আয়নাল হোসেন, ঢাকা
সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জমা না হওয়া ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্সকৃত এসব অস্ত্রের প্রায় ৭৯ শতাংশই ঢাকা মহানগর ও রেঞ্জের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী আমলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইস্যু করা অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রও অবৈধ বলে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ৪-২৮ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৩৭টি থানায় সর্বমোট অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয় ১৮ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৪৭৮টি। এর মধ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র রয়েছে ১ হাজার ৩১টি। কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের ১ হাজার ৫৮২টি। ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র জমা পড়েনি ৯৯৭টি। আর ৯৯৮টি লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনা হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর বিষয়ে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য জমা হচ্ছে। এখন নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেয়নি, তাঁদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে লাইসেন্স বাতিল হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেসব ব্যক্তিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করায় ও অসুস্থ থাকায় তাঁদের লাইসেন্স বহাল রাখার নির্দেশ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় মোট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ৪ হাজার ৬৮৩টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েনি ৫৯১টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ব্যক্তি পর্যায়ে ৫৯১টি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, চট্টগ্রামে ৭০টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪০টি, রাজশাহীতে ৫৯টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ৭টি, খুলনায় ৬টি, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর মহানগরে ৩টি করে মোট ৯টি এবং ময়মনসিংহে ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি।
জমা না পড়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিকেশন) তালেবুর রহমান বলেন, যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো এখন অবৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেগুলো উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। পরে এসব অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দেশে এখন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।
সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জমা না হওয়া ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্সকৃত এসব অস্ত্রের প্রায় ৭৯ শতাংশই ঢাকা মহানগর ও রেঞ্জের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী আমলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইস্যু করা অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রও অবৈধ বলে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ৪-২৮ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৩৭টি থানায় সর্বমোট অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয় ১৮ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৪৭৮টি। এর মধ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র রয়েছে ১ হাজার ৩১টি। কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের ১ হাজার ৫৮২টি। ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র জমা পড়েনি ৯৯৭টি। আর ৯৯৮টি লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনা হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর বিষয়ে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য জমা হচ্ছে। এখন নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেয়নি, তাঁদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে লাইসেন্স বাতিল হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেসব ব্যক্তিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করায় ও অসুস্থ থাকায় তাঁদের লাইসেন্স বহাল রাখার নির্দেশ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় মোট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ৪ হাজার ৬৮৩টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েনি ৫৯১টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ব্যক্তি পর্যায়ে ৫৯১টি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, চট্টগ্রামে ৭০টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪০টি, রাজশাহীতে ৫৯টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ৭টি, খুলনায় ৬টি, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর মহানগরে ৩টি করে মোট ৯টি এবং ময়মনসিংহে ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি।
জমা না পড়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিকেশন) তালেবুর রহমান বলেন, যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো এখন অবৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেগুলো উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। পরে এসব অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দেশে এখন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
৩৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
৯ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
১১ ঘণ্টা আগে