নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদুল আজহার বাকি আর এক দিন। তাই রাজধানী ছাড়ার তাড়াও বেড়েছে মানুষের মধ্যে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে ঢাকা ছাড়ছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বাড়ছে ভিড়। তবে টিকিট মেলা অনেকটাই দুষ্কর। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে বাসের সুপারভাইজারের জন্য নির্ধারিত সিটও কিনে নিচ্ছেন।
চলতি মাসের শুরুতে অনলাইনে ও কাউন্টারে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার ভিড় আরও বেড়েছে। রাজধানীর সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে চাওয়া যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কাউন্টার-সংশ্লিষ্টরা জানালেন, আজ বিকেলে ও কাল সারা দিন ভিড় আরও বেশি থাকবে।
সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে সকাল থেকেই গোল্ডেন লাইনের কাউন্টারে ছিল ভিড়। পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরগামী এই গাড়ির যাত্রী তৈয়ব হাসান। তিনি বলেন, ‘এদের গাড়ি ১৫ মিনিট পর পর হলেও কোনো গাড়িতে আসন ফাঁকা নেই। আমি অনেক কষ্টে সুপারভাইজারের সিটের একটি টিকিট পেয়েছি। এই টিকিটের ভাড়াও ৫০০ টাকা।’
সাধারণত বাসের একদম সামনে টুলসদৃশ জায়গা থাকে সুপারভাইজারের জন্য। ঈদের সময় সেটিও আসন হিসেবে বিক্রি হয়।
এদিকে সড়কে যানজটের কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো শিডিউল ঠিক রাখতে পারছে না। বরিশালগামী যাত্রী মো. কায়সার জানান, তাঁর গাড়ি ১২টা ৩০ মিনিটে। তবে কাউন্টার থেকে জানিয়েছে, ৯টা ১৫-এর গাড়ি এখনো ঢাকায় আসেনি। তাই তাঁর গাড়িও আসতে দেরি হতে পারে।
মহাখালীতে ভিড় দেখা গেছে ঢাকা থেকে অল্প দূরত্বের জেলাগুলোতে। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর জেলার যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে দেখা যায়।
নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদ উপলক্ষে বৃহত্তর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসাবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।
আছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ
মহাখালী টার্মিনালে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘ঈদে বাসের ভাড়া দিতে হবে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত’—এমন নিয়মে আটকে গেছেন যাত্রীরা। এতে ফেনীর যাত্রীকে দিতে হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ভাড়া। আবার নাটোরের যাত্রীর ক্ষেত্রে তা বগুড়া পর্যন্ত। এটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, ঈদের সময় বাস যাত্রী নিয়ে গেলেও আসবে ফাঁকা, তাই শেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা থেকে বগুড়াগামী বাসগুলোর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা, যা ১০০ টাকা বেশি। এ বিষয়ে কাউন্টার থেকে বলা হয়, এটাই ঈদের জন্য তাদের নির্ধারিত ভাড়া। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ভাড়া স্বাভাবিক সময়ে ৩০০ টাকা হলেও এখন দিতে হচ্ছে ৬০০ টাকা।
ভাড়া বেড়েছে পদ্মা সেতু হয়ে পার হওয়া খুলনা, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, বরিশাল ও মাগুরাগামী বাসের। এই রুটের পরিচিত বাস গোল্ডেন লাইনের ভাড়া ২০০ টাকা করে বাড়িয়েছে ঈদ উপলক্ষে। সায়েদাবাদ গোল্ডেন লাইন কাউন্টার থেকে জানানো হয়, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা থেকে মাগুরার ভাড়া ৫৫০ টাকা হলেও ঈদের জন্য এই রুটের ভাড়া ৮০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর গাবতলী টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে। পদ্মা সেতুর কারণে এই টার্মিনালে বাসের পরিমাণ কমেছে অনেক বেশি। তবে চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা, যশোর অঞ্চলের যাত্রী বেশি এই টার্মিনালে। স্বাভাবিকের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া এই অঞ্চলের বেশির ভাগ পরিবহনের। অনলাইন টিকিটে এসি গাড়ির ভাড়া বেড়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
ঈদুল আজহার বাকি আর এক দিন। তাই রাজধানী ছাড়ার তাড়াও বেড়েছে মানুষের মধ্যে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে ঢাকা ছাড়ছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বাড়ছে ভিড়। তবে টিকিট মেলা অনেকটাই দুষ্কর। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে বাসের সুপারভাইজারের জন্য নির্ধারিত সিটও কিনে নিচ্ছেন।
চলতি মাসের শুরুতে অনলাইনে ও কাউন্টারে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার ভিড় আরও বেড়েছে। রাজধানীর সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে চাওয়া যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কাউন্টার-সংশ্লিষ্টরা জানালেন, আজ বিকেলে ও কাল সারা দিন ভিড় আরও বেশি থাকবে।
সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে সকাল থেকেই গোল্ডেন লাইনের কাউন্টারে ছিল ভিড়। পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরগামী এই গাড়ির যাত্রী তৈয়ব হাসান। তিনি বলেন, ‘এদের গাড়ি ১৫ মিনিট পর পর হলেও কোনো গাড়িতে আসন ফাঁকা নেই। আমি অনেক কষ্টে সুপারভাইজারের সিটের একটি টিকিট পেয়েছি। এই টিকিটের ভাড়াও ৫০০ টাকা।’
সাধারণত বাসের একদম সামনে টুলসদৃশ জায়গা থাকে সুপারভাইজারের জন্য। ঈদের সময় সেটিও আসন হিসেবে বিক্রি হয়।
এদিকে সড়কে যানজটের কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো শিডিউল ঠিক রাখতে পারছে না। বরিশালগামী যাত্রী মো. কায়সার জানান, তাঁর গাড়ি ১২টা ৩০ মিনিটে। তবে কাউন্টার থেকে জানিয়েছে, ৯টা ১৫-এর গাড়ি এখনো ঢাকায় আসেনি। তাই তাঁর গাড়িও আসতে দেরি হতে পারে।
মহাখালীতে ভিড় দেখা গেছে ঢাকা থেকে অল্প দূরত্বের জেলাগুলোতে। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর জেলার যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে দেখা যায়।
নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদ উপলক্ষে বৃহত্তর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসাবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।
আছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ
মহাখালী টার্মিনালে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘ঈদে বাসের ভাড়া দিতে হবে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত’—এমন নিয়মে আটকে গেছেন যাত্রীরা। এতে ফেনীর যাত্রীকে দিতে হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ভাড়া। আবার নাটোরের যাত্রীর ক্ষেত্রে তা বগুড়া পর্যন্ত। এটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, ঈদের সময় বাস যাত্রী নিয়ে গেলেও আসবে ফাঁকা, তাই শেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা থেকে বগুড়াগামী বাসগুলোর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা, যা ১০০ টাকা বেশি। এ বিষয়ে কাউন্টার থেকে বলা হয়, এটাই ঈদের জন্য তাদের নির্ধারিত ভাড়া। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ভাড়া স্বাভাবিক সময়ে ৩০০ টাকা হলেও এখন দিতে হচ্ছে ৬০০ টাকা।
ভাড়া বেড়েছে পদ্মা সেতু হয়ে পার হওয়া খুলনা, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, বরিশাল ও মাগুরাগামী বাসের। এই রুটের পরিচিত বাস গোল্ডেন লাইনের ভাড়া ২০০ টাকা করে বাড়িয়েছে ঈদ উপলক্ষে। সায়েদাবাদ গোল্ডেন লাইন কাউন্টার থেকে জানানো হয়, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা থেকে মাগুরার ভাড়া ৫৫০ টাকা হলেও ঈদের জন্য এই রুটের ভাড়া ৮০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর গাবতলী টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে। পদ্মা সেতুর কারণে এই টার্মিনালে বাসের পরিমাণ কমেছে অনেক বেশি। তবে চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা, যশোর অঞ্চলের যাত্রী বেশি এই টার্মিনালে। স্বাভাবিকের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া এই অঞ্চলের বেশির ভাগ পরিবহনের। অনলাইন টিকিটে এসি গাড়ির ভাড়া বেড়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
১ ঘণ্টা আগেগত ৫ মাসে (৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে) সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে...
৫ ঘণ্টা আগেলেবাননে আটকে পড়া আরও ৪৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে