শাপলা চত্বরের ঘটনায় শেখ হাসিনা-বেনজীর-শাহরিয়ার কবীরসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে হেফাজতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৪, ২০: ৩৯
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৪, ২০: ৫৩

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মসূচিতে গণহত্যা, লাশ গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী এই অভিযোগ করেন। তাঁর আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

আবেদনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, ডিবি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাঈমুল ইসলাম খান, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদ। 

আবেদনে তৎকালীন সময়ের অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতিনির্ধারকদের আসামি করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ৬ মে রাতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আড়াই থেকে তিন হাজার হেফাজত কর্মীকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকায় এবং ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় অভিযোগ দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। চারটি অভিযোগের তদন্তই একসঙ্গে হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে পাঠানো হবে। 

আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন কোর্ট বসছে না এবং প্রসিকিউটরও কেউ নেই। প্রসিকিউটর নিয়োগ হলে তাঁদের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত