্ত শুরুর প্রথম পর্যায় থেকেই তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অ্যাটর্নি বা প্রসিকিউটরের তদারকিতে তদন্তকাজ চালাবেন। পুলিশ বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার কাজের সুনির্দিষ্ট বিভাজন থাকবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন এবং যথাযথ বিধানসংবলিত নতুন আইন তৈরি করতে হবে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ এখন প্রভাবের কারণে, অন্যান্য পেশাগত দায়িত্বে বেশি ব্যস্ততার কারণে ঠিকঠাক তদন্ত করতে পারে না। ফৌজদারি মামলার গতিপ্রকৃতি ও ফলাফল প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভরশীল। তদন্ত কর্মকর্তা সৎ, সাহসী, দক্ষ ও পেশাদার না হলে তদন্ত প্রতিবেদনে নানা দুর্বলতা থেকে যায়। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তো অনেক পুরোনো। এতে প্রকৃত আসামি পার পেতে পারেন, নির্দোষ ব্যক্তি ফেঁসে যেতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়েও তদন্ত শেষ হয় না। তদন্তে সমস্যার কারণে আসামি সুবিধা পান। তিনি বলেন, পৃথক তদন্ত সংস্থা হলে তারা প্রসিকিউশন সার্ভিসের সঙ্গে মিলে তদন্ত করবে। এতে তদন্তের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রতিফলিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। পেশাগত দক্ষতাও বাড়বে।
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মামলার তদন্তকাজ চলাকালে সরকারি প্রসিকিউটরের তদন্ত তদারকির সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সমন্বয়ের অভাবে অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যান। প্রচলিত তদন্তব্যবস্থা এবং তাতে নিয়োজিত জনবলকে সুসংগঠিত করার মাধ্যমে বিচারব্যবস্থায় তদন্তপ্রক্রিয়ার যথাযথ ভূমিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র, কার্যকর, দক্ষ, নির্ভরযোগ্য, জনবান্ধব এবং প্রভাবমুক্ত তদন্ত সংস্থা গঠন প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি খুব যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে, তাদেরই তদন্তের দায়িত্ব দিলে মামলা প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ থাকে। এ জন্য তাঁরা স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার কথা বিভিন্ন সময় বলেছেন। তিনি বলেন, শুধু স্বতন্ত্র সংস্থা করলেই হবে না; সততা, যোগ্যতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সংস্থার কেউ প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদন দিলে তাঁর বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় নয়, ফৌজদারি অপরাধও আমলে নিতে হবে। সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এটি হলে বিচারও দ্রুত হবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সংস্থা বিচারপ্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা বাড়াবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ থেকে তদন্তকারী সংস্থাকে আলাদা করলে তদন্তপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অবহেলা ও অসদাচরণ কমবে।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানই করুক তদন্তে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না হয়। স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে যেন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করতে পারে। আর স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে করার জন্য তার দায়বদ্ধতার জায়গায় থাকতে হবে। আজ পর্যন্ত যত বড় বড় মামলা দেখি, বিশেষ করে রাজনৈতিক বিষয় থাকে, রাষ্ট্রীয় বিষয় থাকে, তখন সরকার হস্তক্ষেপ করে। এ পর্যন্ত যত বড় বড় মামলা ছিল সবগুলোতেই সরকার হস্তক্ষপে করেছে। এভাবে হস্তক্ষেপ করলে কোনো প্রতিষ্ঠানই সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারবে না।’
তানিম হোসেইন শাওন বলেন, সব দেশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যারা থাকে, তারা তদন্ত করে না। তদন্তের জন্য পৃথক সংস্থা থাকে। বিভিন্ন মহল এমনকি পুলিশের যাঁরা সঠিকভাবে তদন্ত করতে চান, তাঁদেরও দাবি ছিল পৃথক সংস্থার।
ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এই সংস্থা হবে পুলিশ বাহিনী থেকে স্বতন্ত্র একটি কাঠামো।
প্রস্তাব অনুযায়ী, পুলিশের বদলে মামলার তদন্ত করবেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা। তদন্তকাজ তদারক করবেন সংশ্লিষ্ট অ্যাটর্নি বা প্রসিকিউটর। অর্থাৎ ফৌজদারি মামলা তদন্তের ভার আর পুলিশের কাছে থাকবে না। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের এই প্রস্তাবসংবলিত সুপারিশ আইন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। পুলিশ বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলছে, ফৌজদারি মামলায় আসামির সাজা নির্ভর করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর। তবে এই তদন্তে কখনো কখনো পক্ষপাত, অসম্পূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ ও দুর্বলতার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এসব কারণে কখনো কখনো প্রকৃত আসামির সাজা হয় না, নির্দোষ ব্যক্তি ফেঁসেও যান। তাই তদন্তের ক্ষমতা পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে পৃথক তদন্ত সংস্থাকে দিলে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত হবে। এতে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি কমবে, প্রকৃত আসামিদের সাজা হবে, নির্দোষ মানুষ ফাঁসবে না এবং তদন্তে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে।
সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের বিষয়ে মন্তব্য জানতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। মন্তব্য জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চাকরিতে থেকে সরকারি কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেউ মতামত দিতে পারেন না। এসব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ জমা দেয়। ওই সুপারিশে পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস করার প্রস্তাবও রয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশে বিরোধী পক্ষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা এবং পুলিশকে ব্যবহারের মাধ্যমে হেনস্তার ঘটনা অহরহ ঘটে। এর ওপর রয়েছে পুলিশের কিছুসংখ্যক সদস্যের দুর্নীতি; যা রোধের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, তদন্ত সংস্থায় নিয়োজিত জনবল পুলিশ বাহিনী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। তাঁদের নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলি, নিয়ন্ত্রণ, বাজেট, অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক বিষয় একটি স্বতন্ত্র সংগঠন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোভুক্ত হবে। মামলা হওয়ার পরই কেবল তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করবে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে এবং ঘটনার জটিলতা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ আনুষ্ঠানিক মামলা করার আগেও সম্ভাব্য তদন্তের অংশ হিসেবে তদন্ত সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে। তদন্ত শুরুর প্রথম পর্যায় থেকেই তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অ্যাটর্নি বা প্রসিকিউটরের তদারকিতে তদন্তকাজ চালাবেন। পুলিশ বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার কাজের সুনির্দিষ্ট বিভাজন থাকবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন এবং যথাযথ বিধানসংবলিত নতুন আইন তৈরি করতে হবে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ এখন প্রভাবের কারণে, অন্যান্য পেশাগত দায়িত্বে বেশি ব্যস্ততার কারণে ঠিকঠাক তদন্ত করতে পারে না। ফৌজদারি মামলার গতিপ্রকৃতি ও ফলাফল প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভরশীল। তদন্ত কর্মকর্তা সৎ, সাহসী, দক্ষ ও পেশাদার না হলে তদন্ত প্রতিবেদনে নানা দুর্বলতা থেকে যায়। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তো অনেক পুরোনো। এতে প্রকৃত আসামি পার পেতে পারেন, নির্দোষ ব্যক্তি ফেঁসে যেতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়েও তদন্ত শেষ হয় না। তদন্তে সমস্যার কারণে আসামি সুবিধা পান। তিনি বলেন, পৃথক তদন্ত সংস্থা হলে তারা প্রসিকিউশন সার্ভিসের সঙ্গে মিলে তদন্ত করবে। এতে তদন্তের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রতিফলিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। পেশাগত দক্ষতাও বাড়বে।
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মামলার তদন্তকাজ চলাকালে সরকারি প্রসিকিউটরের তদন্ত তদারকির সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সমন্বয়ের অভাবে অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যান। প্রচলিত তদন্তব্যবস্থা এবং তাতে নিয়োজিত জনবলকে সুসংগঠিত করার মাধ্যমে বিচারব্যবস্থায় তদন্তপ্রক্রিয়ার যথাযথ ভূমিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র, কার্যকর, দক্ষ, নির্ভরযোগ্য, জনবান্ধব এবং প্রভাবমুক্ত তদন্ত সংস্থা গঠন প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি খুব যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে, তাদেরই তদন্তের দায়িত্ব দিলে মামলা প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ থাকে। এ জন্য তাঁরা স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার কথা বিভিন্ন সময় বলেছেন। তিনি বলেন, শুধু স্বতন্ত্র সংস্থা করলেই হবে না; সততা, যোগ্যতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সংস্থার কেউ প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদন দিলে তাঁর বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় নয়, ফৌজদারি অপরাধও আমলে নিতে হবে। সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এটি হলে বিচারও দ্রুত হবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সংস্থা বিচারপ্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা বাড়াবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ থেকে তদন্তকারী সংস্থাকে আলাদা করলে তদন্তপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অবহেলা ও অসদাচরণ কমবে।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানই করুক তদন্তে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না হয়। স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে যেন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করতে পারে। আর স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে করার জন্য তার দায়বদ্ধতার জায়গায় থাকতে হবে। আজ পর্যন্ত যত বড় বড় মামলা দেখি, বিশেষ করে রাজনৈতিক বিষয় থাকে, রাষ্ট্রীয় বিষয় থাকে, তখন সরকার হস্তক্ষেপ করে। এ পর্যন্ত যত বড় বড় মামলা ছিল সবগুলোতেই সরকার হস্তক্ষপে করেছে। এভাবে হস্তক্ষেপ করলে কোনো প্রতিষ্ঠানই সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারবে না।’
তানিম হোসেইন শাওন বলেন, সব দেশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যারা থাকে, তারা তদন্ত করে না। তদন্তের জন্য পৃথক সংস্থা থাকে। বিভিন্ন মহল এমনকি পুলিশের যাঁরা সঠিকভাবে তদন্ত করতে চান, তাঁদেরও দাবি ছিল পৃথক সংস্থার।
উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি, কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের প্রতিবাদে আগামী ৩ জানুয়ারি ঢাকায় খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
৪২ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের আলোকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ
১ ঘণ্টা আগেগণমাধ্যমের সুরক্ষায় আলাদা আইন তৈরির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সংস্কার কমিশন। আজ রোববার সকালে জাতিসংঘের স্পেশাল ব্ল্যাপোর্টিয়ার অন ফ্রিডম অব ওপিনিয়ন অ্যান্ড এক্সপ্রেশন আইরিন খানের সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়ের সময় কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ এ কথা বলেন
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে। এই উপলক্ষে আজ রোববার দুপুরে বাংলামোটরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে