নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে গণমাধ্যম খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সরকার বিচিত্র পদ্ধতিতে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে। যেসব পত্রিকা সরকারের পক্ষে কাজ করছে, তাদের বেশি বেশি সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। ফলে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম একপেশে ভূমিকা পালন করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে গণমাধ্যমকে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা থেকে সরে আসতে হবে।
আজ শুক্রবার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে ১১টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে প্রত্যেকটিতেই পূর্ববর্তী সরকারের বদল হয়েছে। আর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলোয় ক্ষমতায় থাকা দলই আবারও ক্ষমতায় এসেছে। সাধারণভাবে নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থীর মধ্যে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান থাকে ১৫-২০ শতাংশের। কিন্তু গত দুটি নির্বাচনে এই ব্যবধান ছিল দৃষ্টিকটু মাত্রায়। তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো এখন আর মানুষের অধিকারের কথা বলে না। গণপ্রত্যাশায় প্রতিফলন ঘটনায় না। বিনিময়ে বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বক্তারা অতীতের সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার তুলনামূলক আলোচনা করেন। দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার প্রথম শর্ত হচ্ছে মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা। এর দুটোই বর্তমানে অনুপস্থিত। সাংবাদিকেরা এখন অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করছেন। বর্তমানে সংবাদমাধ্যম বন্ধ না করে, সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এই কৌশল সফলও হচ্ছে।
বক্তারা জানান, বর্তমানে সাংবাদিকদের মধ্যে দুটি ধারা তৈরি হয়েছে। একটি অংশ সরকারের পক্ষে কাজ করছে। তাদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। আর যারা ভিন্নমত তুলে ধরছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ভিন্নমত তুলে ধরা সাংবাদিকদের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যম এবং তাদের সংগঠনগুলোও সরকারের নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের কবজায়। একটি পত্রিকা যখন ভিন্নমত তুলে ধরে তখন অন্য সংবাদমাধ্যমগুলো তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়।
সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মনির হায়দার। সমাপনী বক্তব্য দেন ফ্রাই ইউনিভার্সিটি ব্রাসেলসের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. সাইমুম পারভেজ। তিনি বলেন, রাষ্ট্র এবং গণমাধ্যম—একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সাংবাদিকদের ভূমিকা, সুশীল সমাজের ভূমিকা এবং নাগরিকদের ভূমিকা নির্ভর করে রাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর। বর্তমানে সব সমস্যার মূলে আছে একটা কর্তৃত্ববাদী সরকারের উপস্থিতি এবং তা জোরালো হয়ে ওঠা।
আলোচকেরা বলেন, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা মানে শুধু সরকারবিরোধিতা নয়। কারও পক্ষ অবলম্বন না করে সত্য সংবাদ তুলে ধরাই নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা। এই জায়গা থেকে দেশের সংবাদমাধ্যম অনেক পিছিয়ে গেছে। দুস্থ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট করা হয়েছে। একটি পক্ষের হয়ে কাজ করা সাংবাদিকেরাই কেবল এই ট্রাস্টের সহায়তা পাচ্ছেন। ভিন্নমত পোষণ করা কেউ ট্রাস্টের সহায়রা পাননি।
গণতন্ত্র না থাকলে মুক্ত সাংবাদিকতার আশা করা যায় না বলে জানান বক্তারা। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তাঁরা।
অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে গণমাধ্যম খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সরকার বিচিত্র পদ্ধতিতে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে। যেসব পত্রিকা সরকারের পক্ষে কাজ করছে, তাদের বেশি বেশি সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। ফলে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম একপেশে ভূমিকা পালন করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে গণমাধ্যমকে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা থেকে সরে আসতে হবে।
আজ শুক্রবার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে ১১টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে প্রত্যেকটিতেই পূর্ববর্তী সরকারের বদল হয়েছে। আর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলোয় ক্ষমতায় থাকা দলই আবারও ক্ষমতায় এসেছে। সাধারণভাবে নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থীর মধ্যে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান থাকে ১৫-২০ শতাংশের। কিন্তু গত দুটি নির্বাচনে এই ব্যবধান ছিল দৃষ্টিকটু মাত্রায়। তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো এখন আর মানুষের অধিকারের কথা বলে না। গণপ্রত্যাশায় প্রতিফলন ঘটনায় না। বিনিময়ে বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বক্তারা অতীতের সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার তুলনামূলক আলোচনা করেন। দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার প্রথম শর্ত হচ্ছে মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা। এর দুটোই বর্তমানে অনুপস্থিত। সাংবাদিকেরা এখন অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করছেন। বর্তমানে সংবাদমাধ্যম বন্ধ না করে, সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এই কৌশল সফলও হচ্ছে।
বক্তারা জানান, বর্তমানে সাংবাদিকদের মধ্যে দুটি ধারা তৈরি হয়েছে। একটি অংশ সরকারের পক্ষে কাজ করছে। তাদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। আর যারা ভিন্নমত তুলে ধরছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ভিন্নমত তুলে ধরা সাংবাদিকদের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যম এবং তাদের সংগঠনগুলোও সরকারের নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের কবজায়। একটি পত্রিকা যখন ভিন্নমত তুলে ধরে তখন অন্য সংবাদমাধ্যমগুলো তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়।
সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মনির হায়দার। সমাপনী বক্তব্য দেন ফ্রাই ইউনিভার্সিটি ব্রাসেলসের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. সাইমুম পারভেজ। তিনি বলেন, রাষ্ট্র এবং গণমাধ্যম—একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সাংবাদিকদের ভূমিকা, সুশীল সমাজের ভূমিকা এবং নাগরিকদের ভূমিকা নির্ভর করে রাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর। বর্তমানে সব সমস্যার মূলে আছে একটা কর্তৃত্ববাদী সরকারের উপস্থিতি এবং তা জোরালো হয়ে ওঠা।
আলোচকেরা বলেন, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা মানে শুধু সরকারবিরোধিতা নয়। কারও পক্ষ অবলম্বন না করে সত্য সংবাদ তুলে ধরাই নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা। এই জায়গা থেকে দেশের সংবাদমাধ্যম অনেক পিছিয়ে গেছে। দুস্থ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট করা হয়েছে। একটি পক্ষের হয়ে কাজ করা সাংবাদিকেরাই কেবল এই ট্রাস্টের সহায়তা পাচ্ছেন। ভিন্নমত পোষণ করা কেউ ট্রাস্টের সহায়রা পাননি।
গণতন্ত্র না থাকলে মুক্ত সাংবাদিকতার আশা করা যায় না বলে জানান বক্তারা। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তাঁরা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
৪ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৬ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগে