সংশোধিত শ্রম আইন আন্তর্জাতিক মানের করার দাবি করছে আইএলও: আইনমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
Thumbnail image

সংশোধিত শ্রম আইনটি আন্তর্জাতিক মানের করার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। বাংলাদেশ সচিবালয়ে তিন দিন ধরে চলমান বৈঠক শেষে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। 

আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কিছু পরামর্শ দিতে চায়। আইনটি যাতে আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়—সে ব্যাপারে তাঁরা পরার্মশ দিয়েছেন। আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্টের পরামর্শগুলো যাতে কমপ্লায়েন্ট হয়, সেই বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য ছিল। 

আনিসুল হক বলেন, ‘আইএলওর কো-অপারেশন সরকারের পক্ষ থেকে সেটা আমরা চালিয়ে যেতে চাচ্ছি। সে জন্যই মূলত তিন দিন ধরে শ্রম আইনের খসড়া পর্যালোচনা করেছি। তাঁরা এখানে মূলত কিছু কিছু ইস্যু সংশোধন করার কথা বলেছেন।’ 

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু কিছু বিষয়ে এসেছিল যা নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। সেটি আমি বলেছি, নীতি-নির্ধারণ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁদের সেই প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করব কি করব না সেটার সিদ্ধান্ত নীতিনির্ধারক পর্যায়ে নেওয়া হবে।’ 

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইন সংশোধনের কিছু কিছু বিষয় আছে যা ত্রিপক্ষীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তাঁদের বক্তব্য নোট করেছি, তাঁদের বক্তব্য সেখানে তুলে ধরা হবে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি না হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

আনিসুল হক বলেন, ‘কিছু কিছু ইস্যু আছে, যেগুলো মনে হয়েছে গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সে জন্য এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলব না। বিস্তারিত বলতে গেলে হয়তো কোথাও ভুল করব, সে জন্য আমি বলব না।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে তাঁদের বক্তব্য শুনেছি। প্রত্যেকটা ইস্যু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ রকম মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি— সেটা শুধু স্টেক হোল্ডারদের জন্যই ভালো নয়, আমার মনে হয় এই আলোচনাটাই আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।’ 

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন পড়েছেন, সেখানে তাঁরা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ করেছেন।’ 

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যে থ্রেডহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তাঁরা এটির প্রশংসা করেছেন। তাঁরা চায় এটা আরও কমে আসুক। আমরা যে বাস্তবতার কথা বলেছি, আমরা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এটা আমরা ধীরে ধীরে নামাব। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা ধীরে ধীরে নামাচ্ছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের উভয়ের পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত