মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই লক্ষ্যে ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ এর অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ’ প্রকল্প তৈরি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এদিকে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার ২০২১ সালে এ প্রকল্প নিয়েছিল।
প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ইয়াকুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত করা হয়েছে।’
কী কারণে বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নেই মনে করেছে, তাই বন্ধ করা হয়েছে।
গত জুলাই মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে নামে। মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী আন্দোলন রূপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদ এবং ২ হাজার ১৭৩ জন আহত হয়েছেন।
১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাসের দলিল তৈরি ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রস্তাব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রস্তাবটি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনও হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সচিব ড. কাইয়ুম আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ও দেশবাসীর চাহিদার ভিত্তিতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি প্রকল্প দুটির বিষয়ে আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং মুক্তিযুদ্ধের দলিল সংগ্রহের পুরোনো প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জুলাই অভ্যুত্থান প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণের জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। প্রকল্পটিতে ভ্রমণ খাতসহ বেশ কিছু খাতে ব্যয় কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য ব্যয় যৌক্তিক করার জন্য একটি কমিটি করার কথা বলা হয়েছে।
সূত্র জানান, প্রকল্পটিতে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয় বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা, বই ও জার্নাল কেনায় ১০ লাখ টাকা, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ব্যয় ১৫ লাখ, পেট্রল-অয়েল ও লুব্রিকেন্ট ব্যয় ৫ লাখ এবং ভ্রমণ ব্যয় ৩০ লাখ টাকা রাখার জন্য বলা হয়েছে। অফিস সামগ্রীর মধ্যে কম্পিউটারের জন্য ৫ লাখ টাকা, পরামর্শক ফির জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সম্মানী বাবদ ২০ লাখ টাকা, অনুষ্ঠান বা উৎসব খাতে ১০ লাখ এবং সাধারণ থোক হিসাবে ১০ লাখ টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ এর সমন্বয়ক, ছাত্রনেতা, আহত ছাত্র-জনতা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক ৩০০টি ডকুমেন্টারির ব্যয় এবং বিশেষায়িত ফিল্ম মিউজিয়াম তৈরির খরচ প্রকল্পে রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক আবদুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমি দায়িত্ব পালন করছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে (মুক্তিযুদ্ধের) প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। নতুন করে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এর অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহের কাজ করতে বলা হয়েছে।’
জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব ইসরাত চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ এর অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ প্রকল্প শুরু এবং মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ প্রকল্প বন্ধ—দুটির কোনোটিই আমাদের জানা নেই। তবে নতুন প্রকল্প শুরু হওয়ার পর আমাদের জানানো হতে পারে।’
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই লক্ষ্যে ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ এর অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ’ প্রকল্প তৈরি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এদিকে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার ২০২১ সালে এ প্রকল্প নিয়েছিল।
প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ইয়াকুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত করা হয়েছে।’
কী কারণে বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নেই মনে করেছে, তাই বন্ধ করা হয়েছে।
গত জুলাই মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে নামে। মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী আন্দোলন রূপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদ এবং ২ হাজার ১৭৩ জন আহত হয়েছেন।
১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাসের দলিল তৈরি ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রস্তাব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রস্তাবটি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনও হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সচিব ড. কাইয়ুম আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ও দেশবাসীর চাহিদার ভিত্তিতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি প্রকল্প দুটির বিষয়ে আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং মুক্তিযুদ্ধের দলিল সংগ্রহের পুরোনো প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জুলাই অভ্যুত্থান প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণের জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। প্রকল্পটিতে ভ্রমণ খাতসহ বেশ কিছু খাতে ব্যয় কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য ব্যয় যৌক্তিক করার জন্য একটি কমিটি করার কথা বলা হয়েছে।
সূত্র জানান, প্রকল্পটিতে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয় বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা, বই ও জার্নাল কেনায় ১০ লাখ টাকা, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ব্যয় ১৫ লাখ, পেট্রল-অয়েল ও লুব্রিকেন্ট ব্যয় ৫ লাখ এবং ভ্রমণ ব্যয় ৩০ লাখ টাকা রাখার জন্য বলা হয়েছে। অফিস সামগ্রীর মধ্যে কম্পিউটারের জন্য ৫ লাখ টাকা, পরামর্শক ফির জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সম্মানী বাবদ ২০ লাখ টাকা, অনুষ্ঠান বা উৎসব খাতে ১০ লাখ এবং সাধারণ থোক হিসাবে ১০ লাখ টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ এর সমন্বয়ক, ছাত্রনেতা, আহত ছাত্র-জনতা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক ৩০০টি ডকুমেন্টারির ব্যয় এবং বিশেষায়িত ফিল্ম মিউজিয়াম তৈরির খরচ প্রকল্পে রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক আবদুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমি দায়িত্ব পালন করছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে (মুক্তিযুদ্ধের) প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। নতুন করে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এর অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহের কাজ করতে বলা হয়েছে।’
জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব ইসরাত চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ এর অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ প্রকল্প শুরু এবং মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ প্রকল্প বন্ধ—দুটির কোনোটিই আমাদের জানা নেই। তবে নতুন প্রকল্প শুরু হওয়ার পর আমাদের জানানো হতে পারে।’
নাড়ির টানে ঈদ করতে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পানে যাচ্ছে মানুষ। গতকাল শনিবার পর্যন্ত এবারের ঈদযাত্রায় তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি মানুষকে। সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে স্বস্তির যাত্রা ঈদ উৎসবে বাড়িমুখী মানুষের জন্য বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভোলা ও চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে রোববার ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। আগামীকাল রোববার সকালে ওই সব এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগেভয়াবহ ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজ পরিচালনা, জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল। আগামীকাল রোববার বিশেষ বিমানে দলটি সেখানে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটিতে আগামীকাল রোববার উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট এ তথ্য জানিয়েছে। চাঁদ দেখা কমিটির পর্যবেক্ষণের পর আজ শনিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আগামীকাল রোববার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন ঘোষণা করে।
৪ ঘণ্টা আগে