নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি। বিগত ১৭ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল এই করাপ্টেড সিস্টেমগুলোর জন্য।’
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আজকে যদি এই করাপ্টেড সিস্টেমগুলোর মিনিমাম একটা সংস্কার না করে নির্বাচনের দিকে যান, ওই যে নির্বাচন কমিশন, ওইটাও একটা সিস্টেম। এই ১৬ বছরে সবচেয়ে ব্যর্থ সিস্টেম হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে তো আপনার ওই নির্বাচন কমিশনে সংস্কার প্রয়োজন। আপনি নির্বাচন কমিশনে যাদের ভোটার তালিকা দিলেন, নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন-জনবল সেট করে দিয়ে আপনি তালিকা পাঠালেন। এভাবে তো কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। পাশাপাশি একটি শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন কোনো দিনও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে না। আপনার পুরো দেশে একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন এটাকে একটা স্ট্যাবল অবস্থায় আসতে হবে। না হলে তো আপনি নির্বাচনের কেন্দ্রে জবরদখল দেখবেন।’
ক্ষমতার অপব্যবহার দেখতে চাই না, সে যে-ই হোক না কেন উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘এই নির্বাচনকে ইস্যু করে যদি কোনো সমস্যার তৈরি হয়, সেটার জন্য তো একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আপনার এই বিচারব্যবস্থার তো সংস্কার প্রয়োজন। আমরা হাইকোর্টে এখনো দেখছি দোসর, ফ্যাসিস্টরা বসে আছে, যারা তাদের যোগ্যতা বলে সেখানে যায়নি। বরং তারা তাদের জায়গা থেকে গিয়েছিল তোষামোদি আর তেলবাজি করে। তারা গিয়েছিল দলের চাটুকারিতা করতে। তাদের ওই জায়গা থেকে অপসারণ হওয়া প্রয়োজন এবং যারা ওই জায়গায় যাওয়ার যোগ্য, তাঁদের সেখানে যাওয়া প্রয়োজন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা আরও বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর বা ৫৩ বছর ধরে যে সংবিধান এই বাংলাদেশের মানুষকে পাঁচ বছরের জন্য জনতার সরকার উপহার দিতে পারেনি, প্রত্যেক পাঁচ বছরে দেখেছি অনেক বড় বড় ইশতেহার দিয়ে নির্বাচন করে। তারপরে সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার কয়েক দিনে মধ্যে তারা ভুলে যায় কী ইশতেহার দিয়েছিল। তারা ভুলে যায়, তারা জনতার সরকার। সেই জায়গা থেকে যে সংবিধান আমার যে সাংবিধানিক অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারেনি। সেখানেও আমাদের জায়গা থেকে আমরা পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করি, এই সাংবিধানিক সংস্কারটিও প্রয়োজন। আমরা বলছি না যে পুরো সংস্কার করে নির্বাচন। আমরা কখনো বলছি না পাঁচ-ছয় বছর আপনার এই সংস্কার করে তার পরে যান। কিন্তু মিনিমাম আপনার একটা স্ট্যান্ডার্ড সময় তো লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে এটা চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। এটা কখনো সম্ভব নয়। গত ১৬ বছর ধরে এই সিস্টেমকে ধীরে ধীরে ভেঙে শেষ করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এই সিস্টেমগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সিস্টেমগুলোর একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।’
সারজিস বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। গত ১৬ বছরে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বড় বড়, নামীদামি দলগুলো মিলে তার টনক বিন্দুমাত্র নড়াতে পারেনি। সেই হাসিনা কিছু লোকের জন্য ভয়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছিল বলে এই অভ্যুত্থান ঘটেছে, শেখ হাসিনা পালিয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই অভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছিল, সমর্থন দিয়েছিল, তাদের সকলের সরকার, এত জীবনের বিনিময়ে, এত রক্তের বিনিময়ে, এত মানুষের সমর্থনে যে অভ্যুত্থান হয়ে এই সরকার এসেছে। এটি বাংলাদেশের সরকার। সেই জায়গা থেকে এই সরকারের ওই অধিকারটুকু নৈতিকভাবে বলি, আইনগতভাবে বলি, অবশ্যই রয়েছে। যেই সংস্কারগুলো হওয়া প্রয়োজন, যেই সংস্কারগুলো আমরা ছাত্র-জনতার কাতার থেকে প্রত্যাশা করি, সেগুলো করার সম্পূর্ণ অধিকার এই সরকারের রয়েছে।’
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সারজিস ছাড়াও বক্তব্য দেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এ ছাড়া সংগঠনটির আরও আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ‘‘শহীদের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতার মাধ্যমে এই ফাউন্ডেশনের ফান্ড কালেকশন হচ্ছে। সেগুলোই আমরা শহীদ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আন-অফিশিয়াল আমাদের কাছে শহীদ ভাইদের ১৬০০-এরও অধিকের লিস্ট এসেছে এবং সবদিক দিয়ে ভ্যারিফায়েড এসেছে ৮৭১ জনের। আপাতত যেগুলো সবদিক দিয়ে ভ্যারিফায়েড, আমরা প্রতিটি বিভাগে গিয়ে তাদের পরিবারের হাতে দিয়ে আসছি। আমরা চাই না প্রত্যেকের পরিবার কষ্ট করে আমাদের কাছে ঢাকায় আসুক, বরং এটা আমাদের দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ব যে আমরা শহীদের পরিবারের কাছে যাব। সেই জায়গা থেকে সিলেট বিভাগীয় যে প্রোগ্রাম, সেখানে আজকে আমাদের এখানে আসা। অলরেডি আমরা ১৮টি পরিবারের কাছে সহযোগিতা দিয়েছি এবং বাকি যে পরিবারগুলো রয়েছে, সেগুলোর ডকুমেন্টগুলো আমরা কালেক্ট করছি এবং আমাদের ডকুমেন্টগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের জায়গা থেকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা এখন প্রাথমিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। আমার একজন শহীদের ভাইয়ের পরিবার যত দিন আছে, এই ফাউন্ডেশনের এটা দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতা যত দিক থেকে সম্ভব সহযোগিতা করা। সেটা হোক আর্থিক সহযোগিতা, হোক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, হোক সম্মানী একটি ভাতার ব্যবস্থা করা এবং তাঁদের ভাই-বোন যদি থাকে, তাদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা। সামগ্রিকভাবে যত দিক থেকে সম্ভব, যত দিন তাঁরা রয়েছেন, এই ফাউন্ডেশন তত দিন থাকবে এবং তাঁদের পাশেও থাকবে ইনশা আল্লাহ।’
‘আমাদের যেকোনো শহীদের পরিবার যদি মামলা করতে চায়, তাহলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। আর তাদের ব্যবহার করে কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে, যেখানে তাদের আগ্রহ নেই, সে ক্ষেত্রে সেখানে তারা যদি যে রকম সহযোগিতা চায়, আমরা সে রকম সহযোগিতা করব। এখন সকলের কাছে আমাদের অভিযোগ, এখন কারও প্ররোচনায় পড়ে যেন মামলা না হয়। তাদের যদি স্বেচ্ছায় কোনো মামলা করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তারা অবশ্যই মামলা করবে, আমরা সহযোগিতা করব। আমার আরেকটি অনুরোধ, এই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন কারও নাম যেন মামলায় না আসে। আমরা চাই যারা অপরাধী, তাদের শাস্তি হোক। যারা নিরপরাধ, তাদের যেন কোনো শাস্তি না হয়। আমরা যেকোনো সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি। বিগত ১৭ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল এই করাপ্টেড সিস্টেমগুলোর জন্য।’
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আজকে যদি এই করাপ্টেড সিস্টেমগুলোর মিনিমাম একটা সংস্কার না করে নির্বাচনের দিকে যান, ওই যে নির্বাচন কমিশন, ওইটাও একটা সিস্টেম। এই ১৬ বছরে সবচেয়ে ব্যর্থ সিস্টেম হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে তো আপনার ওই নির্বাচন কমিশনে সংস্কার প্রয়োজন। আপনি নির্বাচন কমিশনে যাদের ভোটার তালিকা দিলেন, নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন-জনবল সেট করে দিয়ে আপনি তালিকা পাঠালেন। এভাবে তো কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। পাশাপাশি একটি শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন কোনো দিনও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে না। আপনার পুরো দেশে একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন এটাকে একটা স্ট্যাবল অবস্থায় আসতে হবে। না হলে তো আপনি নির্বাচনের কেন্দ্রে জবরদখল দেখবেন।’
ক্ষমতার অপব্যবহার দেখতে চাই না, সে যে-ই হোক না কেন উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘এই নির্বাচনকে ইস্যু করে যদি কোনো সমস্যার তৈরি হয়, সেটার জন্য তো একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আপনার এই বিচারব্যবস্থার তো সংস্কার প্রয়োজন। আমরা হাইকোর্টে এখনো দেখছি দোসর, ফ্যাসিস্টরা বসে আছে, যারা তাদের যোগ্যতা বলে সেখানে যায়নি। বরং তারা তাদের জায়গা থেকে গিয়েছিল তোষামোদি আর তেলবাজি করে। তারা গিয়েছিল দলের চাটুকারিতা করতে। তাদের ওই জায়গা থেকে অপসারণ হওয়া প্রয়োজন এবং যারা ওই জায়গায় যাওয়ার যোগ্য, তাঁদের সেখানে যাওয়া প্রয়োজন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা আরও বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর বা ৫৩ বছর ধরে যে সংবিধান এই বাংলাদেশের মানুষকে পাঁচ বছরের জন্য জনতার সরকার উপহার দিতে পারেনি, প্রত্যেক পাঁচ বছরে দেখেছি অনেক বড় বড় ইশতেহার দিয়ে নির্বাচন করে। তারপরে সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার কয়েক দিনে মধ্যে তারা ভুলে যায় কী ইশতেহার দিয়েছিল। তারা ভুলে যায়, তারা জনতার সরকার। সেই জায়গা থেকে যে সংবিধান আমার যে সাংবিধানিক অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারেনি। সেখানেও আমাদের জায়গা থেকে আমরা পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করি, এই সাংবিধানিক সংস্কারটিও প্রয়োজন। আমরা বলছি না যে পুরো সংস্কার করে নির্বাচন। আমরা কখনো বলছি না পাঁচ-ছয় বছর আপনার এই সংস্কার করে তার পরে যান। কিন্তু মিনিমাম আপনার একটা স্ট্যান্ডার্ড সময় তো লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে এটা চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। এটা কখনো সম্ভব নয়। গত ১৬ বছর ধরে এই সিস্টেমকে ধীরে ধীরে ভেঙে শেষ করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এই সিস্টেমগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সিস্টেমগুলোর একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।’
সারজিস বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। গত ১৬ বছরে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বড় বড়, নামীদামি দলগুলো মিলে তার টনক বিন্দুমাত্র নড়াতে পারেনি। সেই হাসিনা কিছু লোকের জন্য ভয়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছিল বলে এই অভ্যুত্থান ঘটেছে, শেখ হাসিনা পালিয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই অভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছিল, সমর্থন দিয়েছিল, তাদের সকলের সরকার, এত জীবনের বিনিময়ে, এত রক্তের বিনিময়ে, এত মানুষের সমর্থনে যে অভ্যুত্থান হয়ে এই সরকার এসেছে। এটি বাংলাদেশের সরকার। সেই জায়গা থেকে এই সরকারের ওই অধিকারটুকু নৈতিকভাবে বলি, আইনগতভাবে বলি, অবশ্যই রয়েছে। যেই সংস্কারগুলো হওয়া প্রয়োজন, যেই সংস্কারগুলো আমরা ছাত্র-জনতার কাতার থেকে প্রত্যাশা করি, সেগুলো করার সম্পূর্ণ অধিকার এই সরকারের রয়েছে।’
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সারজিস ছাড়াও বক্তব্য দেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এ ছাড়া সংগঠনটির আরও আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ‘‘শহীদের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতার মাধ্যমে এই ফাউন্ডেশনের ফান্ড কালেকশন হচ্ছে। সেগুলোই আমরা শহীদ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আন-অফিশিয়াল আমাদের কাছে শহীদ ভাইদের ১৬০০-এরও অধিকের লিস্ট এসেছে এবং সবদিক দিয়ে ভ্যারিফায়েড এসেছে ৮৭১ জনের। আপাতত যেগুলো সবদিক দিয়ে ভ্যারিফায়েড, আমরা প্রতিটি বিভাগে গিয়ে তাদের পরিবারের হাতে দিয়ে আসছি। আমরা চাই না প্রত্যেকের পরিবার কষ্ট করে আমাদের কাছে ঢাকায় আসুক, বরং এটা আমাদের দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ব যে আমরা শহীদের পরিবারের কাছে যাব। সেই জায়গা থেকে সিলেট বিভাগীয় যে প্রোগ্রাম, সেখানে আজকে আমাদের এখানে আসা। অলরেডি আমরা ১৮টি পরিবারের কাছে সহযোগিতা দিয়েছি এবং বাকি যে পরিবারগুলো রয়েছে, সেগুলোর ডকুমেন্টগুলো আমরা কালেক্ট করছি এবং আমাদের ডকুমেন্টগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের জায়গা থেকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা এখন প্রাথমিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। আমার একজন শহীদের ভাইয়ের পরিবার যত দিন আছে, এই ফাউন্ডেশনের এটা দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতা যত দিক থেকে সম্ভব সহযোগিতা করা। সেটা হোক আর্থিক সহযোগিতা, হোক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, হোক সম্মানী একটি ভাতার ব্যবস্থা করা এবং তাঁদের ভাই-বোন যদি থাকে, তাদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা। সামগ্রিকভাবে যত দিক থেকে সম্ভব, যত দিন তাঁরা রয়েছেন, এই ফাউন্ডেশন তত দিন থাকবে এবং তাঁদের পাশেও থাকবে ইনশা আল্লাহ।’
‘আমাদের যেকোনো শহীদের পরিবার যদি মামলা করতে চায়, তাহলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। আর তাদের ব্যবহার করে কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে, যেখানে তাদের আগ্রহ নেই, সে ক্ষেত্রে সেখানে তারা যদি যে রকম সহযোগিতা চায়, আমরা সে রকম সহযোগিতা করব। এখন সকলের কাছে আমাদের অভিযোগ, এখন কারও প্ররোচনায় পড়ে যেন মামলা না হয়। তাদের যদি স্বেচ্ছায় কোনো মামলা করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তারা অবশ্যই মামলা করবে, আমরা সহযোগিতা করব। আমার আরেকটি অনুরোধ, এই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন কারও নাম যেন মামলায় না আসে। আমরা চাই যারা অপরাধী, তাদের শাস্তি হোক। যারা নিরপরাধ, তাদের যেন কোনো শাস্তি না হয়। আমরা যেকোনো সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’
গত এক বছরে খানা জরিপে সেবা খাতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তিন খাত চিহ্নিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে এই সময়ে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলছে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠানটির খানা জরিপে একই সঙ্গে বিচারিক সেবা, ভূমি ও ব্যাংকিং খাত
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর প্রশাসন ক্যাডার বাদে অন্য ২৫টি ক্যাডারের উপসচিবেরা নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দাবি করে আসছেন।
১ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক মামলার তালিকা চেয়েছে সরকার। সব পাবলিক প্রসিকিউটরকে আগামী ১৭ ডিসেম্বর মধ্যে সলিসিটরের কাছে [email protected] ইমেইলে এই তালিকা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে গতকাল সোমবার তাদের চিঠি পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসটর অনুবিভাগ।
১ ঘণ্টা আগে২০২০ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স আরোহী হিসেবে একসঙ্গে পুরো পরিবার বা এক পরিবারের একাধিক সদস্য নিহতের প্রবণতা বাড়ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা যায় গত ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় দে
২ ঘণ্টা আগে