টুকু, পলক ও ছাত্রলীগের সৈকত ১০ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ২২
Thumbnail image

রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশা চালক হত্যা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিকেলে টুকু, পলক ও সৈকতকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

টুকু, পলক ও সৈকতের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। প্রত্যেককে মাথায় হেলমেট পরিয়ে, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এই আসামিদের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনায় এবং তাদের নির্দেশে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এদেরকে কারা নির্দেশনা দিয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য কি এবং এদের সহযোগী অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

গত ১৯ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় গুলিতে নিহত হন রিকশা চালক কামাল মিয়া। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করে ২০ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩৬)।

মামলার এজহারে বাদী উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী কামাল মিয়া (৩৯) পেশায় একজন রিকশাচালক। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন, তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পল্টন মডেল থানার বটতলা গলির মুখে পড়ে আছেন। তখন বাদী ও তার মেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী এজাহারে আরও বলেন, ঘটনাস্থলের স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, ওই স্থানে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করে আগুন দেয় এবং বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। তখন কাকরাইল থেকে পল্টন থানায় আসার পথে একজন পুলিশকে দুষ্কৃতকারীরা আটক করে মারধর করে।

তার কাছে থাকা সরকারি পিস্তল ও গুলি, ওয়ারলেস সেট, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ নিয়ে যায় এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। তখন পল্টন থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মাঝে পড়ে যান রিকশাচালক কামাল মিয়া। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে আহত হন কামাল মিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত