নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডেঙ্গুর প্রকোপ থামাতে এডিস মশার প্রজননকেন্দ্র ধ্বংসে অভিযানসহ চলতি বছর নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এর বাইরে প্রায় প্রতিদিনই অলি-গলিতে ছিটানো হয় ওষুধ। তারপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু। বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) পরিস্থিতি সবচেয়ে গুরুতর অবস্থায়। এর পেছনে সংশ্লিষ্টদের ছন্নছাড়া কার্যক্রমকে দুষছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে আমরা ড্রোন ব্যবহার করেছি, প্রচারণা ও অভিযান চালিয়েছি। এমনকি মশারি পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে। তারপরও এ অবস্থা।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা দেয়। অন্যান্য বছর সেপ্টেম্বরের পর থেকে তেমন বৃষ্টি দেখা যায় না, কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে এবার হয়েছে। এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। ফলে প্রকোপ থামানো যাচ্ছে না। আগামী ১৮ থেকে ২৫ অক্টোবর সিটির সব অঞ্চলে একযোগে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। আশা করছি চলতি মাসের শেষ দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। এরপর থেকে গত এক মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করলেও আর কোনো অভিযান হয়নি। তবে ওষুধ ছিটানো চলমান রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের এই সময়টায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। এ জন্য নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি ঠিকমতো ওষুধ ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করা দরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ প্রায় দশ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওই মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার বার্তা দেওয়া হলেও হয়েছে উল্টো।
চলতি অক্টোবরের অর্ধেক যেতে না যেতেই আগের মাসের মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তেও ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৮৫৫ জন আক্রান্ত ও ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গুর শিকার ২৫ হাজার ১৮১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বয়ং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ) ডা. ইকরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম কিন্তু তারপরও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। করোনার সময়ে অনেক বড় বড় স্থাপনা হয়েছে, যেগুলোর ভেতরে-বাইরে ও আশপাশে পানি জমে থাকে। এতে এডিস মশার প্রজনন হয়। এগুলো ধ্বংসে সিটি করপোরেশন অভিযান চালিয়েছে। এটি নিয়মিত করার দরকার ছিল। এ ছাড়া বাসা-বাড়ির ছাদ ও আশপাশ পরিষ্কার রাখায় জোর দিতে হবে।
ডা. ইকরামুল হক বলেন, ওষুধ ছিটানো নিয়ে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে সেটি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এত পদক্ষেপেও কি কারণে নিয়ন্ত্রণে আসছে না সেটি বের করা জরুরি। এ জন্য জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা থাকবেন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, বর্তমানে যত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে তাদের মাত্র ১০ শতাংশ দক্ষিণের। কাজেই বলা যায়, আমাদের প্রায় শতভাগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তরে কেন আসছে না সেটি তারা বলতে পারবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে অভিজ্ঞদের সঙ্গে বসলে কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না তা বের হয়ে আসবে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজ চিকিৎসা দেওয়া, আর স্থানীয় সরকারের কাজ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু সেটিতে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ থামাতে এডিস মশার প্রজননকেন্দ্র ধ্বংসে অভিযানসহ চলতি বছর নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এর বাইরে প্রায় প্রতিদিনই অলি-গলিতে ছিটানো হয় ওষুধ। তারপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু। বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) পরিস্থিতি সবচেয়ে গুরুতর অবস্থায়। এর পেছনে সংশ্লিষ্টদের ছন্নছাড়া কার্যক্রমকে দুষছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে আমরা ড্রোন ব্যবহার করেছি, প্রচারণা ও অভিযান চালিয়েছি। এমনকি মশারি পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে। তারপরও এ অবস্থা।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা দেয়। অন্যান্য বছর সেপ্টেম্বরের পর থেকে তেমন বৃষ্টি দেখা যায় না, কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে এবার হয়েছে। এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। ফলে প্রকোপ থামানো যাচ্ছে না। আগামী ১৮ থেকে ২৫ অক্টোবর সিটির সব অঞ্চলে একযোগে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। আশা করছি চলতি মাসের শেষ দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। এরপর থেকে গত এক মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করলেও আর কোনো অভিযান হয়নি। তবে ওষুধ ছিটানো চলমান রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের এই সময়টায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। এ জন্য নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি ঠিকমতো ওষুধ ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করা দরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ প্রায় দশ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওই মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার বার্তা দেওয়া হলেও হয়েছে উল্টো।
চলতি অক্টোবরের অর্ধেক যেতে না যেতেই আগের মাসের মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তেও ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৮৫৫ জন আক্রান্ত ও ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গুর শিকার ২৫ হাজার ১৮১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বয়ং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ) ডা. ইকরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম কিন্তু তারপরও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। করোনার সময়ে অনেক বড় বড় স্থাপনা হয়েছে, যেগুলোর ভেতরে-বাইরে ও আশপাশে পানি জমে থাকে। এতে এডিস মশার প্রজনন হয়। এগুলো ধ্বংসে সিটি করপোরেশন অভিযান চালিয়েছে। এটি নিয়মিত করার দরকার ছিল। এ ছাড়া বাসা-বাড়ির ছাদ ও আশপাশ পরিষ্কার রাখায় জোর দিতে হবে।
ডা. ইকরামুল হক বলেন, ওষুধ ছিটানো নিয়ে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে সেটি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এত পদক্ষেপেও কি কারণে নিয়ন্ত্রণে আসছে না সেটি বের করা জরুরি। এ জন্য জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা থাকবেন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, বর্তমানে যত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে তাদের মাত্র ১০ শতাংশ দক্ষিণের। কাজেই বলা যায়, আমাদের প্রায় শতভাগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তরে কেন আসছে না সেটি তারা বলতে পারবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে অভিজ্ঞদের সঙ্গে বসলে কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না তা বের হয়ে আসবে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজ চিকিৎসা দেওয়া, আর স্থানীয় সরকারের কাজ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু সেটিতে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ মঈনুদ্দিন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সহকারী হিসেবে কাজ করবেন।
৪ মিনিট আগে‘মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাঁর পরিবারের সদস্য, সহযোগী বা দোসরদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।’
২ ঘণ্টা আগেআলোচিত এস আলম গ্রুপের ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ১১ ব্যক্তিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন
২ ঘণ্টা আগেশেখ মইনউদ্দিন এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়বকে নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা তাঁদেরকে নিজের বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন জানিয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শেখ মইনউদ্দিনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়...
৪ ঘণ্টা আগে