দেশের ইতিহাসের প্রতিটি পরতে ঢাবির অবদান: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৩: ০৫
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৩৯

বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পরতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবদান বেশি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশের সব উন্নয়নেও সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ঢাবি। তাই সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা: এ প্যারাগন অব উইমেন লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন-বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ রোববার এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাবির নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পরতে ঢাবির অবদান দেখি। দেশের সব উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ঢাবি। তাই সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।’

দেশের প্রতিটি সংগ্রামে ঢাবির অবদান রয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ঢাবি। স্বাধীনতা-পরবর্তী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধেও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

 ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রাম করে যখন গণতন্ত্র আনি, তখনো ক্ষমতায় আসলো…ক্ষমতা কিন্তু সেনানিবাসেই ছিল। জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি (১৯৯৬ সাল) ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেকে ঘোষণা দিলেন দ্বিতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। তখন যে ভোট চুরির প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছিল, সেটাও কিন্তু ঢাবি থেকে শুরু হয়েছিল।’

১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ আন্দোলনের মুখে মাত্র দেড় মাস ক্ষমতায় থেকে ভোট চুরির দায় নিয়ে খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয় বলেও জানান তিনি। 

 ২০০৭ সালের এক-এগারোর সরকার তিন মাসের জন্য সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেও পরে ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতি। তখনো প্রতিবাদ করে ঢাবি এবং নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম শুরু করে।

ঢাবিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের যাঁরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছিলেন, সবাই ঢাবির শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

মা ফজিলাতুন্নেছার সঙ্গে নিজের বয়সের ব্যবধান ছিল মাত্র ১৬ বছর বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই জন্য মায়ের সঙ্গে অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই আমার ছিল।’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত