Ajker Patrika

কলকাতায় সিলেট আ.লীগের ৫ নেতার জামিন, অপপ্রচারের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
গ্রেপ্তারেরা হলেন নাসির উদ্দিন খান, আলম খান মুক্তি, আবদুল লতিফ রিপন ও ইলিয়াস আহমেদ জুয়েল। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তারেরা হলেন নাসির উদ্দিন খান, আলম খান মুক্তি, আবদুল লতিফ রিপন ও ইলিয়াস আহমেদ জুয়েল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কলকাতায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সিলেট আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস জেলার এমলারিয়াং বিচারিক আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি গ্রেপ্তার নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আজ শনিবার রাতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন-সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উপর্যুপরি মিথ্যা মামলা ও রাজনৈতিক হয়রানির কারণে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খানসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে ‘পুলিশ অনুমোদন’ নিয়ে মেঘালয় রাজ্যের শিলং অবস্থান করেন। সম্প্রতি শিলং শহরে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে মেঘালয় রাজ্যের শিলং থেকে পশ্চিম বঙ্গের কলকাতায় চলে যান।

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত না করেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ায় ইমিগ্রেশন আইনে কলকাতায় সিলেট আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখলাম বাংলাদেশে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ইমিগ্রেশন আইনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের এই গ্রেপ্তারকে ন্যক্কারজনকভাবে ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ফলাও ভাবে প্রচার করা হলো। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা দায়িত্বহীন সাংবাদিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে আমি মনে করি।

এতে আরও বলা হয়, মূলত আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত এবং নেতৃবৃন্দকে হেয় করতেই এই অসত্য, কাল্পনিক, মনগড়া, বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়। আমি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যে সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এই ধরনের অসত্য সংবাদ প্রচার করেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করছি এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সত্য সংবাদ পুনরায় প্রচার করার জন্য। তবে কতিপয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সত্য সংবাদ পরিবেশন করেছেন। আমি তাদের দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে সত্য সংবাদ পরিবেশন করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত