নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা এই প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাই। দেশের সংকটময় এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছি।’
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম বলেন, ‘সাংবাদিকতার ওপর নির্যাতন, কণ্ঠরোধ এবং স্বাধীন সাংবাদিকতাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার ইতি চাই। স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ হুমকির মুখে। গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দিতে রাজনৈতিক দলের সাহায্য জরুরি।’
গণমাধ্যমের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে আজকে কথা বলতে হবে, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরে, যখন আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত একটি দেশে বসবাস করছি! ভাবতে পারিনি। গত ১৫ বছর আমরা সব সময় ভয়ে ছিলাম কিছু লেখার জন্য কখন আবার কারাগারে যেতে হয়। আজ এখনো এই বিষয়ে কথা বলতে হবে, সেটা আশা করিনি। ৫৩ বছর পরে, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পরে কথা বলতে হচ্ছে সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণের কারণে, এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আজকে কিছু মানুষ জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, কিছু কথা বলা হচ্ছে। মনে হচ্ছে পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগুলো বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে, চেতনা নিয়ে আমাদের মানুষেরা প্রাণ দিয়েছে তা ব্যর্থ হবে।’ এ সময় নির্বাচিত সরকারেই বরাবরের মতো গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার যেকোনো সরকার থেকে ভালো। সে যেই হোক, যেই আসুক। গণতন্ত্রের চর্চা হোক, যেটি ৫৩ বছরে হয়নি।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণমাধ্যম শক্তিশালী না হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। গণতন্ত্র যদি আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে অবশ্যই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আর এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষেই থাকবে আমাদের অবস্থান। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুরোনো ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মনে করি। এ সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ওপর জোর দিতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি রাষ্ট্রকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘পুরোনো ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চলছে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিজেপি সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মতবিনিময়ে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির এবং যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল হক উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা এই প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাই। দেশের সংকটময় এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছি।’
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম বলেন, ‘সাংবাদিকতার ওপর নির্যাতন, কণ্ঠরোধ এবং স্বাধীন সাংবাদিকতাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার ইতি চাই। স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ হুমকির মুখে। গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দিতে রাজনৈতিক দলের সাহায্য জরুরি।’
গণমাধ্যমের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে আজকে কথা বলতে হবে, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরে, যখন আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত একটি দেশে বসবাস করছি! ভাবতে পারিনি। গত ১৫ বছর আমরা সব সময় ভয়ে ছিলাম কিছু লেখার জন্য কখন আবার কারাগারে যেতে হয়। আজ এখনো এই বিষয়ে কথা বলতে হবে, সেটা আশা করিনি। ৫৩ বছর পরে, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পরে কথা বলতে হচ্ছে সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণের কারণে, এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আজকে কিছু মানুষ জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, কিছু কথা বলা হচ্ছে। মনে হচ্ছে পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগুলো বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে, চেতনা নিয়ে আমাদের মানুষেরা প্রাণ দিয়েছে তা ব্যর্থ হবে।’ এ সময় নির্বাচিত সরকারেই বরাবরের মতো গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার যেকোনো সরকার থেকে ভালো। সে যেই হোক, যেই আসুক। গণতন্ত্রের চর্চা হোক, যেটি ৫৩ বছরে হয়নি।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণমাধ্যম শক্তিশালী না হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। গণতন্ত্র যদি আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে অবশ্যই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আর এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষেই থাকবে আমাদের অবস্থান। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুরোনো ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মনে করি। এ সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ওপর জোর দিতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি রাষ্ট্রকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘পুরোনো ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চলছে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিজেপি সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মতবিনিময়ে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির এবং যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল হক উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে সরকার। সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে। তবে সংস্কারে কতটুকু সময় লাগবে, তা না জেনে নির্বাচনের সময়টা বলতে পারছে না সরকার।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. আফজাল হোসেন। তিনি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাঁরা বিবেককে জাগ্রত করছেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ক
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করবে, তবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংস্কার কমিশন থেকে প্রস্তাব আসবে, জনগণ কথা বলবে। চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা হবে। সেই মোতাবেক যে পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেব।
৩ ঘণ্টা আগে