হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল ৮ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৩১
Thumbnail image

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

বিকেলে জিয়াউল আহসানকে আদালতে হাজির করে নিউমার্কেট থানা–পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আট দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। 

নিউমার্কেট থানার যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে সেই মামলাটি দায়ের করেছেন মোসাম্মৎ আয়শা বেগম। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার বিক্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বিভিন্ন সহিংসতা ঘটে। ওই দিন বিকেল আনুমানিক পৌনে ৬টার সময় নিউমার্কেট এলাকার মিরপুর রোডের টিসার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে বাদীর ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান আলী পড়েছিলেন। 

স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে নেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা শাহজাহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহজাহান নিউমার্কেট এলাকার বনানী সিনেমা হলের পাশে দোকানে কাজ করতেন।

হকার শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর মা আয়েশা বেগম বাদী হয় নিউমার্কেট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত হকার শাহজাহানের মা নিউমার্কেট থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন সেই মামলায় উল্লেখ আছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে জামায়াত–শিবির ও বিএনপির কর্মীরা তাঁর ছেলেকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। 

এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই নেতা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সাবেক আইনমন্ত্রীকে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) শীর্ষ পদগুলোতে বড় রদবদল আনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এতে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার হয়। 

জিয়াউল আহসান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন দুই তারকা (টু স্টার) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন। 

মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।  

জিয়াউল আহসান মেজর থাকাকালীন ২০০৯ সালে র‍্যাব-২-এর সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান। একই বছর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক নিযুক্ত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত