Ajker Patrika

উপদেষ্টা-সচিবদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

জরুরি কারণ ছাড়া বিদেশভ্রমণে পিএস-এপিএসদের নেওয়া যাবে না

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশভ্রমণের সময় জরুরি কারণ ছাড়া উপদেষ্টা ও সচিবদের একান্ত সচিব (পিএস) এবং সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) সহযাত্রী হিসেবে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। গত ১৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সব সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অপরিহার্য বা অতি জরুরি কারণ ব্যতীত উপদেষ্টা বা সচিবদের একান্ত সচিব বা সহকারী একান্ত সচিবদের সহযাত্রী হিসেবে বিদেশভ্রমণ পরিহার করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সরকারের খরচ কমানো এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে চলতি অর্থবছরের শুরুতে অর্থ বিভাগ থেকে বিদেশভ্রমণ নিরুৎসাহিত করে সার্কুলার জারি করা হয়।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। সেখানে সাধারণভাবে বিদেশভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়।

পরিপত্রে বছরের সম্ভাব্য বিদেশভ্রমণের তালিকা জানিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছিল, বিদেশভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডেটাবেজ তৈরি করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার অফিস এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে। সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশভ্রমণ পরিহার করবেন।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছিল, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করবেন। তবে জাতীয় স্বার্থে এমন ভ্রমণ অপরিহার্য হলে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীন অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানেরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশভ্রমণে যাবেন না। বিদেশে অনুষ্ঠিতব্য সেমিনার বা ওয়ার্কশপে অংশ নিতে উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন, আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সেসব তথ্য উল্লেখ করবে।

এ ছাড়া বিদেশভ্রমণের প্রস্তাবে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা ও প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ওই কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে। কেনাকাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপ্ট্যান্স টেস্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে শুধু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করতে হবে বলে পরিপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

পরিপত্রে বলা হয়েছিল, সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে। সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে বিনোদনভ্রমণ পরিহার করবেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ছুটিতে যাওয়া পরিহার করবেন। বিদেশভ্রমণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার আগের এক বছরের বিদেশভ্রমণ বৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত