নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন-বিক্ষোভ চলমান। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই প্রেক্ষাপটে ভোটকেন্দ্রে সংঘাত এড়াতে কবে অনলাইন ভোটিং চালু করা হবে, সেই প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা পদ্ধতি ও স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, ‘অনলাইন ভোটিং; ঘরে বসে ভোট—এটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি এখনো। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাক্ষাতের সময় আমাকে জানিয়েছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন। আমার বিশ্বাস, ওটা হয়তো বাস্তবায়িত হবে। বাস্তবায়িত হলে আমরা হয়তো বলতে পারব, আমরাও সেটা করতে পারব কি না। কিন্তু তার আগে আমরা এখন কোনো রকম নিশ্চয়তা দিতে পারব না যে অনলাইন ভোটিং সিস্টেম কবে চালু হবে।’
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ বা স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন করল নির্বাচন কমিশন। এই অ্যাপ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শোডাউন, প্রতিপক্ষকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া এবং এই কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের অন্যান্য কমিশনার ও সচিব উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য থেকে উল্লিখিত বিষয়গুলো উঠে আসে।
এ সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অনলাইনে মনোনয়ন জমা পদ্ধতি ও স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই পদ্ধতি শুধু আমাদের তথ্য সরবরাহই সহজ ও দ্রুত করে দেবে তা নয়, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও এটি খুবই সহায়ক হবে। আমাদের একটু কষ্ট করে শিখে নিতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন তথ্য আমরা অবলোকন করব।’
সিইসি বলেন, ‘অনলাইন সাবমিশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে যে শোডাউন হয়, তা আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গ হতে পারে, অনেক সময় সংঘাতও হতে পারে। তাই এটাকে সহজ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘অতীতে দেখা গেছে—প্রথম দিনেই মনোনয়ন সাবমিশন করতে আসার সময় কিন্তু সম্মানিত প্রার্থীরা শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। এতে তাঁদের শক্তি প্রদর্শিত হতো। কিন্তু এতে তাঁরা প্রথম দিনেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলেন। এই অ্যাপ দুটি বিশেষ পদ্ধতির, যার ফলে তাঁদের আচরণবিধি ভঙ্গ করতে দেবে না। এ ছাড়া আমাদের সমাজে দেখা যায়, অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে বাধা দেওয়া হয় বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বল প্রয়োগ করা হয়। এই অ্যাপের ফলে আর কেউ এ রকম সুযোগ পাবে না।’
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা জানি এবং মানি, আমরা চাই বা না চাই, আমাদের প্রত্যেকের জীবন এখন প্রযুক্তি ওপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তিকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। মনোনয়ন সাবমিশন করতে এসে বিভিন্ন শোডাউন করে। কিন্তু আইনে বলা আছে, মনোনয়ন জমার সময় শোডাউন করা যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, এই অ্যাপের ফলে ভোট অনেক স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে এবং সাধারণ জনগণ এটাকে খুব ভালোভাবে নেবে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, গত কমিশন অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘সেটা আজ বাস্তবায়িত হলো, সে জন্য খুব ভালো লাগছে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আগে সশরীরে মনোনয়ন জমা দিতে এসে অনেক লোক সমাগম হতো এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হতে হতো। এসব কারণেই একটা অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। নতুন অ্যাপ অধিকতর জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতার টুলস হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সবকিছু স্বচ্ছভাবে করে আসছে।’
আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন-বিক্ষোভ চলমান। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই প্রেক্ষাপটে ভোটকেন্দ্রে সংঘাত এড়াতে কবে অনলাইন ভোটিং চালু করা হবে, সেই প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা পদ্ধতি ও স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, ‘অনলাইন ভোটিং; ঘরে বসে ভোট—এটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি এখনো। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাক্ষাতের সময় আমাকে জানিয়েছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন। আমার বিশ্বাস, ওটা হয়তো বাস্তবায়িত হবে। বাস্তবায়িত হলে আমরা হয়তো বলতে পারব, আমরাও সেটা করতে পারব কি না। কিন্তু তার আগে আমরা এখন কোনো রকম নিশ্চয়তা দিতে পারব না যে অনলাইন ভোটিং সিস্টেম কবে চালু হবে।’
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ বা স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন করল নির্বাচন কমিশন। এই অ্যাপ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শোডাউন, প্রতিপক্ষকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া এবং এই কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের অন্যান্য কমিশনার ও সচিব উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য থেকে উল্লিখিত বিষয়গুলো উঠে আসে।
এ সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অনলাইনে মনোনয়ন জমা পদ্ধতি ও স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই পদ্ধতি শুধু আমাদের তথ্য সরবরাহই সহজ ও দ্রুত করে দেবে তা নয়, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও এটি খুবই সহায়ক হবে। আমাদের একটু কষ্ট করে শিখে নিতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন তথ্য আমরা অবলোকন করব।’
সিইসি বলেন, ‘অনলাইন সাবমিশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে যে শোডাউন হয়, তা আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গ হতে পারে, অনেক সময় সংঘাতও হতে পারে। তাই এটাকে সহজ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘অতীতে দেখা গেছে—প্রথম দিনেই মনোনয়ন সাবমিশন করতে আসার সময় কিন্তু সম্মানিত প্রার্থীরা শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। এতে তাঁদের শক্তি প্রদর্শিত হতো। কিন্তু এতে তাঁরা প্রথম দিনেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলেন। এই অ্যাপ দুটি বিশেষ পদ্ধতির, যার ফলে তাঁদের আচরণবিধি ভঙ্গ করতে দেবে না। এ ছাড়া আমাদের সমাজে দেখা যায়, অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে বাধা দেওয়া হয় বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বল প্রয়োগ করা হয়। এই অ্যাপের ফলে আর কেউ এ রকম সুযোগ পাবে না।’
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা জানি এবং মানি, আমরা চাই বা না চাই, আমাদের প্রত্যেকের জীবন এখন প্রযুক্তি ওপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তিকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। মনোনয়ন সাবমিশন করতে এসে বিভিন্ন শোডাউন করে। কিন্তু আইনে বলা আছে, মনোনয়ন জমার সময় শোডাউন করা যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, এই অ্যাপের ফলে ভোট অনেক স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে এবং সাধারণ জনগণ এটাকে খুব ভালোভাবে নেবে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, গত কমিশন অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘সেটা আজ বাস্তবায়িত হলো, সে জন্য খুব ভালো লাগছে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আগে সশরীরে মনোনয়ন জমা দিতে এসে অনেক লোক সমাগম হতো এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হতে হতো। এসব কারণেই একটা অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। নতুন অ্যাপ অধিকতর জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতার টুলস হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সবকিছু স্বচ্ছভাবে করে আসছে।’
অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘দেশের চলমান অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থা ও সংকটের মূলে আছে স্বেচ্ছাচারী রাজনীতি ও অনাচারী অর্থনীতি। বিগত সরকারের সময়ে অনাচারী অর্থনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার
৭ মিনিট আগেসারা দেশের বিভিন্ন জেলায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের নামে থাকা ৬টি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে মেডিকেল কলেজগুলোর নামকরণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নামে
১ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি করেছে সরকার। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে আজ বৃহস্পতিবার সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রাধিকার দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্বাচনের জন্য চাপ বাড়ছে। বিএনপি শুরুতে সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বললেও এখন দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ চাইছে।
৩ ঘণ্টা আগে