নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশে টাকা পাচার কারা করছেন জানেন না অর্থমন্ত্রী। তিনি বরং বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের কাছে সেসব পাচারকারীর তালিকা চেয়েছেন।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি বিদেশে টাকা পাচার করেন না। তিনি কীভাবে জানবেন কারা টাকা পাচার করে? তিনি টাকা পাচারকারীদের তালিকা দেওয়ার জন্য বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ সংসদে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ বিল পাসের আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। খেলাপি ঋণ ছাড়িয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। এসব বিষয়ে তাঁরা অর্থমন্ত্রীর জবাব চান এবং একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি তোলেন।
শুরুতে অর্থমন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে নীরব থাকায় সাংসদদের সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে মুখ খোলেন মন্ত্রী।
টাকা পাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকভাবে বলেছেন, এই সংসদেও বলেছেন, দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাদের বলেছি, যারা পাচার করে তাঁদের তালিকা আমাকে দেন। আমি তো পাচার করি না। আমি বিশ্বাস করি আপনারাও পাচার করেন না। সুতরাং পাচার কে করে, আমি জানব কেমন করে, যদি আপনারা না দেন।’
এ সময় বিরোধী দলের সদস্যদের অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু বলতে দেখা যায়। তবে তাঁদের মাইক বন্ধ থাকায় শোনা যায়নি। তাঁদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, ইয়েস আপনারা বলেন। আপনারা লিস্ট দেন পাচারকারীদের।’
তখন একজন সদস্য বলেন, ‘এটা অর্থমন্ত্রী বলবেন, কারা পাচার করেন।’ তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, অর্থমন্ত্রী বলতে পারবে না। একটা কথা আমি আবারও বলি, আপনারা আমরা কিন্তু একই পথের পথিক। আমরা আপনি যেটা জানেন আমিও সেটা জানি। বারবার আমি বলেছি, আমি জানি না। আমাকে জানান দেন।’
এ পর্যায়ে বিরোধী দলের একজন সদস্য কিছু একটা বলেন। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক আছে, প্লিজ, কাম উইথ এ লিস্ট।’
এ সময় বিরোধী দল থেকে কিছু একটা বলা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আরে, আবার এক কথা! আমিতো বলছি, আমি কোথায় পাব? আপনি আমাকে বলেন। আচ্ছা ঠিক আছে, অল রাইট, আমি দেখব।’
আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালক হলো সেদেশের ব্যাংকিং সেক্টর। সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল অবস্থা সবাই কিন্তু বলছেন তখন আমরা ভালো করছি। আপনার কাছে যদি কোনো প্রমাণ থাকে বাংলাদেশের অর্থনীতি আমাদের আশপাশের প্রতিবেশী দেশ, সাউথ এশিয়া, সাউথইস্ট এশিয়া, কোনো দেশের চাইতে যদি মনে করেন বা প্রমাণ থাকে যে আমরা তাদের চাইতে অর্থনৈতিক এলাকায় পেছনে আছি, তাহলে ইন দ্যাট কেস ইউ কাম টু মি, আই উইল গেট ইউ টু দ্য সলিউশন। অবশ্যই আমি দায়িত্ব নিয়ে সে কাজটি করব।’
এমপিরা প্রশ্ন করলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সব জবাব দেবেন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মনের মতো করে আপনারা প্রশ্ন করবেন। আমি প্রত্যেকটা প্রশ্নের জবাব দেব। আমি প্রশ্নের জবাব দেব সেদিন, যেদিন আপনারা প্রশ্ন করবেন।’
এ সময় খেলাপি ঋণ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে, গ্রাহক বেড়েছে আমানত বেড়েছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেশ সৃষ্টির পর থেকে সবচেয়ে কম এখন। ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এখন সেপ্টেম্বর কোয়ার্টার পর্যন্ত ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এটা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। সবচেয়ে নিম্নে আছে এখন। প্রত্যেকটা ব্যাংক লাভে আছে। ঋণ নিয়ে যারা অনিয়ম করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করা হয়। ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। চলমান মামলা সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার।’
এর আগে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে রাজনীতিবিদ, আমলাসহ অনেকে টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তাঁরা বারবার অনুরোধ করেছেন, এটা নিয়ে তদন্ত হোক। কারণ এই অভিযোগে আমলা রাজনীতিবিদদের বদনাম হয়। টাকা পাচার হয় কি-না, হলে কারা করে এটা বের করতে তিনি ব্যাংক কমিশন গঠন করে তদন্ত করার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদের স্বার্থে এটা হওয়া উচিত।
বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীকে আমরা অনেক প্রশ্ন করি, তিনি কোনো উত্তর দেন না। ঠান্ডা মাথায় এড়িযে যান। ই-কমার্সের নামে লুটপাট হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণরে কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলছেন, দায় তাঁর না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, দায় তাঁর না। তাহলে কে দায় নেবে?’
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী দক্ষ, জ্ঞান রাখেন, সহনশীল, সবকিছু করেন। কিন্তু ব্যাংকের অনিয়ম দুর্নীতি, পাচার হলে কত টাকা পাচার হয়েছে এসব বিষয়ে জানানো উচিত।’ এ জন্য তিনিও একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি জানান।
এসব বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী ছিলেন নির্বিকার। বিরোধী সাংসসদের বক্তব্যের জবাব দিতে উঠে অর্থমন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, যেহেতু বিলটি স্থায়ী কমিটিতে প্রেরিত হয়েছিল, সেখানে এটি পরীক্ষা করেছে। তাই তিনি যাচাই বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। এটুকু বলেই তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
এরপর সংশোধনী প্রস্তাব তুলতে গিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘১ লাখ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি, উত্তর দিলেন না অর্থমন্ত্রী। হাজার হাজার কোটি টাকা চলে গেল। দায় কে নেবে? এসব বিষয় জানাতে হবে। আশ্বস্ত করতে হবে।’ হারুন বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী কথা কম বলেন, এটা ভালো। কিন্তু টু দ্য পয়েন্ট উত্তর দিতে হবে।’
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ‘উনি (অর্থমন্ত্রী) কথা কম বলেন। বললে ভুল হবে। উনি কথা বলেনই না প্রায়। কাগজে কালমে মন্দ ঋণ ১ লাখ কোটি টাকার মতো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা ঋণ হিসাব করলে সেটা আসলে মোট ৪, সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা।
রুমিন বলেন, ‘রাজনীতিবিদ, আমলারা টাকা পাচার করেন, এমন শোনা যায়। কারা কত পাচার করে অর্থমন্ত্রী যদি পরিষ্কার চিত্র দেন তাহলে রাজনীতিবিদ ও সৎ আমলারা মুক্ত থাকতে পারেন।’
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘কথা কম বলা ভালো। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কথা বলতে হয়। অর্থমন্ত্রী যদি মাঝেমধ্যে খুলে বলেন, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাহলে মানুষ জানতে পারে। না হলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। বিদেশে টাকা পাচার হয়, কী ব্যবস্থা নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী যদি বলেন তাহলে মানুষ একটু শান্তি পায়।’
বিদেশে টাকা পাচার কারা করছেন জানেন না অর্থমন্ত্রী। তিনি বরং বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের কাছে সেসব পাচারকারীর তালিকা চেয়েছেন।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি বিদেশে টাকা পাচার করেন না। তিনি কীভাবে জানবেন কারা টাকা পাচার করে? তিনি টাকা পাচারকারীদের তালিকা দেওয়ার জন্য বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ সংসদে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ বিল পাসের আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। খেলাপি ঋণ ছাড়িয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। এসব বিষয়ে তাঁরা অর্থমন্ত্রীর জবাব চান এবং একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি তোলেন।
শুরুতে অর্থমন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে নীরব থাকায় সাংসদদের সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে মুখ খোলেন মন্ত্রী।
টাকা পাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকভাবে বলেছেন, এই সংসদেও বলেছেন, দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাদের বলেছি, যারা পাচার করে তাঁদের তালিকা আমাকে দেন। আমি তো পাচার করি না। আমি বিশ্বাস করি আপনারাও পাচার করেন না। সুতরাং পাচার কে করে, আমি জানব কেমন করে, যদি আপনারা না দেন।’
এ সময় বিরোধী দলের সদস্যদের অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু বলতে দেখা যায়। তবে তাঁদের মাইক বন্ধ থাকায় শোনা যায়নি। তাঁদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, ইয়েস আপনারা বলেন। আপনারা লিস্ট দেন পাচারকারীদের।’
তখন একজন সদস্য বলেন, ‘এটা অর্থমন্ত্রী বলবেন, কারা পাচার করেন।’ তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, অর্থমন্ত্রী বলতে পারবে না। একটা কথা আমি আবারও বলি, আপনারা আমরা কিন্তু একই পথের পথিক। আমরা আপনি যেটা জানেন আমিও সেটা জানি। বারবার আমি বলেছি, আমি জানি না। আমাকে জানান দেন।’
এ পর্যায়ে বিরোধী দলের একজন সদস্য কিছু একটা বলেন। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক আছে, প্লিজ, কাম উইথ এ লিস্ট।’
এ সময় বিরোধী দল থেকে কিছু একটা বলা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আরে, আবার এক কথা! আমিতো বলছি, আমি কোথায় পাব? আপনি আমাকে বলেন। আচ্ছা ঠিক আছে, অল রাইট, আমি দেখব।’
আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালক হলো সেদেশের ব্যাংকিং সেক্টর। সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল অবস্থা সবাই কিন্তু বলছেন তখন আমরা ভালো করছি। আপনার কাছে যদি কোনো প্রমাণ থাকে বাংলাদেশের অর্থনীতি আমাদের আশপাশের প্রতিবেশী দেশ, সাউথ এশিয়া, সাউথইস্ট এশিয়া, কোনো দেশের চাইতে যদি মনে করেন বা প্রমাণ থাকে যে আমরা তাদের চাইতে অর্থনৈতিক এলাকায় পেছনে আছি, তাহলে ইন দ্যাট কেস ইউ কাম টু মি, আই উইল গেট ইউ টু দ্য সলিউশন। অবশ্যই আমি দায়িত্ব নিয়ে সে কাজটি করব।’
এমপিরা প্রশ্ন করলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সব জবাব দেবেন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মনের মতো করে আপনারা প্রশ্ন করবেন। আমি প্রত্যেকটা প্রশ্নের জবাব দেব। আমি প্রশ্নের জবাব দেব সেদিন, যেদিন আপনারা প্রশ্ন করবেন।’
এ সময় খেলাপি ঋণ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে, গ্রাহক বেড়েছে আমানত বেড়েছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেশ সৃষ্টির পর থেকে সবচেয়ে কম এখন। ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এখন সেপ্টেম্বর কোয়ার্টার পর্যন্ত ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এটা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। সবচেয়ে নিম্নে আছে এখন। প্রত্যেকটা ব্যাংক লাভে আছে। ঋণ নিয়ে যারা অনিয়ম করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করা হয়। ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। চলমান মামলা সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার।’
এর আগে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে রাজনীতিবিদ, আমলাসহ অনেকে টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তাঁরা বারবার অনুরোধ করেছেন, এটা নিয়ে তদন্ত হোক। কারণ এই অভিযোগে আমলা রাজনীতিবিদদের বদনাম হয়। টাকা পাচার হয় কি-না, হলে কারা করে এটা বের করতে তিনি ব্যাংক কমিশন গঠন করে তদন্ত করার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদের স্বার্থে এটা হওয়া উচিত।
বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীকে আমরা অনেক প্রশ্ন করি, তিনি কোনো উত্তর দেন না। ঠান্ডা মাথায় এড়িযে যান। ই-কমার্সের নামে লুটপাট হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণরে কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলছেন, দায় তাঁর না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, দায় তাঁর না। তাহলে কে দায় নেবে?’
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী দক্ষ, জ্ঞান রাখেন, সহনশীল, সবকিছু করেন। কিন্তু ব্যাংকের অনিয়ম দুর্নীতি, পাচার হলে কত টাকা পাচার হয়েছে এসব বিষয়ে জানানো উচিত।’ এ জন্য তিনিও একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি জানান।
এসব বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী ছিলেন নির্বিকার। বিরোধী সাংসসদের বক্তব্যের জবাব দিতে উঠে অর্থমন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, যেহেতু বিলটি স্থায়ী কমিটিতে প্রেরিত হয়েছিল, সেখানে এটি পরীক্ষা করেছে। তাই তিনি যাচাই বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। এটুকু বলেই তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
এরপর সংশোধনী প্রস্তাব তুলতে গিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘১ লাখ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি, উত্তর দিলেন না অর্থমন্ত্রী। হাজার হাজার কোটি টাকা চলে গেল। দায় কে নেবে? এসব বিষয় জানাতে হবে। আশ্বস্ত করতে হবে।’ হারুন বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী কথা কম বলেন, এটা ভালো। কিন্তু টু দ্য পয়েন্ট উত্তর দিতে হবে।’
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ‘উনি (অর্থমন্ত্রী) কথা কম বলেন। বললে ভুল হবে। উনি কথা বলেনই না প্রায়। কাগজে কালমে মন্দ ঋণ ১ লাখ কোটি টাকার মতো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা ঋণ হিসাব করলে সেটা আসলে মোট ৪, সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা।
রুমিন বলেন, ‘রাজনীতিবিদ, আমলারা টাকা পাচার করেন, এমন শোনা যায়। কারা কত পাচার করে অর্থমন্ত্রী যদি পরিষ্কার চিত্র দেন তাহলে রাজনীতিবিদ ও সৎ আমলারা মুক্ত থাকতে পারেন।’
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘কথা কম বলা ভালো। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কথা বলতে হয়। অর্থমন্ত্রী যদি মাঝেমধ্যে খুলে বলেন, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাহলে মানুষ জানতে পারে। না হলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। বিদেশে টাকা পাচার হয়, কী ব্যবস্থা নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী যদি বলেন তাহলে মানুষ একটু শান্তি পায়।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
৭ ঘণ্টা আগে