ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন রোগভোগের পর মারা গেলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঝিনাইদহ-১ আসনে পরপর পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
আজ শনিবার ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাকিম আহমেদ এবং ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন।
তাঁরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পর লিভার সিরোসিস ও ফুসফুসে সমস্যা নিয়ে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর স্বজনেরা। বেশ কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বাংলাদেশি সময় আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাই ১৯৫২ সালের ১ মে ঝিনাইদহের শৈলকুপার মোহাম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও মা ছকিরন নেছা দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ১৯৬৪ সালে বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ভর্তি হন। তিনি কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং ১৯৬৯ সালে বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাবকে পরাজিত করে প্রথমে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি এই আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রথমে ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর আব্দুল হাই ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক, ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৯৮ সালে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য আব্দুল হাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত আসীন ছিলেন।
দীর্ঘদিন রোগভোগের পর মারা গেলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঝিনাইদহ-১ আসনে পরপর পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
আজ শনিবার ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাকিম আহমেদ এবং ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন।
তাঁরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পর লিভার সিরোসিস ও ফুসফুসে সমস্যা নিয়ে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর স্বজনেরা। বেশ কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বাংলাদেশি সময় আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাই ১৯৫২ সালের ১ মে ঝিনাইদহের শৈলকুপার মোহাম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও মা ছকিরন নেছা দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ১৯৬৪ সালে বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ভর্তি হন। তিনি কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং ১৯৬৯ সালে বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাবকে পরাজিত করে প্রথমে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি এই আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রথমে ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর আব্দুল হাই ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক, ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৯৮ সালে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য আব্দুল হাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত আসীন ছিলেন।
ভারতের নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদকে নয়া দিল্লিতে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। আগামী দুই বছরের জন্য তাঁদের প্রেস মিনিস্টার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া
১৮ মিনিট আগেমৎস্য অধিদপ্তরের জন্য ৮২টি নতুন পদ সৃজন হয়েছে। আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির দ্বিতীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
৩০ মিনিট আগেডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭৯ জন। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে
১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা দেশে থাকলে ‘লোকজন তাঁকে ছিড়ে খুড়ে ফেলত’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে আয়োজিত একটি সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে