ঢামেক প্রতিবেদক
আন্দোলনে আহত রোগীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) ও পুরোনো বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা ৩০ জনকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। চেক তুলে দেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে যান দুই উপদেষ্টা। এ সময় তাঁরা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতি শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং সকল আহত ব্যক্তিদের এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এটি শেষ নয়, এই সাহায্য চলমান থাকবে বিভিন্নভাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জনকে ৩০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহত ও শহীদ পরিবারকে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৭৬ জন পরিবারকে এই আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে যেটা চলমান থাকবে।’
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ আরও বলেন, ‘এছাড়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩৩ জন রোগীকে ৩৩ লাখ টাকা প্লাস এবং পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি ৫৯ জন রোগীকে ৫৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা প্লাস দেওয়া হবে, যা তাঁদের বিকাশের মাধ্যমে চলে যাবে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অনেকেই চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। আমরা তাঁদের ডকুমেন্ট রাখতে বলছি। সেই খরচের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেলে সরকারিভাবে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা অনেক সময় ধরে হাসপাতালে আছেন তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের পরিবার-পরিজন কীভাবে চলবে এই বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সান্ত্বনা দিয়েছি। সাধারণ মানুষ ও সরকার তাঁদের সঙ্গে সব সময় আছে। এ বিষয়টি তাঁদের আশ্বস্ত করেছি। তাঁদের জন্য একটা ফাউন্ডেশন ও ডেটাবেইস তৈরি করেছি।’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কেন হত্যা মামলা হচ্ছে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশে গণহত্যা হয়েছে। ফ্যাসিবাদ কায়েম ছিল। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে নানা ধরনের শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যেও সেটা ছিল। অনেকেই গণহত্যার পক্ষে সরাসরি কথা বলেছেন, বৈধতা দিয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। যদি কেউ ন্যায় বিচার না পান বা মিথ্যা মামলা হয়, সেটা আমরা দেখব। সাংবাদিকসহ অন্যরা যদি মনে করেন মামলায় ভোগান্তি হচ্ছে, আমরা সেই জায়গা থেকে বিষয়টি দেখব। হত্যা মামলা যথাযথ না। যথাযথ অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হলে, সেইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকেরা যে কথা বলছেন একই কথা কিন্তু পুলিশও বলছে, ওপরের নির্দেশ ছিল। একই কথা সব সেক্টরই বলছে। তবে দোষ শুধু শেখ হাসিনার আর কারও দোষ কি ছিল না? প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কী ভূমিকা রেখেছে এটা আসলে দেশের মানুষ জানে, আমরাও জানি।’
তবে মামলাগুলো হয়তো যথাযথভাবে হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি হয়রানি মামলা যেন না দেয়। যথাযথভাবে অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে যেন আমরা মামলাগুলো হয়। সরকারের জায়গা থেকে যথাযথ অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আছে সেই অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই না কেউ হয়রানির শিকার হোক।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, উপপরিচালক ডা. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ।
আন্দোলনে আহত রোগীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) ও পুরোনো বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা ৩০ জনকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। চেক তুলে দেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে যান দুই উপদেষ্টা। এ সময় তাঁরা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতি শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং সকল আহত ব্যক্তিদের এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এটি শেষ নয়, এই সাহায্য চলমান থাকবে বিভিন্নভাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জনকে ৩০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহত ও শহীদ পরিবারকে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৭৬ জন পরিবারকে এই আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে যেটা চলমান থাকবে।’
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ আরও বলেন, ‘এছাড়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩৩ জন রোগীকে ৩৩ লাখ টাকা প্লাস এবং পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি ৫৯ জন রোগীকে ৫৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা প্লাস দেওয়া হবে, যা তাঁদের বিকাশের মাধ্যমে চলে যাবে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অনেকেই চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। আমরা তাঁদের ডকুমেন্ট রাখতে বলছি। সেই খরচের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেলে সরকারিভাবে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা অনেক সময় ধরে হাসপাতালে আছেন তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের পরিবার-পরিজন কীভাবে চলবে এই বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সান্ত্বনা দিয়েছি। সাধারণ মানুষ ও সরকার তাঁদের সঙ্গে সব সময় আছে। এ বিষয়টি তাঁদের আশ্বস্ত করেছি। তাঁদের জন্য একটা ফাউন্ডেশন ও ডেটাবেইস তৈরি করেছি।’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কেন হত্যা মামলা হচ্ছে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশে গণহত্যা হয়েছে। ফ্যাসিবাদ কায়েম ছিল। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে নানা ধরনের শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যেও সেটা ছিল। অনেকেই গণহত্যার পক্ষে সরাসরি কথা বলেছেন, বৈধতা দিয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। যদি কেউ ন্যায় বিচার না পান বা মিথ্যা মামলা হয়, সেটা আমরা দেখব। সাংবাদিকসহ অন্যরা যদি মনে করেন মামলায় ভোগান্তি হচ্ছে, আমরা সেই জায়গা থেকে বিষয়টি দেখব। হত্যা মামলা যথাযথ না। যথাযথ অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হলে, সেইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকেরা যে কথা বলছেন একই কথা কিন্তু পুলিশও বলছে, ওপরের নির্দেশ ছিল। একই কথা সব সেক্টরই বলছে। তবে দোষ শুধু শেখ হাসিনার আর কারও দোষ কি ছিল না? প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কী ভূমিকা রেখেছে এটা আসলে দেশের মানুষ জানে, আমরাও জানি।’
তবে মামলাগুলো হয়তো যথাযথভাবে হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি হয়রানি মামলা যেন না দেয়। যথাযথভাবে অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে যেন আমরা মামলাগুলো হয়। সরকারের জায়গা থেকে যথাযথ অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আছে সেই অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই না কেউ হয়রানির শিকার হোক।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, উপপরিচালক ডা. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ।
নির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২৭ মিনিট আগেবাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ম
৮ ঘণ্টা আগে‘আওয়ামী লীগও অন্য যে কোনো দলের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আমরা তাঁদের রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তবে এর আগে তাদের আচরণ এবং অতীতে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায় মেনে নিতে হবে। একবার তাঁরা আইনি বাধাগুলো কাটিয়ে উঠলে নির্বাচনে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’
১০ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন করতে দিলে এই আইন সম্পর্কে ধারণা ও বাস্তবায়ন বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
১০ ঘণ্টা আগে