কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করেছিলেন (ডি ফ্যাক্টো) ৬৫ জন কূটনীতিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে জীবন বাজি রেখে সাড়া দিয়েছিলেন তাঁরা।
আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ৬৫ জন কূটনীতিক তাঁদের জীবন বাজি রেখে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং দেশের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে আরও ২২ জন কূটনীতিক পদত্যাগ করেন। এতে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বেকায়দায় পড়ে। এর ফলে পাকিস্তান সরকারের ওপর বহির্বিশ্ব থেকে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়।’
একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের ও সম্মানের।’
বিদেশে কূটনীতিকদের তৎপরতাই বিশ্বজনমত গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেসব কূটনীতিকদের বড় আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণ করার পাশাপাশি তাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে চাই।’
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তরুণ বাঙালি কর্মকর্তাদের প্রলোভন দেখিয়েও পাকিস্তানের পক্ষে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমন এক পরিস্থিতিতে তাঁরা কীভাবে দৃঢ় ছিলেন সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তোলে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন স্বাধীনতা যুদ্ধে কূটনীতিকদের বিদেশে তৎপরতার অবদান উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁদের মহান ভূমিকার জন্যই আজ আমরা কূটনৈতিক রেডিমেড প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। তাই আমরা তাঁদের অবদানকে স্মরণে রাখতে চাই।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতাটা ছিল একটি জনযুদ্ধ। সেদিন আমাদের তিনজন রাষ্ট্রদূত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। এই তিনজন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একজন স্বাধীনতা পদক পেলেও তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। কারণ, তাঁর কাছে তো মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেই। বিদেশে বাংলাদেশের দূত হিসেবে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।’
বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তমদের তো মুক্তিযোদ্ধার সনদ দরকার হয় না, তাহলে বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে যারা দেশের জন্য যারা যুদ্ধটা চালিয়ে গেলেন তাঁদের কেন গেজেটভুক্ত হতে সনদ দরকার হবে? প্রশ্ন রাখেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন কূটনীতিকেরা।
১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করেছিলেন (ডি ফ্যাক্টো) ৬৫ জন কূটনীতিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে জীবন বাজি রেখে সাড়া দিয়েছিলেন তাঁরা।
আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ৬৫ জন কূটনীতিক তাঁদের জীবন বাজি রেখে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং দেশের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে আরও ২২ জন কূটনীতিক পদত্যাগ করেন। এতে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বেকায়দায় পড়ে। এর ফলে পাকিস্তান সরকারের ওপর বহির্বিশ্ব থেকে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়।’
একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের ও সম্মানের।’
বিদেশে কূটনীতিকদের তৎপরতাই বিশ্বজনমত গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেসব কূটনীতিকদের বড় আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণ করার পাশাপাশি তাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে চাই।’
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তরুণ বাঙালি কর্মকর্তাদের প্রলোভন দেখিয়েও পাকিস্তানের পক্ষে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমন এক পরিস্থিতিতে তাঁরা কীভাবে দৃঢ় ছিলেন সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তোলে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন স্বাধীনতা যুদ্ধে কূটনীতিকদের বিদেশে তৎপরতার অবদান উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁদের মহান ভূমিকার জন্যই আজ আমরা কূটনৈতিক রেডিমেড প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। তাই আমরা তাঁদের অবদানকে স্মরণে রাখতে চাই।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতাটা ছিল একটি জনযুদ্ধ। সেদিন আমাদের তিনজন রাষ্ট্রদূত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। এই তিনজন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একজন স্বাধীনতা পদক পেলেও তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। কারণ, তাঁর কাছে তো মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেই। বিদেশে বাংলাদেশের দূত হিসেবে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।’
বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তমদের তো মুক্তিযোদ্ধার সনদ দরকার হয় না, তাহলে বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে যারা দেশের জন্য যারা যুদ্ধটা চালিয়ে গেলেন তাঁদের কেন গেজেটভুক্ত হতে সনদ দরকার হবে? প্রশ্ন রাখেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন কূটনীতিকেরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ গতকাল রোববার রাতে অধ্যাদেশের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার এই আবেদন করা হয়। আজ সোমবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মোহাম্মদ আজমি।
৪ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
১২ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে