নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চলমান কঠোর লকডাউনে বন্ধ রয়েছে বাস, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল। যানবাহন বন্ধ থাকলেও মানুষের যাতায়াত থেমে নেই। গত ঈদুল ফিতরেও বন্ধ ছিল যানবাহন। তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্নভাবে ঢাকা ছেড়েছিল মানুষ। ঈদে যেহেতু কোনোভাবেই মানুষের বাড়ি ফেরা আটকানো যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্তত ঈদের সাত দিন বাস ও লঞ্চ চালু কথা বলছেন বাস ও লঞ্চ মালিকেরা।
পরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মানুষ রাজধানী ছাড়েন। এসব বাহনে ভোগান্তি, বাড়তি ভাড়া, জীবনের ঝুঁকি গাদাগাদি করে যান সবাই। এতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই থাকে না। যার ফলে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি থাকে। এমন অবস্থায় ঈদে পরিবহন চালু করতে চান তাঁরা।
পরিবহন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ' চিরাচরিত নিয়মে বাঙালি ঈদে ঘরে ফিরবে। যেটা সরকার লকডাউন দিয়েও কোনোভাবে আটকাতে পারেনি মানুষের ঘরে ফেরা। গত ঈদেও আমরা দেখেছি মানুষ কীভাবে বাড়ি ফিরেছেন। তাই মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে এবার অন্তত ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালু করা হোক। আমরা গাড়ি চালাতে চাই'।
পরিবহন মালিকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ের লকডাউনে পরিবহন খাতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নিদারুণ কষ্টে আছেন শ্রমিকেরা। মালিকদের কথা আর কি বলব। চোখের সামনে নতুন নতুন গাড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবহন বন্ধ থাকায় আমরা দিন দিন হতাশ হয়ে যাচ্ছি। তাই শ্রমিক ও মালিকদের বাঁচিয়ে রাখতে ঈদের কটা দিন অন্তত পরিবহন চালু করা হোক। এতে যাত্রীরাও উপকৃত হবেন, গাদাগাদি করে যাওয়াটা বন্ধ হবে।'
একই অবস্থা নৌপথেও। লকডাউনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে লঞ্চ মালিকের। দীর্ঘসময় লঞ্চ বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের প্রণোদনা পাচ্ছেন না তাঁরা। লঞ্চ বন্ধ থাকায় নৌপথের যাত্রীরা ফেরিতে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছেন।
লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ' মানুষের ঘরে ফেরা কোনোভাবেই আটকাতে পারেনি সরকার। তাই সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরভাবে বাড়ি ফিরতে পারে তার জন্য লঞ্চ চালু করা হোক। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি গেছে গত ঈদে। ফেরিতে গাদাগাদি করে যেতে গিয়ে অনেক যাত্রী মারাও গেছেন। ফেরিতে গাদাগাদি করে যাওয়ার জন্য সংক্রমণও বেশি ছড়িয়েছে।'
বদিউজ্জামান বাদল আরও বলেন, 'আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি অন্তত ঈদের সময়টাতে মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে। ঈদের সাত দিন নৌযান চালু করা হোক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আশ্বাস পাইনি'।
এ ছাড়া ঈদে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। ট্রেন যেহেতু সরকারি সংস্থা, সরকার চাইলেই চলবে। না চাইলে বন্ধই থাকবে বলে বাংলাদেশে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও জামলাপুর থেকে ঢাকায় পশু পরিবহন চলবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন।
জনস্বাস্থ্যবিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন 'জনস্বাস্থ্যের ভাষায় সবকিছু বন্ধ রাখা হলো প্রেসক্রিপশন। এখন সেই প্রেসক্রিপশন সরকার কতটা মডিফাই করবেন সেটাই হলো মূল বিষয়। মানুষের কষ্ট যত টুকু লাঘব করা যায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায় তার ভারসাম্য করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।'
করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চলমান কঠোর লকডাউনে বন্ধ রয়েছে বাস, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল। যানবাহন বন্ধ থাকলেও মানুষের যাতায়াত থেমে নেই। গত ঈদুল ফিতরেও বন্ধ ছিল যানবাহন। তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্নভাবে ঢাকা ছেড়েছিল মানুষ। ঈদে যেহেতু কোনোভাবেই মানুষের বাড়ি ফেরা আটকানো যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্তত ঈদের সাত দিন বাস ও লঞ্চ চালু কথা বলছেন বাস ও লঞ্চ মালিকেরা।
পরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মানুষ রাজধানী ছাড়েন। এসব বাহনে ভোগান্তি, বাড়তি ভাড়া, জীবনের ঝুঁকি গাদাগাদি করে যান সবাই। এতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই থাকে না। যার ফলে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি থাকে। এমন অবস্থায় ঈদে পরিবহন চালু করতে চান তাঁরা।
পরিবহন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ' চিরাচরিত নিয়মে বাঙালি ঈদে ঘরে ফিরবে। যেটা সরকার লকডাউন দিয়েও কোনোভাবে আটকাতে পারেনি মানুষের ঘরে ফেরা। গত ঈদেও আমরা দেখেছি মানুষ কীভাবে বাড়ি ফিরেছেন। তাই মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে এবার অন্তত ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালু করা হোক। আমরা গাড়ি চালাতে চাই'।
পরিবহন মালিকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ের লকডাউনে পরিবহন খাতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নিদারুণ কষ্টে আছেন শ্রমিকেরা। মালিকদের কথা আর কি বলব। চোখের সামনে নতুন নতুন গাড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবহন বন্ধ থাকায় আমরা দিন দিন হতাশ হয়ে যাচ্ছি। তাই শ্রমিক ও মালিকদের বাঁচিয়ে রাখতে ঈদের কটা দিন অন্তত পরিবহন চালু করা হোক। এতে যাত্রীরাও উপকৃত হবেন, গাদাগাদি করে যাওয়াটা বন্ধ হবে।'
একই অবস্থা নৌপথেও। লকডাউনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে লঞ্চ মালিকের। দীর্ঘসময় লঞ্চ বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের প্রণোদনা পাচ্ছেন না তাঁরা। লঞ্চ বন্ধ থাকায় নৌপথের যাত্রীরা ফেরিতে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছেন।
লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ' মানুষের ঘরে ফেরা কোনোভাবেই আটকাতে পারেনি সরকার। তাই সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরভাবে বাড়ি ফিরতে পারে তার জন্য লঞ্চ চালু করা হোক। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি গেছে গত ঈদে। ফেরিতে গাদাগাদি করে যেতে গিয়ে অনেক যাত্রী মারাও গেছেন। ফেরিতে গাদাগাদি করে যাওয়ার জন্য সংক্রমণও বেশি ছড়িয়েছে।'
বদিউজ্জামান বাদল আরও বলেন, 'আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি অন্তত ঈদের সময়টাতে মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে। ঈদের সাত দিন নৌযান চালু করা হোক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আশ্বাস পাইনি'।
এ ছাড়া ঈদে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। ট্রেন যেহেতু সরকারি সংস্থা, সরকার চাইলেই চলবে। না চাইলে বন্ধই থাকবে বলে বাংলাদেশে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও জামলাপুর থেকে ঢাকায় পশু পরিবহন চলবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন।
জনস্বাস্থ্যবিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন 'জনস্বাস্থ্যের ভাষায় সবকিছু বন্ধ রাখা হলো প্রেসক্রিপশন। এখন সেই প্রেসক্রিপশন সরকার কতটা মডিফাই করবেন সেটাই হলো মূল বিষয়। মানুষের কষ্ট যত টুকু লাঘব করা যায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায় তার ভারসাম্য করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।'
অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা–সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁদের প্রেস মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
৪২ মিনিট আগেবিগত সময়ে বঞ্চিত হওয়া অতিরিক্ত সচিবদের গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি থেকে বিদায় করবে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান...
২ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যাবে...
২ ঘণ্টা আগেপাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনসহ মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগে