Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় রিমালে উপকূলের ৩২ লাখ শিশু ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ২২: ০৯
ঘূর্ণিঝড় রিমালে উপকূলের ৩২ লাখ শিশু ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ৮৪ লাখের বেশি মানুষ স্বাস্থ্য, পুষ্টি, স্যানিটেশন ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ লাখ শিশু। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

এমন সংকটের সময়ে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু ও তাদের পরিবারের কাছে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। শেলডন ইয়েট বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে ভোলা, পটুয়াখালী ও বাগেরহাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার অনেক উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ইউনিসেফ শুরু থেকেই মাঠে রয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রাথমিক সতর্কতামূলক প্রচারণা ও প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে সর্বাত্মক সহায়তা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটি ও আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণের জন্য ইউনিসেফ দেশব্যাপী ৩৫টি গুদামে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জেরিক্যান, মোবাইল টয়লেট, স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) ও পরিবারের জন্য উপযোগী (ফ্যামিলি) কিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী মজুত করে রেখেছে।’

এ ছাড়া, ইউনিসেফের দুটি সেবা প্রদানকারী দল (র‍্যাপিড রেসপন্স টিম) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রাথমিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউনিসেফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে সব খাতে মেয়ে, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত অর্থায়নের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইউনিসেফ সরকার ও অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, ‘এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের সহায়তা করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত