Ajker Patrika

বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের হাতে, গণফোরামের মোকাব্বিরের ওয়াকআউট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের হাতে, গণফোরামের মোকাব্বিরের ওয়াকআউট

বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা সংক্রান্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল পাসের প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদে বিলের সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজের দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাহার করে ওয়াকআউট করেন তিনি। 

বিলের সংশোধনী দিয়ে মোকাব্বির খান বলেন, ‘বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বাড়লে সবকিছুর ওপর এর প্রভাব পড়ে। কিন্তু এতে সরকারের কিছু যায় আসে না। গণতান্ত্রিক সরকার আর ইনডেমনিটি, কালো আইন একসঙ্গে যায় না। মানুষের ওপর আস্থা হারালে সরকার কালো আইন করে।’ 

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার কি জনগণের আস্থা হারিয়ে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এই আইন করছে? এই আইনের একমাত্র উদ্দেশ্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো। 

তিনি বলেন, তাঁর জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী গ্রহণ করেননি। এই বিলটি জনস্বার্থবিরোধী। তাই তিনি নিজের সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন এবং জনস্বার্থে এই বিলের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করছেন। 

মোকাব্বির খান বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ দিশেহারা। সামনে রমজান। এর আগে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে মানুষের কষ্ট বেড়ে যাবে।’ 

সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে জানিয়ে মোকাব্বির খান বলেন, এই আইনটি কালো আইন। বিদ্যুৎ খাতে দুরবস্থার কারণ লুটপাট আর দুর্নীতি। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের অরাজকতা আর লুটপাট নিয়ে কথা বললে সরকারের গায়ে লাগে। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিলে কী হবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা আছে, তিনি করতে পারেন। 

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, পানির ট্যাংকের নিচে ফুটা থাকলে কখনোই তা ভরাট করা যাবে না। যত দিন পর্যন্ত রেন্টাল, কুইক রেন্টাল থাকবে তত দিন এখানে লস থাকবে। সাবসিডিটা কি। মন্ত্রী এক্সপ্লেইন করবেন। ভর্তুকির নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই টাকা দিয়ে প্রাইভেট পাওয়ার প্ল্যান্টকে সেখানে পেমেন্ট করে। 

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ঢাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকে না। সকাল থেকে তিনটা চারটা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়। 

বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতে যে সাবসিডি সেটা মূলত জনগণের প্রতি ইনভেস্টমেন্ট। কুইক রেন্টাল ব্যবস্থা ছিল স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা। 

ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ১০ বছরের জন্য একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হলে সেখানে থাকুন বা না থাকুন ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। এমন বলা যাবে না যে কয়দিন থাকবেন সে কয়দিনের ভাড়া দেবেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সময় বিদ্যুতের সিস্টেম লস ছিল ৪৪ শতাংশ। তার অর্ধেকই চুরি হতো। এখন সিস্টেম লস ৬-৭ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত