কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বরং বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনাকারী দেশগুলোকে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইউরোপের কয়েকটি দেশ সফর করে এসে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে কি-না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সবচেয়ে অবাক করা বিষয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে সবাই ধারণা করেছিল, তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে খুব ত্যক্ত করবেন। তবে এ নিয়ে তিনি একটি কথাও বলেননি। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলেছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার বলেছেন যে, এটি সব দেশেই রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগের উন্নতির দরকার রয়েছে। আমাদের বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে কেউ কোনো কথাই বলেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদন যখন এসেছিল, তখন আমরা তার সমালোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যের মতো দেশ যখন কোনো প্রতিবেদন লিখবে, তা গবেষণা করে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন করলে তা আমাদের জন্য ভালো হয়। আর যদি পত্রিকার খবর দেখে আর ব্যক্তি বিশেষের মতামতের ভিত্তিতে করা হয়, সেটি দুঃখের বিষয় এবং অপরিপক্বতার প্রমাণ। আমরা আশা করি, সেই সকল দেশ যথেষ্ট পরিপক্বতা অর্জন করেছে। এবারের বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
সমালোচনাকারী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে একে আবদুল মোমেন বলেন, পত্রিকা ও অধিকারের কাছে তথ্য পাই যে,২০১৮ সালে ৯০০ লোক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্যে ৭ লাখ ৭০ হাজার ধর্ষণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫ হাজার ৭৬৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের ১ শতাংশ লোকের শাস্তি হয়েছে। আর শাস্তিটা হলো এক দিনের জেল। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশকে বলার আগে এ দেশগুলোকে আয়নায় চেহারা দেখতে পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সমালোচনাও করেন তিনি।
আফগানিস্তান ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, এ ইস্যুতে সবাই বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি যে, এ বিষয়ে আমরা এখনো পর্যবেক্ষণে রয়েছি। বাংলাদেশিরা যারা ছিলেন, তাঁরা বের হয়ে এসেছে।
আফগানিস্তানে নতুন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে রাষ্ট্রগুলো প্রশ্নে করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের অবস্থা ও নীতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অনেকে জিজ্ঞাসা করেছে আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারত বা পাকিস্তান যা করেছে সেটি করবেন কি-না? কে কী করলো এটি আমাদের জন্য মুখ্য নয়। আমরা চাই আফগানে জনগণের ইচ্ছায় সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। সেই ভাবে সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আমরা স্বাগত জানাব। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আফগানিস্তান নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের আফগানের লোক নেবে। আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের তো আপনারা নেননি। ১১ লাখ রোহিঙ্গা পড়ে রয়েছে। সুখবর হচ্ছে, তাঁরা রোহিঙ্গা নিয়ে আবারও সোচ্চার হবেন।
ইউরোপ সফরে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কি-না? এ নিয়ে একে আবদুল মোমেন বলেন, না, এখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে। এ নিয়ে তিনি কাজ করছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বরং বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনাকারী দেশগুলোকে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইউরোপের কয়েকটি দেশ সফর করে এসে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে কি-না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সবচেয়ে অবাক করা বিষয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে সবাই ধারণা করেছিল, তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে খুব ত্যক্ত করবেন। তবে এ নিয়ে তিনি একটি কথাও বলেননি। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলেছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার বলেছেন যে, এটি সব দেশেই রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগের উন্নতির দরকার রয়েছে। আমাদের বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে কেউ কোনো কথাই বলেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদন যখন এসেছিল, তখন আমরা তার সমালোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যের মতো দেশ যখন কোনো প্রতিবেদন লিখবে, তা গবেষণা করে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন করলে তা আমাদের জন্য ভালো হয়। আর যদি পত্রিকার খবর দেখে আর ব্যক্তি বিশেষের মতামতের ভিত্তিতে করা হয়, সেটি দুঃখের বিষয় এবং অপরিপক্বতার প্রমাণ। আমরা আশা করি, সেই সকল দেশ যথেষ্ট পরিপক্বতা অর্জন করেছে। এবারের বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
সমালোচনাকারী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে একে আবদুল মোমেন বলেন, পত্রিকা ও অধিকারের কাছে তথ্য পাই যে,২০১৮ সালে ৯০০ লোক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্যে ৭ লাখ ৭০ হাজার ধর্ষণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫ হাজার ৭৬৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের ১ শতাংশ লোকের শাস্তি হয়েছে। আর শাস্তিটা হলো এক দিনের জেল। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশকে বলার আগে এ দেশগুলোকে আয়নায় চেহারা দেখতে পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সমালোচনাও করেন তিনি।
আফগানিস্তান ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, এ ইস্যুতে সবাই বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি যে, এ বিষয়ে আমরা এখনো পর্যবেক্ষণে রয়েছি। বাংলাদেশিরা যারা ছিলেন, তাঁরা বের হয়ে এসেছে।
আফগানিস্তানে নতুন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে রাষ্ট্রগুলো প্রশ্নে করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের অবস্থা ও নীতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অনেকে জিজ্ঞাসা করেছে আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারত বা পাকিস্তান যা করেছে সেটি করবেন কি-না? কে কী করলো এটি আমাদের জন্য মুখ্য নয়। আমরা চাই আফগানে জনগণের ইচ্ছায় সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। সেই ভাবে সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আমরা স্বাগত জানাব। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আফগানিস্তান নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের আফগানের লোক নেবে। আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের তো আপনারা নেননি। ১১ লাখ রোহিঙ্গা পড়ে রয়েছে। সুখবর হচ্ছে, তাঁরা রোহিঙ্গা নিয়ে আবারও সোচ্চার হবেন।
ইউরোপ সফরে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কি-না? এ নিয়ে একে আবদুল মোমেন বলেন, না, এখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে। এ নিয়ে তিনি কাজ করছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ব্যালটে ভোট গ্রহণসহ নানা প্রস্তাব নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে তুলে ধরেছেন রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্
৩৮ মিনিট আগেগণমাধ্যমে গুজব প্রচারের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন
২ ঘণ্টা আগেগণমাধ্যমে হামলাসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মব জাস্টিস কঠোর হস্তে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। একই সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানান তারা। সম্পাদক পরিষদ মনে করে, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এখনো নিরাপত্তা হুমকিত
৩ ঘণ্টা আগেসংবিধান নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চায় সংস্কার কমিশন। এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সারা দেশে জরিপ শুরু করবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ। এর আগে, বিএনপির পক্ষ থেকে সংবিধানের বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব জমা
৩ ঘণ্টা আগে