দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেশি যে দুই বিভাগে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৪, ২১: ৪১
Thumbnail image

গত বছর কাজের জন্য ১৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিদেশে গেছেন। বিদেশ গমনেচ্ছুকদের প্রায় ৫২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশই অভিবাসন খরচের টাকা দালালদের হাতে তুলে দেন। আর দালাল ধরে বিদেশ যাওয়ার এই প্রবণতা শহরাঞ্চলের (৪৮.২৫ শতাংশ) তুলনায় গ্রামাঞ্চলে (৫৩.১০ শতাংশ) বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘রিপোর্ট অন সোশিও–ইকোনমিক অ্যান্ড ডেমোগ্রাফিক সার্ভে ২০২৩’–এ বলা হয়েছে, রংপুর ছাড়া বেশির ভাগ বিভাগে অভিবাসনের জন্য দালালদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। রংপুরে সর্বোচ্চ ৫৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অভিবাসন খরচ দিয়েছে।

জরিপে চাকরি বা বসবাসের জন্য বিদেশে যাওয়াকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যেসব ব্যক্তি নিজ দেশ ছেড়ে গন্তব্য দেশে ন্যূনতম ছয় মাসের জন্য থাকেন, তাঁদের আন্তর্জাতিক অভিবাসী বলা হয়।

জরিপ অনুসারে, সিলেট বিভাগের অভিবাসীরা বিদেশ গমনে সবচেয়ে বেশি দালাল ধরেন। এই বিভাগের মোট অভিবাসীর ৫৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ বিদেশে গেছেন দালালের মাধ্যমে। এর পরেই ময়মনসিংহ (৫৭.৪৪ শতাংশ) বিভাগের অবস্থান। শুধু বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এ হার ৫০ শতাংশের কম। বরিশালে দালালের মাধ্যমে বিদেশে গেছেন ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ অভিবাসী এবং খুলনায় এ হার ৪৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। 

জরিপে উঠে এসেছে, বেশির ভাগ অভিবাসীর (৫৩.৯১ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পাস। ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ অভিবাসী এসএসসি বা সমমান এবং ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ অভিবাসী এইচএসসি বা সমমান পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের বড় একটি অংশই ঋণ করে অভিবাসন খরচ মেটান। 

জরিপে দেখা গেছে, সৌদি আরবে (৩৪.৬৩ শতাংশ) যাওয়া কর্মীরা প্রত্যেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন। একইভাবে মালয়েশিয়া (৪২.৩০ শতাংশ) ও বাহরাইনে (৩৮.১০ শতাংশ) যাওয়া অভিবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা করে খরচ করেছেন। যাঁরা ইতালিতে (৫৩.১২ শতাংশ) অভিবাসী হয়েছেন, তাঁরা জনপ্রতি ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন। আর যুক্তরাজ্যে (৩১.২১ শতাংশ) অভিবাসন খরচ ৫ লাখ টাকার বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত