নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কারণে দেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে। এই বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে দুঃখজনক বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ঢেকে নিয়েছিলাম। পররাষ্ট্রসচিব তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছেন। তিনি (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) অনেকটা অবাক হয়েছেন।
বাংলাদেশ ভূরাজনীতির শিকার হলো কি–না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হতে পারে। কি হচ্ছে, আমরা একটু বিবেচনা করব।’
এ ঘটনায় সম্পর্কে কোন প্রভাব পরবে কি–না, এর উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্কে প্রভাব পরবে কি না তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে। যে দেশগুলো উন্নতি করে, যে দেশের সরকার ভালো কাজ করে, অনেক সময়ে তাদের ওপর আক্রমণ হয়। বিভিন্ন দেশের নাম বলতে পারব, অনেক দেশ অনেক ভালো কাজ করছিল, তাদের বিভিন্ন অজুহাতে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কালকে (গতকাল) খুব আরামে ছিলাম। একটা সুখবর পেলাম যে মালয়েশিয়া আমাদের লেবার (শ্রম বাজার) চালু করছে। খুব খুশি হলাম। এরপর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আমাকে ফোন করলেন এবং জানালেন যে বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একটা নতুন নিয়ম করেছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আমাদের দেশের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটার কারণে এ দেশে সন্ত্রাস নাই, যেটা বাংলা ভাই দমন করেছে, তার কারণে বাংলাদেশি লোকেরা সন্ত্রাসবিহীন বাংলাদেশে থাকে, যার কারণে অনেক ধরনের অপকর্ম দূর হয়, এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে, এখানে (র্যাব) যদি কেউ কখন বাজে কাজ করে, তারও শাস্তি হয়েছে। এমন একটি ডিসিপ্লিনকে (শৃঙ্খলা বাহিনী) তাঁর তালিকাভুক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, র্যাবে যারা কাজ করেন, এর প্রধানদেরও অবাঞ্ছিত করেছেন। এটি খুবই দুঃখজনক। কিছু এনজিও এবং মানবাধিকার সংস্থা র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখানে মার্কিনিরাও কিছু পর্যবেক্ষণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৬ লাখ মানুষ নিখোঁজ হয়। কিভাবে এত মানুষ নিখোঁজ হয় তা মার্কিন সরকার জানে না। আর প্রতিবছর মার্কিন পুলিশ তাঁদের দায়িত্ব পালনের সময়ে হাজারখানেক মানুষ মেরে ফেলে। আর বাংলাদেশে নাকি র্যাব ১০ বছরে ৬০০ জনকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু কাকে মেরেছে, তার তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা আশা করব মার্কিন সরকারের আরও সঠিক তথ্য নির্ভর হওয়া উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রতে প্রতিবছর ৬ লাখ মানুষ নিখোঁজ হয়, তার জন্য কোন কর্তৃপক্ষের কোন শাস্তি হয় না। আর নতুন এক ঢং শুরু হলো, প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা। এটি খুব দুঃখজনক এবং এগুলো লোক দেখানো। কারণ সব দেশেই কিছু মানুষ নিখোঁজ হয়। যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার মানুষের মরদেহ পরে যাওয়া যায়।
গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে না ডাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সব দেশে নিজেদের দেশের মতই গণতন্ত্র। একটা দেশের গণতন্ত্র অন্য দেশে কার্যকর নয়। গণতন্ত্র বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশেই গণতন্ত্র ঠিক রাখতে পারেন না, আর সেটিকে সব জায়গায় ব্যবস্থাপত্র হিসেবে দেবেন।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি পরিপক্ব দেশ, ওখানে অনেক পণ্ডিত মানুষ থাকে। আমি আশা করব যুক্তরাষ্ট্র আরও সত্য তথ্য নির্ভর কাজ করবে। এটি দুর্ভাগ্যের, যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশ অনেকগুলো কাজ করে যেগুলো অপরিপক্ব। অনেক দেশে অনেক অপরিপক্ব কাজ মার্কিনিরা করেছে, যেগুলো পরে দেখা গেল মানুষের উপকারে আসেনি, না মার্কিন নাগরিকদের জন্য না সেই দেশের জন্য।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কারণে দেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে। এই বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে দুঃখজনক বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ঢেকে নিয়েছিলাম। পররাষ্ট্রসচিব তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছেন। তিনি (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) অনেকটা অবাক হয়েছেন।
বাংলাদেশ ভূরাজনীতির শিকার হলো কি–না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হতে পারে। কি হচ্ছে, আমরা একটু বিবেচনা করব।’
এ ঘটনায় সম্পর্কে কোন প্রভাব পরবে কি–না, এর উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্কে প্রভাব পরবে কি না তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে। যে দেশগুলো উন্নতি করে, যে দেশের সরকার ভালো কাজ করে, অনেক সময়ে তাদের ওপর আক্রমণ হয়। বিভিন্ন দেশের নাম বলতে পারব, অনেক দেশ অনেক ভালো কাজ করছিল, তাদের বিভিন্ন অজুহাতে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কালকে (গতকাল) খুব আরামে ছিলাম। একটা সুখবর পেলাম যে মালয়েশিয়া আমাদের লেবার (শ্রম বাজার) চালু করছে। খুব খুশি হলাম। এরপর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আমাকে ফোন করলেন এবং জানালেন যে বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একটা নতুন নিয়ম করেছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আমাদের দেশের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটার কারণে এ দেশে সন্ত্রাস নাই, যেটা বাংলা ভাই দমন করেছে, তার কারণে বাংলাদেশি লোকেরা সন্ত্রাসবিহীন বাংলাদেশে থাকে, যার কারণে অনেক ধরনের অপকর্ম দূর হয়, এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে, এখানে (র্যাব) যদি কেউ কখন বাজে কাজ করে, তারও শাস্তি হয়েছে। এমন একটি ডিসিপ্লিনকে (শৃঙ্খলা বাহিনী) তাঁর তালিকাভুক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, র্যাবে যারা কাজ করেন, এর প্রধানদেরও অবাঞ্ছিত করেছেন। এটি খুবই দুঃখজনক। কিছু এনজিও এবং মানবাধিকার সংস্থা র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখানে মার্কিনিরাও কিছু পর্যবেক্ষণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৬ লাখ মানুষ নিখোঁজ হয়। কিভাবে এত মানুষ নিখোঁজ হয় তা মার্কিন সরকার জানে না। আর প্রতিবছর মার্কিন পুলিশ তাঁদের দায়িত্ব পালনের সময়ে হাজারখানেক মানুষ মেরে ফেলে। আর বাংলাদেশে নাকি র্যাব ১০ বছরে ৬০০ জনকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু কাকে মেরেছে, তার তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা আশা করব মার্কিন সরকারের আরও সঠিক তথ্য নির্ভর হওয়া উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রতে প্রতিবছর ৬ লাখ মানুষ নিখোঁজ হয়, তার জন্য কোন কর্তৃপক্ষের কোন শাস্তি হয় না। আর নতুন এক ঢং শুরু হলো, প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা। এটি খুব দুঃখজনক এবং এগুলো লোক দেখানো। কারণ সব দেশেই কিছু মানুষ নিখোঁজ হয়। যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার মানুষের মরদেহ পরে যাওয়া যায়।
গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে না ডাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সব দেশে নিজেদের দেশের মতই গণতন্ত্র। একটা দেশের গণতন্ত্র অন্য দেশে কার্যকর নয়। গণতন্ত্র বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশেই গণতন্ত্র ঠিক রাখতে পারেন না, আর সেটিকে সব জায়গায় ব্যবস্থাপত্র হিসেবে দেবেন।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি পরিপক্ব দেশ, ওখানে অনেক পণ্ডিত মানুষ থাকে। আমি আশা করব যুক্তরাষ্ট্র আরও সত্য তথ্য নির্ভর কাজ করবে। এটি দুর্ভাগ্যের, যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশ অনেকগুলো কাজ করে যেগুলো অপরিপক্ব। অনেক দেশে অনেক অপরিপক্ব কাজ মার্কিনিরা করেছে, যেগুলো পরে দেখা গেল মানুষের উপকারে আসেনি, না মার্কিন নাগরিকদের জন্য না সেই দেশের জন্য।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
৩১ মিনিট আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
৩৪ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
৪ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
৪ ঘণ্টা আগে