হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ৩৭
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ২৮

গণতন্ত্রের মানসপুত্র, অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানানো হয়েছে। আজ বুধবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্ব বাঙালির বিপ্লবী কবি মুহম্মদ আবদুল খালেকসহ বক্তারা এ দাবি জানান। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতি পরিষদ এ আলোচনার আয়োজন করে। 

এর আগে বুধবার সকালে রাজধানীর দোয়েল চত্বরের `তিন নেতার মাজারে' সোহরাওয়ার্দীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সংগঠনটি। 

আলোচনা সভায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের এই দিনে আওয়ামি লীগের পক্ষ থেকে বড় কোনো আয়োজন না করায় আমি আশাহত হয়েছি। আমরা চাই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলাসহ বড় নেতাদের পরিবারের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হোক। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আমাদের সবার দায়িত্ব। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মবার্ষিকী পালনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই। 

বিশ্ব বাঙালির বিপ্লবী কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন। তাঁদের জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন সময়ের দাবি। আজকের এই দিনে আমি এসব দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ব্যবস্থা করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই। 

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে হবে, যাতে করে আমাদের সন্তানেরা এসব মেধাবী মানুষের জীবনী পাঠ করে তাঁদের মতো মেধাবী এবং ভালো সংগঠক হতে পারে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো মানুষের জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা দরকার। আমি সরকারের কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই। 

বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর মফিজুল হক সরকার (অব.) বলেন, রাজনীতিতে দুইটা ধারা রয়েছে—একটা হলো প্রতিক্রিয়াশীল, অন্যটা প্রগতিশীল। যারা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে, তারা হলো প্রতিক্রিয়াশীল। বেশি ডান ও বেশি বাম দুটোই প্রতিক্রিয়াশীল। উনি (সোহরাওয়ার্দী) ছিলেন একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা। জাতির পিতা ছিলেন ওনারই একজন শিষ্য। বঙ্গবন্ধু তাঁর চিকিৎসাসহ সব খোঁজখবর রাখতেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মা ছিলেন একজন উর্দুভাষী। কিন্তু ওনার (সোহরাওয়ার্দীর) বাংলা এবং বাঙালির জন্য অনেক দরদ ছিল। তাই নিজ উদ্যোগে বাংলা ভাষা শিখেছেন। 

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় স্বাধীনতা পরিষদের মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত