নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দেশের সব ধরনের সড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর সুপারিশে এই নীতিমালা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ।
আজ বুধবার থেকেই এই নীতিমালা কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই নিয়ম অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবা দেওয়া যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
কোথায়, সর্বোচ্চ কেমন গতিতে চালাতে হবে গাড়ি:
এক্সপ্রেসওয়েতে
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল ৬০ কিলোমিটার এবং ট্রাক চলবে ৫০ কিলোমিটার গতিতে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহর
এসব এলাকায় মোটরসাইকেল ও ট্রাক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরের ভেতরের রাস্তা
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং ট্রাক, মোটরসাইকেল ও আর্টিকুলেটেড লরিতে গতিসীমা থাকবে ৩০ কিলোমিটার।
জেলা সড়ক
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার এবং ট্রাক ও আর্টিকুলেটেড লরির ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা ও গ্রামের রাস্তা
স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার ও আবাসিক এলাকার কাছাকাছি গতিসীমা নির্ধারণ করে দেবে। তবে জাতীয় সড়কে ৪০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটারের বেশি হবে না।
জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ)
প্রাইভেটকার, এসইউভি, মাইক্রোবাস, বাস, মিনিবাসসহ অন্যান্য হালকা যানবাহন সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। ট্রাক, মোটরসাইকেল এবং আর্টিকুলেটেড লরির জন্য সীমা হবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার।
জাতীয় সড়কে (ক্যাটাগরি বি)
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। মোটরসাইকেল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার এবং ট্রাক ও আর্টিকুলেটেড লরির গতি হবে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার।
জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যতীত-সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা-উপজেলা সদরের অভ্যন্তরীণ সড়ক
বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৪০ কিলোমিটার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলের গতিসীমা হবে ৩০ কিলোমিটার। শহর এলাকার প্রাইমারি আরবান সড়কে মাইক্রোবাস ৪০ কিলোমিটার ও মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
শহর এলাকার সংকীর্ণ সড়কে মাইক্রোবাস ৩০ কিলোমিটার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ৩০ কিলোমিটার ও মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিবেগে চলতে পারবে।
গ্রামীণ সড়কের জন্য মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গতিসীমা নির্ধারণের নীতিমালায় বলা হয়েছে—এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় সড়কে তিন চাকার যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা, গ্রামীণ সড়কে তিন চাকার যান চলতে পারবে। অনুমতি সাপেক্ষে এই সড়কে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ কিলোমিটার।
যদি কেউ গতিসীমা লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অমান্যকারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই নিয়ম অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবা দেওয়া যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধুমাত্র স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘনকুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।
দেশে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দেশের সব ধরনের সড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর সুপারিশে এই নীতিমালা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ।
আজ বুধবার থেকেই এই নীতিমালা কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই নিয়ম অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবা দেওয়া যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
কোথায়, সর্বোচ্চ কেমন গতিতে চালাতে হবে গাড়ি:
এক্সপ্রেসওয়েতে
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল ৬০ কিলোমিটার এবং ট্রাক চলবে ৫০ কিলোমিটার গতিতে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহর
এসব এলাকায় মোটরসাইকেল ও ট্রাক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরের ভেতরের রাস্তা
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং ট্রাক, মোটরসাইকেল ও আর্টিকুলেটেড লরিতে গতিসীমা থাকবে ৩০ কিলোমিটার।
জেলা সড়ক
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার এবং ট্রাক ও আর্টিকুলেটেড লরির ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা ও গ্রামের রাস্তা
স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার ও আবাসিক এলাকার কাছাকাছি গতিসীমা নির্ধারণ করে দেবে। তবে জাতীয় সড়কে ৪০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটারের বেশি হবে না।
জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ)
প্রাইভেটকার, এসইউভি, মাইক্রোবাস, বাস, মিনিবাসসহ অন্যান্য হালকা যানবাহন সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। ট্রাক, মোটরসাইকেল এবং আর্টিকুলেটেড লরির জন্য সীমা হবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার।
জাতীয় সড়কে (ক্যাটাগরি বি)
প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। মোটরসাইকেল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার এবং ট্রাক ও আর্টিকুলেটেড লরির গতি হবে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার।
জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যতীত-সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা-উপজেলা সদরের অভ্যন্তরীণ সড়ক
বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৪০ কিলোমিটার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলের গতিসীমা হবে ৩০ কিলোমিটার। শহর এলাকার প্রাইমারি আরবান সড়কে মাইক্রোবাস ৪০ কিলোমিটার ও মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
শহর এলাকার সংকীর্ণ সড়কে মাইক্রোবাস ৩০ কিলোমিটার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ৩০ কিলোমিটার ও মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিবেগে চলতে পারবে।
গ্রামীণ সড়কের জন্য মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গতিসীমা নির্ধারণের নীতিমালায় বলা হয়েছে—এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় সড়কে তিন চাকার যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা, গ্রামীণ সড়কে তিন চাকার যান চলতে পারবে। অনুমতি সাপেক্ষে এই সড়কে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ কিলোমিটার।
যদি কেউ গতিসীমা লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অমান্যকারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই নিয়ম অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবা দেওয়া যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধুমাত্র স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘনকুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।
গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিশনের সভাপতি বিচারপতি (অব.) মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যে সকল সদস্যরা গুমের সাথে জড়িত, তা তাদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায়। কারণ অপরাধীরা অনেক সময় আইনের হাত থেকে বাঁচতে তার ধর্ম, কমিউনিটি, সামাজিক গ্রুপ, ইত্যাদির
২৬ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিএনপির কর্মিসভায় ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়া নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সদস্য (স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) আব্দুল হকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক আদেশে গত সোমবার...
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। আগামীকাল বুধবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন এই উপদেষ্টা শপথ গ্রহণ...
১ ঘণ্টা আগেগুম সংক্রান্ত কমিশনে ১৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সভাপতি বিচারপতি (অব.) মইনুল ইসলাম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশনের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে