সুলতান মাহমুদ, ঢাকা
বাল্যবিবাহ নিয়ে আমাদের দেশে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১৯২৯’ কার্যকর ছিল। পরে তা বাতিল করে সময়োপযোগী ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়। নতুন আইনে ছেলে ২১ বছরের আগে এবং মেয়ে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করলে সেটিকে বাল্যবিবাহ বলে গণ্য করা হয়।
এই আইনে বাল্যবিবাহকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ অপ্রাপ্তবয়স্ককে বিয়ে করলে অর্থাৎ বাল্যবিবাহ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রাপ্তবয়স্ক কেউ এই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। জরিমানার টাকা না দিলে আরও তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আর অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক মাসের আটকাদেশ বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ২(৩) ধারায় ছেলের বিয়ের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এই আইনের ১৯ ধারায় বিশেষ কোনো পরিস্থিতি, যেমন—অপ্রাপ্তবয়স্কের আত্মহত্যার আশঙ্কা বা অপ্রত্যাশিতভাবে গর্ভধারণ করলে বা ভ্রূণ হত্যার মতো পরিস্থিতি বিবেচনায়—এ বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে।
ধরা যাক, কলেজপড়ুয়া দুজন ছাত্র-ছাত্রী প্রেমে পড়ল। মেয়ের বয়স ১৮ হয়নি এবং ছেলের বয়স ২১-এর কম। প্রেমের একপর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়াল। এতে মেয়েটি গর্ভধারণ করল। বাংলাদেশের আইনে যৌক্তিক কারণ (স্বাস্থ্য সমস্যা বা জীবনঝুঁকি) ছাড়া গর্ভপাত নিষিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে যদি তাদের বিয়ে দেওয়া না হয় বা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার যুক্তিতে বিয়ের বৈধতা দেওয়া না হয়, তাহলে মেয়েটির ও অনাগত সন্তানটির ভবিষ্যৎ কী হবে?
সামাজিক ও বাস্তবিক এমন নানা পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৯ ধারার বিধান রাখা হয়েছে।
১৯ ধারায় বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং বাবা-মা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে সম্পাদিত হলে, তা এই আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর ১৯ ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিশেষ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ বৈধ হওয়ার শর্তগুলো হলো:
১. আদালতের নির্দেশ থাকতে হবে।
২. বাবা-মা অথবা অভিভাবকের সম্মতি থাকতে হবে।
৩. নাবালিকা বা অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে।
এ ছাড়া বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা-২০১৮-এর ১৭ বিধি অনুযায়ী বিশেষ বিধান প্রয়োগে দুই পক্ষকে যৌথভাবে আদালতে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পক্ষগুলো হতে পারে: ক. উভয় পক্ষের পিতামাতা, খ. আইনগত অভিভাবক এবং গ. অপ্রাপ্তবয়স্ক পাত্রপাত্রীসহ উভয়পক্ষ।
আবেদন পাওয়ার পর আদালত আবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যাচাই কমিটির কাছে পাঠাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সভাপতিত্বে সাত সদস্যের যাচাই কমিটি ওই বিয়ের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদন যাচাই কমিটিতে বিবেচনায় নিতে হবে যে বিয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে হবে।
বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা, ২০১৮-এর ১৭ বিধিতে বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহের বিশেষ বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে:
১. বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর ১৯ ধারার বিশেষ বিধানের আলোকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত আদালতে উভয় পক্ষের বাবা-মা/আইনগত অভিভাবক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কসহ উভয়পক্ষ অথবা বিয়ের পাত্রপাত্রী উভয়ে যৌথ আবেদন করবে।
আবেদনের ভিত্তিতে কারণ উল্লেখপূর্বক দালিলিক প্রমাণসহ (যদি থাকে) আবেদন করতে হবে। আদালত আবেদনটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এ বিধির ১৭ (৩) (ক) বিধিতে গঠিত ‘যাচাই কমিটি’তে সেটি পাঠাবেন।
২. যাচাই কমিটি বিষয়টি যাচাই করে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত বিয়ের বৈধতার বিষয়ে আদেশ দেবেন।
বাল্যবিবাহ নিয়ে আমাদের দেশে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১৯২৯’ কার্যকর ছিল। পরে তা বাতিল করে সময়োপযোগী ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়। নতুন আইনে ছেলে ২১ বছরের আগে এবং মেয়ে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করলে সেটিকে বাল্যবিবাহ বলে গণ্য করা হয়।
এই আইনে বাল্যবিবাহকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ অপ্রাপ্তবয়স্ককে বিয়ে করলে অর্থাৎ বাল্যবিবাহ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রাপ্তবয়স্ক কেউ এই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। জরিমানার টাকা না দিলে আরও তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আর অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক মাসের আটকাদেশ বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ২(৩) ধারায় ছেলের বিয়ের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এই আইনের ১৯ ধারায় বিশেষ কোনো পরিস্থিতি, যেমন—অপ্রাপ্তবয়স্কের আত্মহত্যার আশঙ্কা বা অপ্রত্যাশিতভাবে গর্ভধারণ করলে বা ভ্রূণ হত্যার মতো পরিস্থিতি বিবেচনায়—এ বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে।
ধরা যাক, কলেজপড়ুয়া দুজন ছাত্র-ছাত্রী প্রেমে পড়ল। মেয়ের বয়স ১৮ হয়নি এবং ছেলের বয়স ২১-এর কম। প্রেমের একপর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়াল। এতে মেয়েটি গর্ভধারণ করল। বাংলাদেশের আইনে যৌক্তিক কারণ (স্বাস্থ্য সমস্যা বা জীবনঝুঁকি) ছাড়া গর্ভপাত নিষিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে যদি তাদের বিয়ে দেওয়া না হয় বা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার যুক্তিতে বিয়ের বৈধতা দেওয়া না হয়, তাহলে মেয়েটির ও অনাগত সন্তানটির ভবিষ্যৎ কী হবে?
সামাজিক ও বাস্তবিক এমন নানা পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৯ ধারার বিধান রাখা হয়েছে।
১৯ ধারায় বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং বাবা-মা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে সম্পাদিত হলে, তা এই আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর ১৯ ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিশেষ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ বৈধ হওয়ার শর্তগুলো হলো:
১. আদালতের নির্দেশ থাকতে হবে।
২. বাবা-মা অথবা অভিভাবকের সম্মতি থাকতে হবে।
৩. নাবালিকা বা অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে।
এ ছাড়া বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা-২০১৮-এর ১৭ বিধি অনুযায়ী বিশেষ বিধান প্রয়োগে দুই পক্ষকে যৌথভাবে আদালতে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পক্ষগুলো হতে পারে: ক. উভয় পক্ষের পিতামাতা, খ. আইনগত অভিভাবক এবং গ. অপ্রাপ্তবয়স্ক পাত্রপাত্রীসহ উভয়পক্ষ।
আবেদন পাওয়ার পর আদালত আবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যাচাই কমিটির কাছে পাঠাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সভাপতিত্বে সাত সদস্যের যাচাই কমিটি ওই বিয়ের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদন যাচাই কমিটিতে বিবেচনায় নিতে হবে যে বিয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে হবে।
বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা, ২০১৮-এর ১৭ বিধিতে বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহের বিশেষ বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে:
১. বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর ১৯ ধারার বিশেষ বিধানের আলোকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত আদালতে উভয় পক্ষের বাবা-মা/আইনগত অভিভাবক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কসহ উভয়পক্ষ অথবা বিয়ের পাত্রপাত্রী উভয়ে যৌথ আবেদন করবে।
আবেদনের ভিত্তিতে কারণ উল্লেখপূর্বক দালিলিক প্রমাণসহ (যদি থাকে) আবেদন করতে হবে। আদালত আবেদনটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এ বিধির ১৭ (৩) (ক) বিধিতে গঠিত ‘যাচাই কমিটি’তে সেটি পাঠাবেন।
২. যাচাই কমিটি বিষয়টি যাচাই করে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত বিয়ের বৈধতার বিষয়ে আদেশ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
৩ ঘণ্টা আগেগত ৫ মাসে (৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে) সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে