কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ১০
Thumbnail image
কবি হেলাল হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

‘যে জলে আগুন জ্বলে’র কবি হেলাল হাফিজ আর নেই। আজ শুক্রবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।

কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা আগামীকাল বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। কবির পরিবারের পক্ষ থেকে এটি জানানো হয়।

কবিকে দেখভাল করার দায়িত্বে ছিলেন রুপম রোদ্দুর। তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব কবির দায়িত্ব নিয়েছেন। সেখানে প্রথম জানাজা হবে বাদ জোহর। এরপরে বাংলা একাডেমিতে দ্বিতীয় জানাজা হবে। পরে তাঁকে নেত্রকোনায় নেওয়া হবে নাকি ঢাকায় দাফন করা হবে— সেটা তাঁর ভাই ঢাকায় পৌঁছানোর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে কবি হেলাল হাফিজ মারা যান। ঢাকার শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেলের ওয়াশরুমে পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। হোস্টেলের অন্য সদস্যরা কবিকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কবির খুব ঘনিষ্ঠ কবি ইসমাত শিল্পী বলেন, ‘উনি বলতেন আমি যেদিন যাব কাউকে জানাবি না। আমি জানতাম উনি আমাকে জানাবেন না। উনি আমাকে জানাননি যে, সুপার হোমে চলে এসেছেন। উনি ছিলেন শিশুর মতো। উনি কখনোই গ্রামের বাড়ি যেতে চাননি। উনি রাষ্ট্রীয় সম্নানের ব্যাপারে অভিযোগ করেননি। উনাকে আরেকটু সম্মান জানানো যেত।’

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়েই মানুষের হৃদয়ে আসন করে নেন হেলাল হাফিজ। তাঁর জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। এই বই প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন তিনি।

‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর দীর্ঘদিন আর কোনো বই বের করেননি তিনি। ২০১২ সালে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের কবিতার সঙ্গে কিছু কবিতা যুক্ত করে প্রকাশ করা হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’।

সবশেষ ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কবিতার বই ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। এত কম কবিতা লিখে এত খ্যাতি পাওয়ার নজির বাংলাদেশের সাহিত্যে নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত