বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ভারতীয় সিনেমা দেখানোর প্রস্তাব

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ২১: ৪৩
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ২১: ৫৪

বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ভারতের চলচ্চিত্র দেখাতে প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের চলচ্চিত্র দেখানোর সুযোগ করে দিলে তা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে বিনিয়োগ নিয়ে আসবে।’ 

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ প্রস্তাব দেন হাইকমিশনার। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রেইন বো ফিল্ম সোসাইটি। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। 

এ ছাড়া চলতি বছরের চলচিত্র উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমসহ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরাও উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিরাও ছিলেন। 

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমি এখানে একটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ভারতের চলচ্চিত্র বাণিজ্যিকভাবে দেখানোর জন্য আমাদের অনুরোধটি আশা করি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে। চলচ্চিত্র এমন একটি শিল্প, যা তৈরি করা হয়েছে সীমান্ত ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য।’ 

বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের মধ্যে সহযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘শিল্প খাতে দুই দেশ সহযোগিতা বিনিময় করে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে। যা ভারতের চলচ্চিত্রকে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে দেখানোর সম্মতি দেয়। আর বাণিজ্যিকভাবে ভারতের চলচ্চিত্র দেখানো হলে তা বাংলাদেশ ও ভারতের উভয়ের চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়ন ঘটাবে, তা শিল্পের বিকাশের দিক থেকে এবং সেই সঙ্গে এ খাতে বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে। আর তা এ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে, প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণে অর্থায়ন আনবে।’ 

রেইন বো ফিল্ম সোসাইটির প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা ঢাকাকে শিল্পজগতে দেশের বাইরে তুলে ধরেছে। চলচ্চিত্র প্রজন্মের উন্নয়নে ভূমিকার রাখে।’ 

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশে সবচেয়ে সম্মানজনক একটি অনুষ্ঠান, যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রজগতে ইতিবাচক সংস্কৃতি তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। সমাজ গঠনে চলচ্চিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে চলচ্চিত্রকে তৎকালীন সময়ে তারা হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিল। আর তাতে তারা সফলও হয়েছে।’ 

এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘চলতি বছরে ৭০টি দেশের ২২৫টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। প্রতিটি চলচ্চিত্র সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটায়। চলচ্চিত্র আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি বিশ্বাস করি উৎসব আমাদের সংস্কৃতিকে দৃঢ় ও উন্নত করবে।’ 

চলতি বছরের উৎসবে যতটুকু সম্ভব ততটুকু সামাজিক দূরত্ব রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ‘এবারের উৎসবে সবচেয়ে ভালো চিত্রনাট্যকে ৫ হাজার ডলার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার বিষয়টিও থাকবে। আর এতে অংশ নিতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগীরা বেশি এসেছেন। এবারও প্রায় ২০ লাখ টাকার তহবিল ঘাটতি রয়েছে। সামনের বছরগুলোতে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আশা করি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত