কোনো হজযাত্রীই পায়নি ৬৩ শতাংশ এজেন্সি

আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২: ৩৯
Thumbnail image
ফাইল ছবি

চলতি বছর হজযাত্রী পায়নি প্রায় ৬৩ শতাংশ হজ এজেন্সি। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী বছর একেকটি এজেন্সিকে কমপক্ষে ২ হাজার হজযাত্রী বহন করতে হবে। এতে হজযাত্রী পাঠানোর বেসরকারি এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আরও সংকুচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর হজের জন্য সর্বশেষ সময় অনুযায়ী সরকারি পর্যায়ে ৪ হাজার ৯৭৯ জন এবং বেসরকারি পর্যায়ে ৭৮ হাজার ৯৬৮ জন নিবন্ধন করেছেন। মোট নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন। তবে তালিকাভুক্ত ৭৫৩টি সক্রিয় এজেন্সির মধ্যে মাত্র ২৮২টি হজযাত্রী নিবন্ধন করাতে সক্ষম হয়েছে। ৪৭১টি (৬৩.৫৫ শতাংশ) এজেন্সি কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন করাতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) পক্ষ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো এবং হজের খরচ কমানোর দাবি জানানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত হজযাত্রী ট্রান্সফার স্ট্যাটাসের ৩১ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম অবস্থানে থাকা ঢাকা এয়ার এভিয়েশন সার্ভিস নিজস্ব ট্রান্সফারসহ মোট ১ হাজার ২১৮ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম অবস্থানে থাকা এজেন্সিগুলো হচ্ছে শাহ আমানত হজ কাফেলা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (১ হাজার ৬১ জন), কে আই ট্রাভেলস (৮৬৯ জন), মেসার্স সালসাবিল এভিয়েশন (৮৬৮ জন) ও তাকওয়া অতিথি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (৮৪৯ জন)। দেড় শর বেশি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করেছে ১০০ জনের কম।

যে এজেন্সিগুলো এবার কোনো হজযাত্রীই নিবন্ধন করতে পারেনি, তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেন এত হজ এজেন্সি কাউকেই নিবন্ধন করতে পারল না, তা বুঝতে এদের নিয়ে বৈঠক করা হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে এখন নিবন্ধিত হজ এজেন্সি রয়েছে ১ হাজার ৩০০-এর মতো। এর মধ্যে সক্রিয় ৭ শতাধিক। চলতি বছর হজের জন্য নিবন্ধনের আহ্বান জানিয়ে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধন না করায় দুই দফায় বাড়িয়ে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করে সৌদি আরব সরকার। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৮৪ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন করেন।

৯ ডিসেম্বর সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে প্রতিটি হজ এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চলতি বছর পর্যন্ত এ সংখ্যা ১ হাজার স্থির করা হয়। আগামী বছর এজেন্সিগুলোর জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রী থাকতে হবে ২ হাজার জন। ধারণা করা হচ্ছে, এ শর্তের কারণে তখন নিবন্ধিত অনেক এজেন্সিই কোনো হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাব সভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘এবার দেশে হজযাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক এজেন্সি আদৌ কাউকে নিবন্ধিত করাতে পারেনি। তবে অতীতেও দেখা গেছে সব এজেন্সি যাত্রী নিবন্ধন করাতে পারে না। আগামী বছর সৌদি আরব এজেন্সিপ্রতি ন্যূনতম ২ হাজার সংখ্যা বেঁধে দেওয়ায় হজ এজেন্সির কার্যক্রম আরও সংকুচিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞদের মিশেলে আসছে নতুন দল

আ.লীগ নেতাকে নিজেদের কর্মী দাবি জামায়াতের, থানা থেকে ছাড়াতে তদবির

ফরিদপুরে আজকের পত্রিকার সাংবাদিকের বাবা-মাসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম, পুলিশ বলছে চুরির ঘটনা

যশোরে আজহারীর মাহফিলে মানুষের ঢল, পদদলিত হয়ে আহত অন্তত ৫

নতুন ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত