নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভবিষ্যতেও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকবেন বলে জানান দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁদের সংসদে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার নির্দেশনা দেন। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা তো একই ঘরেই আছ। ঘরের ছেলে ঘরে আছ। এ টিম (আওয়ামী লীগদলীয় এমপি), বি টিম (স্বতন্ত্র এমপি)। এ টিমও আমার, বি টিমও আমার। তবে সংসদে তোমাদের অবস্থান স্বতন্ত্রই থাকবে।’
রোববার গণভবনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন বলে উপস্থিত একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন। সাড়ে ছয়টার পরে শুরু হওয়া বৈঠকের শুরুতে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বক্তব্য দেন। পরে স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করেন। একই সঙ্গে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৬২ আসনে স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হয়। তিনজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সংসদে নিজেদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলেন তাঁরা। এমন অবস্থায় রোববার গণভবনে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে ৬২ স্বতন্ত্র এমপির মধ্যে অধিকাংশই বক্তব্য দেন। তাঁদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় সংসদসহ সব স্থানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকার আগ্রহের কথা জানান। স্বতন্ত্ররা বারবার স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছেন, তাঁরা কি সরকারি দলে নাকি বিরোধী দলে? তখন স্বতন্ত্র এমপিদের সংসদে গঠনমূলক সমালোচনা করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমালোচনা যেভাবে করা যায়, সেভাবে করবা। তোমরা সরকারেও আছ, সরকারের সমালোচনা করবা। তবে সেটা হতে হবে গঠনমূলক।
এক স্বতন্ত্র এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, তোমাদের সুবিধা বেশি। কারণ, নৌকা নিয়ে যারা নির্বাচন করেছে, তাদের সরকারের কথা বলতে গেলে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তোমাদের সেটা নাই। তোমরা সমালোচনা করতে পারবা, সেই সমালোচনা গঠনমূলক হবে। আমি সরকারের উন্নয়ন দুই হাত দিয়ে করতে পারব। এক হাত সরকারের এমপিরা, আরেক হাত স্বতন্ত্র এমপিরা। বাড়ি একটাই—ঘর দুইটা।
ঝিনাইদহ-২ আসনের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী স্বতন্ত্রদের হুইপ কে হবেন, তা নিয়ে কথা বলেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আট বিভাগের আটজন সরকারি দলের হুইপরা আছেন। তাঁরাই তোমাদের হুইপিং করবেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেন স্বতন্ত্র এমপিরা। বক্তব্য দেওয়া এমপিরা সর্বসম্মতভাবে বলেন, আমাদের অংশে পাওয়া এমপি আপনি নির্ধারণ করবেন। আমরা সমর্থন জানাব। এটা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনেও জানাবেন স্বতন্ত্র এমপিরা। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মী আছে, তাদের মূল্যায়ন করতে পারি না। তাদের মূল্যায়ন করব।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই থাকবে। তবে তারা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবে। এই একটা বিষয় আমাদের সংসদ নেতা, দলের সভাপতি পরিষ্কারভাবে বলেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নারী সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা যাঁদের মনোনীত করবেন, তাঁদের প্রতি স্বতন্ত্রদের সমর্থন থাকবে, তাঁরা ব্যক্ত করেছেন।
ভবিষ্যতেও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকবেন বলে জানান দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁদের সংসদে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার নির্দেশনা দেন। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা তো একই ঘরেই আছ। ঘরের ছেলে ঘরে আছ। এ টিম (আওয়ামী লীগদলীয় এমপি), বি টিম (স্বতন্ত্র এমপি)। এ টিমও আমার, বি টিমও আমার। তবে সংসদে তোমাদের অবস্থান স্বতন্ত্রই থাকবে।’
রোববার গণভবনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন বলে উপস্থিত একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন। সাড়ে ছয়টার পরে শুরু হওয়া বৈঠকের শুরুতে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বক্তব্য দেন। পরে স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করেন। একই সঙ্গে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৬২ আসনে স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হয়। তিনজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সংসদে নিজেদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলেন তাঁরা। এমন অবস্থায় রোববার গণভবনে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে ৬২ স্বতন্ত্র এমপির মধ্যে অধিকাংশই বক্তব্য দেন। তাঁদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় সংসদসহ সব স্থানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকার আগ্রহের কথা জানান। স্বতন্ত্ররা বারবার স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছেন, তাঁরা কি সরকারি দলে নাকি বিরোধী দলে? তখন স্বতন্ত্র এমপিদের সংসদে গঠনমূলক সমালোচনা করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমালোচনা যেভাবে করা যায়, সেভাবে করবা। তোমরা সরকারেও আছ, সরকারের সমালোচনা করবা। তবে সেটা হতে হবে গঠনমূলক।
এক স্বতন্ত্র এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, তোমাদের সুবিধা বেশি। কারণ, নৌকা নিয়ে যারা নির্বাচন করেছে, তাদের সরকারের কথা বলতে গেলে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তোমাদের সেটা নাই। তোমরা সমালোচনা করতে পারবা, সেই সমালোচনা গঠনমূলক হবে। আমি সরকারের উন্নয়ন দুই হাত দিয়ে করতে পারব। এক হাত সরকারের এমপিরা, আরেক হাত স্বতন্ত্র এমপিরা। বাড়ি একটাই—ঘর দুইটা।
ঝিনাইদহ-২ আসনের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী স্বতন্ত্রদের হুইপ কে হবেন, তা নিয়ে কথা বলেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আট বিভাগের আটজন সরকারি দলের হুইপরা আছেন। তাঁরাই তোমাদের হুইপিং করবেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেন স্বতন্ত্র এমপিরা। বক্তব্য দেওয়া এমপিরা সর্বসম্মতভাবে বলেন, আমাদের অংশে পাওয়া এমপি আপনি নির্ধারণ করবেন। আমরা সমর্থন জানাব। এটা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনেও জানাবেন স্বতন্ত্র এমপিরা। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মী আছে, তাদের মূল্যায়ন করতে পারি না। তাদের মূল্যায়ন করব।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই থাকবে। তবে তারা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবে। এই একটা বিষয় আমাদের সংসদ নেতা, দলের সভাপতি পরিষ্কারভাবে বলেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নারী সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা যাঁদের মনোনীত করবেন, তাঁদের প্রতি স্বতন্ত্রদের সমর্থন থাকবে, তাঁরা ব্যক্ত করেছেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে