নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা পূরণ হওয়ায় গত ১ মার্চেই মালয়েশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ৩১ মের পর আর কোনো অভিবাসী শ্রমিক নেওয়া হবে না। মাঝে তিন মাস কেটে গেছে। আজ শুক্রবার শেষ দিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে ভিড় করছেন মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের কাছে পাসপোর্ট-ভিসা আছে। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি টিকিট দিতে পারছে না।
অথচ এই মানুষগুলোর কাছ থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারনির্ধারিত খরচের চেয়ে ছয়-সাত গুণ টাকা নিয়েছে। এতগুলো মানুষের দায় এখন কেউ নিচ্ছে না। সরকার দুষছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে, আবার এজেন্সিগুলো দুষছে সরকারকে। জমি বেচে, ঋণ করে টাকা জমা দেওয়া হাজার হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
সিন্ডিকেট করে অনিয়মের কারণে চার বছর স্থগিত রাখার পর ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করে মালয়েশিয়া। দুই দেশের সরকারের চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকপ্রতি খরচ নির্ধারণ করা হয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠা ভেরাইটের এক জরিপে দেখা গেছে, শ্রমিকপ্রতি প্রকৃত খরচ পড়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে সিন্ডিকেট অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার হাতিয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির হয়েও হাজারো মানুষ মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটের টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেননি। এজেন্সি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা টু মালয়েশিয়ায় চাহিদা অনুপাতে ফ্লাইট না থাকায় ভিসা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবারে (৩১ মে) পর বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে কোনো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
জানা গেছে, শুক্রবার শেষ দিনে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ জন কর্মীর। তাঁরা কে কোন ফ্লাইটে, কোন বিমানে যাবেন, তা আগে থেকে ঠিক করা আছে। এর বাইরে আরও ৩১ হাজার ৭০১ জন বাংলাদেশি কর্মী চাকরি নিয়ে মালয়েশিয়ার যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু টিকিট জটিলতায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন।
এর জন্য সরকারকেই দুষছে এজেন্সিগুলো। সরকারের উদাসীনতায় এই সংকট তৈরি হয়েছে জানিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় লোক যেতে হবে ৫০-৬০ হাজার লোক। এটা নিয়ে সরকারের উদাসীনতার কারণে কোনো প্রস্তুতি নেই, আলোচনা নেই। এটা আমাদের মালয়েশিয়াগামী প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্ভাগ্য!’
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকার বেঁধে দেওয়া খরচের কয়েক গুণ টাকা নিলেও তাদের অবহেলায় বহু মানুষ এখন বিপদে পড়েছেন। সময় আর হাতে না থাকায় উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই হাজার হাজার মানুষ এখন বিমানবন্দরে ভিড় করছেন।
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষারত কয়েকজন জানান, তাঁদের মধ্যে অনেকে তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছেন। অধিকাংশই উড়োজাহাজের টিকিট এখনো হাতে পাননি। যে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছেন, তারাও এখন আর ফোন ধরছে না।
অনেকে জমি বন্ধক রেখে এবং ব্যাংক ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এজেন্সিকে টাকা দিয়েছেন। এজেন্সি থেকে বলার পর তাঁরা বিমানবন্দরে এসেছেন। কিন্তু টিকিট দিতে নানা টালবাহানা করছে, কেউ কেউ ফোনই ধরছে না।
বিমানবন্দরে হাজির হওয়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় বাড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন। তাঁরা বলছেন, পাঁচ থেকে সাত লাখ করে টাকা তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছেন। এখন যেতে না পারলে বিপদে পড়বেন। কোম্পানিগুলো তাঁদের দেওয়া টাকা ফেরত দেবে কি না, সেই সংশয়ও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের ভিড় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিন ধরে মালয়েশিয়াগামী অনেক যাত্রীর চাপ রয়েছে। বাড়তি এই চাপ সামলাতে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এত আগে বিষয়টি জানানোর পরও কেন এখন এতগুলো মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে—এ ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কতসংখ্যক মানুষ যেতে পারেনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) কাছে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা দেয়নি।
তবে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়া সরকার অনেক আগেই বলেছে, ৩১ মের মধ্যে লোক পাঠানো শেষ করতে হবে। সার্বিক ব্যবস্থাপনা শেষ সময়ে এসে কেন করা হলো?
জানতে চাইলে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যা হচ্ছে, তা দুর্বৃত্তপনা। এখানে সিন্ডিকেটের জয়জয়কার। এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না। ভিসার মেয়াদ থাকার পরেও ওই দেশে ঢুকতে পারবে না। দুই দেশের এখানে দায় রয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
এ ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জয় হয়েছে, হেরেছে প্রবাসী শ্রমিকেরা। অথচ এই প্রবাসী শ্রমিকদের টাকায় দেশ চলে। আমরা চাই সরকার এ ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে প্রকৃত সত্য খতিয়ে দেখুক, সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।’
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর চক্রে শুরুতে ছিল ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি। পরে ধাপে ধাপে মোট ১০০ বেসরকারি এজেন্সি এতে যুক্ত হয়। পরে যুক্ত হয় সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)। গত এক যুগে তিনবারের বেশি মালয়েশিয়ায় শ্রমিক ভিসা চালু হয়। কিন্তু সিন্ডিকেটের অনিয়মের কারণে বারবার বন্ধ হয়েছে।
এদিকে সরকারের অভিবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বিমান বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত ঢাকা-কুয়ালালামপুর ফ্লাইট পরিচালনা করবে। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়ার কথা। এই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী বহন করা যাবে।
এদিকে আজ শেষ সময় হওয়ায় বাংলাদেশসহ অন্তত ১৫টি দেশ থেকে হাজার হাজার কর্মী মালয়েশিয়া প্রবেশ করছেন। হঠাৎ এত মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর। সেখানে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষেরও এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি ছিল না। ফলে মানুষকে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
কোটা পূরণ হওয়ায় গত ১ মার্চেই মালয়েশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ৩১ মের পর আর কোনো অভিবাসী শ্রমিক নেওয়া হবে না। মাঝে তিন মাস কেটে গেছে। আজ শুক্রবার শেষ দিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে ভিড় করছেন মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের কাছে পাসপোর্ট-ভিসা আছে। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি টিকিট দিতে পারছে না।
অথচ এই মানুষগুলোর কাছ থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারনির্ধারিত খরচের চেয়ে ছয়-সাত গুণ টাকা নিয়েছে। এতগুলো মানুষের দায় এখন কেউ নিচ্ছে না। সরকার দুষছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে, আবার এজেন্সিগুলো দুষছে সরকারকে। জমি বেচে, ঋণ করে টাকা জমা দেওয়া হাজার হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
সিন্ডিকেট করে অনিয়মের কারণে চার বছর স্থগিত রাখার পর ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করে মালয়েশিয়া। দুই দেশের সরকারের চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকপ্রতি খরচ নির্ধারণ করা হয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠা ভেরাইটের এক জরিপে দেখা গেছে, শ্রমিকপ্রতি প্রকৃত খরচ পড়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে সিন্ডিকেট অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার হাতিয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির হয়েও হাজারো মানুষ মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটের টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেননি। এজেন্সি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা টু মালয়েশিয়ায় চাহিদা অনুপাতে ফ্লাইট না থাকায় ভিসা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবারে (৩১ মে) পর বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে কোনো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
জানা গেছে, শুক্রবার শেষ দিনে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ জন কর্মীর। তাঁরা কে কোন ফ্লাইটে, কোন বিমানে যাবেন, তা আগে থেকে ঠিক করা আছে। এর বাইরে আরও ৩১ হাজার ৭০১ জন বাংলাদেশি কর্মী চাকরি নিয়ে মালয়েশিয়ার যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু টিকিট জটিলতায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন।
এর জন্য সরকারকেই দুষছে এজেন্সিগুলো। সরকারের উদাসীনতায় এই সংকট তৈরি হয়েছে জানিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় লোক যেতে হবে ৫০-৬০ হাজার লোক। এটা নিয়ে সরকারের উদাসীনতার কারণে কোনো প্রস্তুতি নেই, আলোচনা নেই। এটা আমাদের মালয়েশিয়াগামী প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্ভাগ্য!’
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকার বেঁধে দেওয়া খরচের কয়েক গুণ টাকা নিলেও তাদের অবহেলায় বহু মানুষ এখন বিপদে পড়েছেন। সময় আর হাতে না থাকায় উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই হাজার হাজার মানুষ এখন বিমানবন্দরে ভিড় করছেন।
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষারত কয়েকজন জানান, তাঁদের মধ্যে অনেকে তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছেন। অধিকাংশই উড়োজাহাজের টিকিট এখনো হাতে পাননি। যে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছেন, তারাও এখন আর ফোন ধরছে না।
অনেকে জমি বন্ধক রেখে এবং ব্যাংক ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এজেন্সিকে টাকা দিয়েছেন। এজেন্সি থেকে বলার পর তাঁরা বিমানবন্দরে এসেছেন। কিন্তু টিকিট দিতে নানা টালবাহানা করছে, কেউ কেউ ফোনই ধরছে না।
বিমানবন্দরে হাজির হওয়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় বাড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন। তাঁরা বলছেন, পাঁচ থেকে সাত লাখ করে টাকা তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছেন। এখন যেতে না পারলে বিপদে পড়বেন। কোম্পানিগুলো তাঁদের দেওয়া টাকা ফেরত দেবে কি না, সেই সংশয়ও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের ভিড় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিন ধরে মালয়েশিয়াগামী অনেক যাত্রীর চাপ রয়েছে। বাড়তি এই চাপ সামলাতে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এত আগে বিষয়টি জানানোর পরও কেন এখন এতগুলো মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে—এ ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কতসংখ্যক মানুষ যেতে পারেনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) কাছে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা দেয়নি।
তবে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়া সরকার অনেক আগেই বলেছে, ৩১ মের মধ্যে লোক পাঠানো শেষ করতে হবে। সার্বিক ব্যবস্থাপনা শেষ সময়ে এসে কেন করা হলো?
জানতে চাইলে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যা হচ্ছে, তা দুর্বৃত্তপনা। এখানে সিন্ডিকেটের জয়জয়কার। এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না। ভিসার মেয়াদ থাকার পরেও ওই দেশে ঢুকতে পারবে না। দুই দেশের এখানে দায় রয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
এ ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জয় হয়েছে, হেরেছে প্রবাসী শ্রমিকেরা। অথচ এই প্রবাসী শ্রমিকদের টাকায় দেশ চলে। আমরা চাই সরকার এ ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে প্রকৃত সত্য খতিয়ে দেখুক, সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।’
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর চক্রে শুরুতে ছিল ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি। পরে ধাপে ধাপে মোট ১০০ বেসরকারি এজেন্সি এতে যুক্ত হয়। পরে যুক্ত হয় সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)। গত এক যুগে তিনবারের বেশি মালয়েশিয়ায় শ্রমিক ভিসা চালু হয়। কিন্তু সিন্ডিকেটের অনিয়মের কারণে বারবার বন্ধ হয়েছে।
এদিকে সরকারের অভিবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বিমান বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত ঢাকা-কুয়ালালামপুর ফ্লাইট পরিচালনা করবে। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়ার কথা। এই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী বহন করা যাবে।
এদিকে আজ শেষ সময় হওয়ায় বাংলাদেশসহ অন্তত ১৫টি দেশ থেকে হাজার হাজার কর্মী মালয়েশিয়া প্রবেশ করছেন। হঠাৎ এত মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর। সেখানে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষেরও এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি ছিল না। ফলে মানুষকে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে