সার্চ কমিটিতে কে বা কারা নাম দিয়েছে জানতে চায় সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৭
Thumbnail image

সার্চ কমিটিকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করে অভিজ্ঞ, সৎ, সাহসী ও সুনামের অধিকারী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা দাবি করেন, কোন দল কার নাম দিয়েছে সেটা প্রকাশ করা উচিত। এতে নির্বাচন সম্পর্কে দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যাবে। 

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জনাব দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন সুজনের সহসম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক, প্রফেসর সিকান্দার খান, জনাব সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ড. শাহনাজ হুদা ও রোবায়েত ফেরদৌস। 
 
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইনে নির্দেশিত ‘স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করার’ এ বিধানের কার্যকারিতা প্রদানের লক্ষ্যে অনুসন্ধান কমিটিকে যথাযথ কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করা আবশ্যক। ২০১৭ সালের অনুসন্ধান কমিটি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে কি না, সে ব্যাপারেও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। তাই কমিটিকে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রদর্শনের জন্য কমিটির কার্যপদ্ধতি অবিলম্বে জনগণকে অবহিত করা প্রয়োজন। 

নির্বাহী সদস্য শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশে যেন একটা ভালো নির্বাচন হয়। আর এর প্রথম ধাপ হিসেবে ভালো নির্বাচন কমিশন যেন হয়। এখন পর্যন্ত কমিটি যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা আগের তুলনায় ভালো, কিন্তু শুধু নাম প্রকাশ না করে কোন দল কার নাম দিয়েছে সেটাও প্রকাশ করা উচিত। এতে করে নির্বাচন সম্পর্কে দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যাবে। 
 
সংগঠনের আরেক নির্বাহী সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংবিধানে বলা আছে জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। কিন্তু দুটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে এই অধিকার খর্ব করা হয়েছে। জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। 

জাকির হোসেন বলেন, ‘৩১৫ জনের নাম প্রকাশ করায় কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই। এখন শর্ট লিস্ট করা ৫০ জনের নাম দ্রুত প্রকাশ করার এবং চূড়ান্ত সুপারিশ করা ১০ জনের নাম প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, অনুসন্ধান কমিটিকে সিরিয়াস মনে হচ্ছে না। প্রকাশিত নামের তালিকায় নামের বানান ভুল, পদবি ভুল, একই নাম কয়েকবার ইত্যাদি দেখা গেছে। এগুলো তাদের এই কাজের সিরিয়াসনেসকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কমিটিকে আস্থা অর্জন করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো, সংবিধান পরিবর্তনের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করবেন না এমন বিধান যুক্ত করতে হবে। 

এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, বিবেচনাধীন ব্যক্তিদের পরিচয়, প্রস্তাবক ইত্যাদি জানাতে হবে। তাহলে স্বচ্ছতার পথে অগ্রগতি হয়েছে বলা যাবে। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থাটা নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সে বিষয়ে কিছু হবে কি না সন্দেহ আছে। একটা ভালো নির্বাচন কমিশন অন্তত হোক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত