বিজয় দিবসে অনুষ্ঠানের আগে প্রশাসনকে জানাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২২, ২২: ৫৬

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশের যেকোনো স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। সড়কে তোরণ নির্মাণ সীমিত রাখতে হবে এবং ওভারহেড তৈরি করা যাবে না। মহান বিজয় দিবস–২০২২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আইন–শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে আরও যেসব সিদ্ধান্ত হয় সেগুলো হলো—রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্য বৃন্দসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সড়ক পথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমন ও প্রত্যাবর্তনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নির্বিঘ্নে যেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বাংলাদেশের বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কূটনৈতিকবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাতায়াতে পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সকল স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদ্‌যাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম এবং সারা দেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে অনুষ্ঠানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মাস্ক পরিধান করে অনুষ্ঠানে যেতে হবে।

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের আইজি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানগণ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত