Ajker Patrika

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর বেআইনি বলপ্রয়োগের নিন্দা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১১: ২৭
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর বেআইনি বলপ্রয়োগের নিন্দা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর বেআইনি বলপ্রয়োগের প্রমাণ পেয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটা আন্দোলনকারীদের ডাকা সারা দেশে চলমান ‘বাংলা-ব্লকেডের’ সময় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের ওপর বেআইনি বল প্রয়োগ করেছে এবং তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও সংস্থাটির ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব বিশ্লেষিত ও প্রমাণিত সাক্ষীর সাক্ষ্য, ভিডিও এবং ফটোগ্রাফিক প্রমাণ শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের বেআইনি বল প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য প্রমাণ করে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যে সহিংসতা হয়েছে তা বহু বছরের সহিংসতার ধারাবাহিকতা। এই সহিসংতা ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সদস্যরা ঘটিয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা এবং সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত দুই দিনে অন্তত ছয়জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক গবেষক তকবীর হুদা বলেছেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সারা দেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্র আবু সাঈদের হত্যা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন ও নিজস্ব সংবিধানের অধীনে প্রতিশ্রুতি অনুসারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের আরও ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে হবে।’

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম মারধর ও হামলার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের কর্মীরা কীভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন, তা তুলে ধরেছে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়।

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের নিহত হওয়ার বিষয়ে অ্যামনেস্টি বলছে, স্যাটেলাইট ইমেজারি সিস্টেম ও জিওলোকেট সিস্টেম ব্যবহার করে তারা দেখেছে সাঈদের মারা যাওয়ার আগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব ছিল ১৫ মিটার। এ ছাড়া, সাঈদ পুলিশের সামনে দৃশ্যত কোনো শারীরিক হুমকি হাজির করেনি। সাঈদের ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে ‘মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে’।

ডেরিক পাউন্ডার নামে একজন স্বাধীন ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট সাঈদের বুকে ক্ষতের ছবি পরীক্ষা করে দেখেছেন। তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে বলেছেন, ‘সাঈদের বুকের ক্ষতগুলো ছররা গুলির (বার্ডশট) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সারা দেশে সংঘর্ষে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–যুবলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এর প্রতিবাদে বুধবার নিহতদের উদ্দেশে গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন মিছিল কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসগুলোতে কোথাও শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে শুধু ঢাকাতেই অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাজা পরোয়ানা মূলে হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারির আবেদন করা হবে: প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গাজী এম এইচ তামিম। ছবি: সংগৃহীত
গাজী এম এইচ তামিম। ছবি: সংগৃহীত

সাজা পরোয়ানা মূলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারির জন্য আবেদনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটা ইন্টারপোলে যাবে।

গাজী তামিম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করলে আপিলের সুযোগ থাকবে না। যদি তাঁরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তাঁরা গ্রেপ্তার হলে রায় কার্যকর হবে। যেসব আইনে আপিলের সময়সীমা বর্ণনা করা নেই, সেসব আইনের আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হয় তামাদি আইন অনুযায়ী। তামাদি আইন অনুযায়ী আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হলে সময় পার হলেও বিলম্ব মার্জনার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যেখানে তামাদির সময় বলা আছে, ওই সময় পার হলে বিলম্ব মার্জনার কোনো সুযোগ নেই।

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই রায়ের একটি সার্টিফায়েড কপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পাবে এবং একটি সার্টিফায়েড কপি এই মামলায় যে আসামি উপস্থিত ছিলেন তিনি পাবেন। যে আসামিরা পলাতক আছেন, তাঁরা যদি ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন অথবা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তাঁরাও পাবেন। এ ছাড়া রায়ের আরেকটি কপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মানে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে কার্যকর করার জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিল্লি সফরে এক দিন আগেই ঢাকা ছাড়লেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩১
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল আগামীকাল বুধবার। কিন্তু তিনি আজ মঙ্গলবারই ভারতের রাজধানী পৌঁছে গেছেন।

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দিল্লিতে পৌঁছেন খলিলুর রহমান। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সিএসসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সপ্তম সম্মেলন আগামী বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হবে। সকালে জোটের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলন শুরু হবে। আর মধ্যাহ্নভোজের পর তা শেষ হবে। ওই দিন বিকেলেই খলিলুর রহমানের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এমন এক সময়ে দিল্লিতে গেলেন, যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করে ভারতকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

সব মিলিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিল্লি অবস্থানকালে তাঁর সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এক দিন আগেই তিনি দিল্লি পৌঁছানোয় সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানা জল্পনা।

সিএসসিরর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গত মাসে খলিলুর রহমানকে আমন্ত্রণ জানান অজিত দোভাল। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের বেশি সময়ে তাকে নিয়ে মাত্র দুজন উপদেষ্টা ভারত করলেন। ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে অংশ নেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজ্ঞপ্তির পর আপত্তি, ডেসটিনির রফিকুল আমীনের দল ফের পর্যালোচনায়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রফিকুল আমীন । ছবি: সংগৃহীত
রফিকুল আমীন । ছবি: সংগৃহীত

বাছাই চূড়ান্ত শেষে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপত্তি আসায় ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া দল বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে ফের পর্যালোচনায় রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এসব কথা জানান।

ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করেছিল। প্রথম পর্যায়েই ১২১টি আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বাকি ২২টি দলকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে এনসিপি, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) বাছাই চূড়ান্ত করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এনসিপি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) নিবন্ধন চূড়ান্ত করে গতকাল সোমবার রাতে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আম জনগণ পার্টির বিরুদ্ধে আপত্তি এসেছে জানিয়ে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, এনসিপি ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) দলের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি পাওয়া যায়নি। তাই তাদের নিবন্ধন চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আর আম জনগণ পার্টির বিষয়ে আপত্তি থাকায় পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আরও বলেন, রিভিউয়ের জন্য আবেদন করা সাতটি দল নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সাতটি দল হলো বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), জাতীয় জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, আমজনতার দল ও জনতার দল।

শেষ মুহূর্তে নিবন্ধন পেলে এসব দল সুবিধাবঞ্চিত হবে কি না, জানতে চাইলে সচিব বলেন, যদি কেউ শেষ মুহূর্তে নিবন্ধন পায়, তাহলে তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাবে না, এটা বাস্তবতা।

সংলাপে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, বিষয়টি আগামীকাল বুধবার জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মেসার্স সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৩ হাজার ৭৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোহাম্মদ শাহজাহানের সম্পদ বিবরণী তলব করে দুদক। তাঁর দাখিল করা বিবরণীতে দায়দেনা বাদ দিয়ে মোট ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৪ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। তবে যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১৫ কোটি ৩০ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকা।

দুদকের তদন্তে দেখা যায়, ঘোষিত আয় ও প্রকৃত সম্পদের মধ্যে ২ কোটি ৮৩ হাজার ৭৩৪ টাকার অসংগতি রয়েছে। কমিশনের দাবি, এই অর্থ জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন আসামি শাহজাহান।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মোহাম্মদ শাহজাহান জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য-প্রমাণ মেলায় তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। দাখিলকৃত বিবরণীতে তিনি ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১৭ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৯ টাকার সম্পদের তথ্য প্রদর্শন করেন।

তদন্তে শাহজাহানের নামে ৫ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৭ টাকার দায়দেনার তথ্য পাওয়া যায়। ফলে দায়দেনা বাদে তাঁর নিট সম্পদ দাঁড়ায় ১২ কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৭২ টাকা। অপর দিকে আয়কর নথি অনুযায়ী ২০১৫-১৬ করবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তাঁর পারিবারিক ব্যয় ছিল ৫ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৯২ টাকা। এ হিসাবে পারিবারিক ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৪ টাকা।

এজাহার অনুযায়ী, ওই মোট সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১৫ কোটি ৩০ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩০ টাকা। অর্থাৎ তাঁর ঘোষিত আয় অপেক্ষা ২ কোটি ৮৩ হাজার ৭৩৪ টাকা অতিরিক্ত সম্পদ পাওয়া যায়, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এতে প্রমাণিত হয় যে আসামি মোহাম্মদ শাহজাহান অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত