পরিস্থিতি শান্ত হলে জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নাই: সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৭: ২১
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ০৯

প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরপরই দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার পর দেওয়া ভাষণে তিনি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘সব হত্যাকাণ্ড ও অন্যায়ের বিচার করব।’

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়, তবে কারফিউয়ের প্রয়োজন নাই, কোনো জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নাই, কোনো গোলাগুলির প্রয়োজন নাই। আমি আদেশ দিয়েছি, সেনাবাহিনী কোনো গুলি করবে না। পুলিশ কোনো গোলাগুলি করবে না।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কে থাকবে—এই বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এখন এটা না। এটা খুব আর্লি স্টেজ। আমরা যাব মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে। গিয়ে আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে আমরা এটা করব।’ 

কোন কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে, এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে জামায়াতের আমির ছিলেন, আমাদের বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন। জাতীয় নেতৃস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এখানে ছিলেন। সুশীল সমাজ ও আসিফ নজরুল উনি নিজেও ছিলেন এখানে। উনি (আসিফ নজরুল) আমার সামনেই সমস্ত ছাত্রদেরকে একটা সুন্দর বার্তাও দিয়েছেন। আমি আশা করি ছাত্ররা সেই বার্তা শুনে, ওনাকে সবাই শ্রদ্ধা করেন, ওনার এই বার্তা শুনে তারা এই পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসবে। আমরা একটা সুন্দর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাব।’ 

আওয়ামী লীগের কেউ ছিল কি না—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগের কেউ ছিল না।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি আজকেই যাবেন। এটা বিশেষ একটা পরিস্থিতি। আমরা আজকেই গিয়ে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসব।’ 

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব চালিয়ে যাবে। আপনাদের সবার দায়িত্ব, ছাত্রদের দায়িত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক কর্মীদের দায়িত্ব আমাদের সহযোগিতা করা। আপনাদের গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্ব আমাদের একটু সাহায্য করেন, আমরা তাহলে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজেই নিয়ে আসতে পারব।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার এই বক্তব্যের পরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা একটা সুন্দর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি।’ 

সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আজকে রাতের মধ্যেই আমরা একটা সলুশনে যাওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের হয়তো দুই–এক দিন সময় দিতে হবে।’ 

আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ করেছিলেন কি না—এমন প্রশ্নে বলেন, ‘পরিস্থিতি ও সময় খুব কম ছিল। আমি যাদেরকে পেয়েছি, অনেককেই আমি বলেছি, বাট প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরা তাঁদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ওনারা সবাই আমাদের এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘এখানে মমিনুল হক সাহেব, জুনায়েদ সাকি ছিলেন। সবাই মিলে একমত পোষণ করেছি। ছাত্রদের কাজ হচ্ছে শান্ত হওয়া ও আমাদের সাহায্য করা।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত