Ajker Patrika

বিপাকে ৭ হাজার আমিরাত প্রবাসী, বিমানবন্দরে ল্যাব বসানোর দাবি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বিপাকে ৭ হাজার আমিরাত প্রবাসী, বিমানবন্দরে ল্যাব বসানোর দাবি

দীর্ঘদিন ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ছুটিতে দেশে এসে আটকা পড়েছেন প্রায় ৭ হাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) প্রবাসী। দেশটির নতুন শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটের ছয় ঘণ্টার মধ্যে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট করে করোনাভাইরাস নেগেটিভ রিপোর্ট পেতে হবে। তা না হলে প্রবেশের অনুমতি দেবে না ইউএই। এ পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন আরব আমিরাত প্রবাসীরা।

গত ১৩ মে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ছাড়ার আগে ছয় ঘণ্টার মধ্যে র‍্যাপিড পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্টপ্রাপ্ত যাত্রীদেরই শুধু আরব আমিরাতে প্রবেশের অনুমতির কথা জানানো হয়। আরব আমিরাতে প্রবেশের দ্বিতীয়বার করোনা টেস্ট করতে হবে। এশিয়ার মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপালের জন্যও একই নির্দেশনা দিয়েছে দেশটি। এই কারণে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। 

আন্দোলনরত আরব আমিরাত প্রবাসী এসএম মহিউদ্দিন বেলাল বলেন, প্রায় ৭ হাজার প্রবাসী ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গেছে, অনেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পথে। শুধু দুবাই সরকার ভিসার মেয়াদ বাড়ালেও, অন্য রাজ্যগুলোতে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ফলে অনেক প্রবাসীর ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারের কাছে একটি দাবি জানাচ্ছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে সরকারিভাবে ল্যাব স্থাপন করা হয়। 

দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে র‍্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই আন্দোলন চলছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে মানববন্ধন হয়েছে। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। 

আটকে পড়া প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অনেকে কাজ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। যাদের ব্যবসা আছে তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। নির্দেশনাটি আসার পর ভারত ও পাকিস্তান বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে। ফলে দেশ দুটির প্রবাসীরা ফিরে যাচ্ছেন। 

এদিকে গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ ও ইউএইর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউএইতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। আর ইউএইর পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সাইফ আল সুয়াইদি। বৈঠকে সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি ইউএইতে ফেরত আসতে চাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা হয়। তবে এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি এখনো দৃশ্যমান হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত