নিম্নমানের বীজের বিষয়ে এখনো অনেক অভিযোগ আসে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বীজ নিয়ে এখনো কিছু কোম্পানির প্রতারণা করার প্রবণতা আছে। অনেক সময় কৃষকেরা নিম্নমানের বীজ কিনে প্রতারিত হন। মাঠ থেকে খবর পাই যে চারা অর্ধেক গজায়নি। এতে একদিকে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এ বিষয়ে বীজ অ্যাসোসিয়েশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বীজের মানের বিষয়ে কৃষকের শতভাগ আস্থা অর্জন করতে হবে। এতে বীজ কোম্পানিই উপকৃত হবে বেশি।’ 

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সিড কংগ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

বিদেশ থেকে যেসব নতুন ফসলের বীজ দেশে আসছে, সে বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এসব জাত দেশের জন্য কতটুকু উপযোগী, কোনো রোগব্যাধি বা জীবাণু আছে কি না, কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না—এসব বিষয়ে শক্তভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।’ এ সময় মন্ত্রী কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের মানসম্পন্ন বীজ নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম এ সাত্তার মণ্ডল। তিনি বলেন, ভালো মানের বীজ দেওয়ার ফলে ইতিমধ্যে শতকরা ৮-১০ ভাগ ফলন বেড়েছে। আরও ভালো বীজ দিতে পারলে বছরে ধানের উৎপাদন ২১ লাখ টন বাড়ানো সম্ভব হবে।

আয়োজকেরা জানিয়েছে, সিড কংগ্রেস ২০২৩ সালে এক হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, কৃষিবিদ, গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মী, বীজ ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, বীজ ডিলার, কৃষক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি, সরকারি, বেসরকারি ৬০টি স্টল ও ১৩টি প্যাভিলিয়ন নিয়ে এই বীজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জ্যান বেলি, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সিড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মনিশ প্যাটেল, ইন্টারন্যাশনাল সিড ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি মাইকেল কেলার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা।