নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের ৫০-এর অধিক জেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ঢাকায় বিক্ষোভ দেখানো হয় মার্কিন দূতাবাসের সামনে। ঢাকার বাইরে পাঁচ জেলায় আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট ও জুতার কোম্পানি বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালানো হয়।
সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, বায়তুল মোকাররম, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুন বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নানা সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিকেলে কয়েকটি ছাত্রসংগঠন আবারও বিক্ষোভ দেখায়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ বলে স্লোগান দেন। সবার হাতে ‘শো ইসরায়েল দ্য রেড কার্ড’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম বলে, ‘গাজায় এমন নির্মম গণহত্যার দৃশ্য দেখার পর থেকে আর সুস্থির থাকতে পারছি না।
আজকে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা আমাদের ক্লাস বাতিল করেছি। আমরা ফিলিস্তিনি মানুষের মুক্তি চাই। স্বাধীন ফিলিস্তিন চাই।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ‘ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস’ নামের একটি জোট গতকাল সোমবার বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এদিকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের পরপরই গাজায় নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। তিন দফা হলো—২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যার রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো, মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ ও স্মারকলিপি দেওয়া এবং দেশে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মিছিলের পরপরই বিজয়নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাড্ডায় পথে নামেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জোহরের নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে শত শত মুসল্লি বেরিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করেন একদল শিক্ষার্থী। নতুন বাজারের কাছে দূতাবাসের সামনে সড়কের পাশে অবস্থান নেন তাঁরা। দূতাবাসের সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায় সেনাসদস্যদেরও। তাঁরা পথচারীদের তল্লাশি করেন ও ফুটপাতে কাউকে দাঁড়াতে বাধা দেন।
পরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস দেশটির নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করে। বড় ধরনের জমায়েত ও বিক্ষোভের স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে দেশটির নাগরিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরের পর দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা সীমিত করা হয়।
দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম বলেন, ফিলিস্তিন, গাজার জয় হবেই হবে। যত দিন এই পৃথিবী থাকবে, তত দিন ইসলামের ওই ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। এখন দরকার পুরো পৃথিবীর মুসলিমদের এক হওয়া। জিহাদ ঘোষণা করা।
এ পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এ বিষয়ে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি মো. তারেক মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অনেকে। সে জন্য এখানে দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রায় একই সময় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আসিফ লিখেন, “‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল”, সলিডারিটি। নট গোয়িং টু জয়েন ওয়ার্ক টুডে।’
সারা দেশে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে, ঢাকা ছাড়াও ৫০-এর অধিক জেলায় গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে। ‘গাজায় রক্ত ঝরছে, শিশুরা নিথর পড়ে আছে, আর আমরা কী করছি—চুপচাপ তাকিয়ে আছি?’—এই প্রশ্ন তুলে দুপুরে উত্তাল হয়ে ওঠে ফেনী শহর। বিক্ষোভে রাস্তায় নামেন নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। নগরের চাষাঢ়া গোলচত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর এনসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ হয়। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। ক্যাম্পাসের হাদি চত্বরে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ নামের ওই কর্মসূচিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশ নেন। বিকেলে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে জড়ো হন হাজারো মানুষ।
চাঁদপুরেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। শহরের হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ করেন।
ময়মনসিংহে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ নগরীর টাউন হল মোড়ে মিছিল নিয়ে জড়ো হন। তাঁদের মাথায় কালো কাপড় ও হাতে প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিবিপ্রবি) সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত ঘোষণা করে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সমাবেশ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
ঝালকাঠিতে মিছিল ও বিক্ষোভ করেন শহরবাসী। সকাল থেকে অধিকাংশ দোকান বন্ধ রাখা হয়। বগুড়ায় দুপুর থেকে শহরের সাতমাথা এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। শত শত শিক্ষার্থী আর সাধারণ মানুষ সড়কে অবস্থান নেন। তাঁরা ফিলিস্তিনের ভুক্তভোগী মানুষের জন্য দোয়া করেন। ফরিদপুরেও বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে বের হওয়া এক মিছিল মুজিব সড়ক ধরে নিলটুলী মহল্লা পার হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় ও আলীপুরের মোড় পর্যন্ত যায়।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যালি ও সংহতি সমাবেশ হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
গাজীপুরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
কেএফসি ও বাটায় ভাঙচুর
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল বলেন, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়।
সিলেট নগরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কোমল পানীয় কোকা-কোলা বিক্রির অভিযোগ এনে কেএফসিতে ভাঙচুর চালানো হয়। এর পর থেকে কেএফসি বন্ধ রয়েছে। একই মিছিলের একটি অংশের লোকজন পাশের সড়কে আন্তর্জাতিক জুতার ব্র্যান্ড বাটার শোরুমে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। জুতা লুট করা হয়।
বগুড়ায়ও বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে কেএফসির সামনে বিক্ষোভ করে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় কেএফসি বন্ধের দাবি জানান একদল যুবক।
চট্টগ্রাম নগরীতে বিকেলে ইসরায়েলবিরোধী একটি মিছিল থেকে কোকা-কোলা, সেভেনআপের সাইনবোর্ড ও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিছিল থেকে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ভাঙচুরের তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। তবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি।’
গতকাল সন্ধ্যায় খুলনার ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থিত কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার ব্রাঞ্চ এবং সেনাকল্যাণ ভবনে বাটা শোরুম ভাঙচুর করে তৌহিদী জনতা।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের ৫০-এর অধিক জেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ঢাকায় বিক্ষোভ দেখানো হয় মার্কিন দূতাবাসের সামনে। ঢাকার বাইরে পাঁচ জেলায় আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট ও জুতার কোম্পানি বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালানো হয়।
সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, বায়তুল মোকাররম, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুন বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নানা সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিকেলে কয়েকটি ছাত্রসংগঠন আবারও বিক্ষোভ দেখায়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ বলে স্লোগান দেন। সবার হাতে ‘শো ইসরায়েল দ্য রেড কার্ড’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম বলে, ‘গাজায় এমন নির্মম গণহত্যার দৃশ্য দেখার পর থেকে আর সুস্থির থাকতে পারছি না।
আজকে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা আমাদের ক্লাস বাতিল করেছি। আমরা ফিলিস্তিনি মানুষের মুক্তি চাই। স্বাধীন ফিলিস্তিন চাই।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ‘ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস’ নামের একটি জোট গতকাল সোমবার বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এদিকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের পরপরই গাজায় নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। তিন দফা হলো—২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যার রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো, মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ ও স্মারকলিপি দেওয়া এবং দেশে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মিছিলের পরপরই বিজয়নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাড্ডায় পথে নামেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জোহরের নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে শত শত মুসল্লি বেরিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করেন একদল শিক্ষার্থী। নতুন বাজারের কাছে দূতাবাসের সামনে সড়কের পাশে অবস্থান নেন তাঁরা। দূতাবাসের সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায় সেনাসদস্যদেরও। তাঁরা পথচারীদের তল্লাশি করেন ও ফুটপাতে কাউকে দাঁড়াতে বাধা দেন।
পরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস দেশটির নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করে। বড় ধরনের জমায়েত ও বিক্ষোভের স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে দেশটির নাগরিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরের পর দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা সীমিত করা হয়।
দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম বলেন, ফিলিস্তিন, গাজার জয় হবেই হবে। যত দিন এই পৃথিবী থাকবে, তত দিন ইসলামের ওই ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। এখন দরকার পুরো পৃথিবীর মুসলিমদের এক হওয়া। জিহাদ ঘোষণা করা।
এ পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এ বিষয়ে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি মো. তারেক মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অনেকে। সে জন্য এখানে দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রায় একই সময় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আসিফ লিখেন, “‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল”, সলিডারিটি। নট গোয়িং টু জয়েন ওয়ার্ক টুডে।’
সারা দেশে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে, ঢাকা ছাড়াও ৫০-এর অধিক জেলায় গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে। ‘গাজায় রক্ত ঝরছে, শিশুরা নিথর পড়ে আছে, আর আমরা কী করছি—চুপচাপ তাকিয়ে আছি?’—এই প্রশ্ন তুলে দুপুরে উত্তাল হয়ে ওঠে ফেনী শহর। বিক্ষোভে রাস্তায় নামেন নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। নগরের চাষাঢ়া গোলচত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর এনসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ হয়। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। ক্যাম্পাসের হাদি চত্বরে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ নামের ওই কর্মসূচিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশ নেন। বিকেলে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে জড়ো হন হাজারো মানুষ।
চাঁদপুরেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। শহরের হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ করেন।
ময়মনসিংহে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ নগরীর টাউন হল মোড়ে মিছিল নিয়ে জড়ো হন। তাঁদের মাথায় কালো কাপড় ও হাতে প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিবিপ্রবি) সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত ঘোষণা করে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সমাবেশ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
ঝালকাঠিতে মিছিল ও বিক্ষোভ করেন শহরবাসী। সকাল থেকে অধিকাংশ দোকান বন্ধ রাখা হয়। বগুড়ায় দুপুর থেকে শহরের সাতমাথা এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। শত শত শিক্ষার্থী আর সাধারণ মানুষ সড়কে অবস্থান নেন। তাঁরা ফিলিস্তিনের ভুক্তভোগী মানুষের জন্য দোয়া করেন। ফরিদপুরেও বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে বের হওয়া এক মিছিল মুজিব সড়ক ধরে নিলটুলী মহল্লা পার হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় ও আলীপুরের মোড় পর্যন্ত যায়।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যালি ও সংহতি সমাবেশ হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
গাজীপুরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
কেএফসি ও বাটায় ভাঙচুর
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল বলেন, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়।
সিলেট নগরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কোমল পানীয় কোকা-কোলা বিক্রির অভিযোগ এনে কেএফসিতে ভাঙচুর চালানো হয়। এর পর থেকে কেএফসি বন্ধ রয়েছে। একই মিছিলের একটি অংশের লোকজন পাশের সড়কে আন্তর্জাতিক জুতার ব্র্যান্ড বাটার শোরুমে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। জুতা লুট করা হয়।
বগুড়ায়ও বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে কেএফসির সামনে বিক্ষোভ করে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় কেএফসি বন্ধের দাবি জানান একদল যুবক।
চট্টগ্রাম নগরীতে বিকেলে ইসরায়েলবিরোধী একটি মিছিল থেকে কোকা-কোলা, সেভেনআপের সাইনবোর্ড ও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিছিল থেকে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ভাঙচুরের তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। তবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি।’
গতকাল সন্ধ্যায় খুলনার ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থিত কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার ব্রাঞ্চ এবং সেনাকল্যাণ ভবনে বাটা শোরুম ভাঙচুর করে তৌহিদী জনতা।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের ৫০-এর অধিক জেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের ৫০-এর অধিক জেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তাঁকে তলব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, ঢাকায় কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশেপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক—এমনটাই প্রত্যাশিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘মিথ্যা বয়ান’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের সঙ্গে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রেখে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন এবং অন্যান্য বিদেশি পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে, এই তলবের মূল কারণ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য বলে উল্লেখ করা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গ আনা হয়নি।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তাঁকে তলব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, ঢাকায় কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশেপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক—এমনটাই প্রত্যাশিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘মিথ্যা বয়ান’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের সঙ্গে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রেখে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন এবং অন্যান্য বিদেশি পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে, এই তলবের মূল কারণ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য বলে উল্লেখ করা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গ আনা হয়নি।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের ৫০-এর অধিক জেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের মালপত্রের (ব্যাগেজ) নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট (জিএইচএ) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানটি ব্যাগেজ পরিবহনপ্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ট্রাফিক স্টাফদের জন্য বডি ক্যামেরা সংযোজন করেছে।
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি যেসব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেয়, তাদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, বডি ক্যামেরা সংযোজনের ফলে ব্যাগেজ চুরি, হারানো কিংবা ক্ষতির অভিযোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব হবে। কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা যাবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আস্থা ও সন্তুষ্টি আরও সুদৃঢ় হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবার একটি অভিন্ন কাঠামো প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বডি ক্যামেরা উদ্যোগটি বিবেচিত হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ও আস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যকর ও আধুনিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের মালপত্রের (ব্যাগেজ) নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট (জিএইচএ) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানটি ব্যাগেজ পরিবহনপ্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ট্রাফিক স্টাফদের জন্য বডি ক্যামেরা সংযোজন করেছে।
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি যেসব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেয়, তাদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, বডি ক্যামেরা সংযোজনের ফলে ব্যাগেজ চুরি, হারানো কিংবা ক্ষতির অভিযোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব হবে। কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা যাবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আস্থা ও সন্তুষ্টি আরও সুদৃঢ় হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবার একটি অভিন্ন কাঠামো প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বডি ক্যামেরা উদ্যোগটি বিবেচিত হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ও আস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যকর ও আধুনিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের ৫০-এর অধিক জেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
২ ঘণ্টা আগে