নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রস্তাবিত শ্রম আইন নিয়ে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত সংশোধিত শ্রম আইনে, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা অনুযায়ী সমর্থনসংক্রান্ত স্বাক্ষরের হার কম-বেশি করে একাধিক ভাগে ভাগ করা ছিল। সেখানে তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন বাধ্যতামূলক ছিল। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এখন সব ধরনের কারখানার ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাঁদের সমর্থন থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশের হার (শ্রমিকের সমর্থন), শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার বেশি শ্রমিক আছে, সেগুলোতে। এখন এটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সব শ্রমিকদের ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ কাজ করবে (সমর্থন লাগবে)।’
‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পাস হলেও তাতে ভুল থাকায় গত বছরের ২০ নভেম্বর সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত বছর ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ বিষয়ে বার্তাসহ বুলেটিন প্রকাশ করে।
আইনমন্ত্রী তখন জানান, ওই বিলটি ভুল থাকায় নতুন সংসদে উপস্থাপন করা হবে ও তা সংশোধন করা হবে। তবে আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী যে কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সেটি চলতি অধিবেশনে নাও উঠতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি সংসদের চলতি অধিবেশনে পাস করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনে সেটা হচ্ছে না। কারণ, আইএলও অনেক পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না- বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে এটার ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। এবং কিছু কিছু বিষয় আছে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। এ জন্য দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে এই মিটিংটা আবারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইএলওর উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসিলিটেশন মিটিং হবে। যেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে।’
আইএলও শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে আনিসুল হক জানান।
তিনি আরও বলেন, আইএলওর প্রতিনিধিরা সংজ্ঞার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু বিষয়ে একমত হননি আইনমন্ত্রী।
আজকে তারা কি পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মূল সাজেশন হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে... তারা বলছেন, ম্যানেজার ও সুপারভাইজার স্টাফদেরকে ওয়ার্কার বলা। একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে ওয়ার্কার বলতে হবে। আমি সেটা নাকচ করে দিয়ে বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে তাঁদেরকে ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে। আমরাও চাই না।’
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আগে কথা ছিল, তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে শ্রমিক যেসব কারখানায় আছে, তাদের শুধু ১৫ জন্য শতাংশ হবে। এখন সেটাও তুলে দেওয়া হচ্ছে, সব কারখানার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ লাগবে।
বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রস্তাবিত শ্রম আইন নিয়ে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত সংশোধিত শ্রম আইনে, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা অনুযায়ী সমর্থনসংক্রান্ত স্বাক্ষরের হার কম-বেশি করে একাধিক ভাগে ভাগ করা ছিল। সেখানে তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন বাধ্যতামূলক ছিল। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এখন সব ধরনের কারখানার ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাঁদের সমর্থন থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশের হার (শ্রমিকের সমর্থন), শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার বেশি শ্রমিক আছে, সেগুলোতে। এখন এটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সব শ্রমিকদের ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ কাজ করবে (সমর্থন লাগবে)।’
‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পাস হলেও তাতে ভুল থাকায় গত বছরের ২০ নভেম্বর সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত বছর ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ বিষয়ে বার্তাসহ বুলেটিন প্রকাশ করে।
আইনমন্ত্রী তখন জানান, ওই বিলটি ভুল থাকায় নতুন সংসদে উপস্থাপন করা হবে ও তা সংশোধন করা হবে। তবে আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী যে কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সেটি চলতি অধিবেশনে নাও উঠতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি সংসদের চলতি অধিবেশনে পাস করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনে সেটা হচ্ছে না। কারণ, আইএলও অনেক পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না- বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে এটার ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। এবং কিছু কিছু বিষয় আছে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। এ জন্য দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে এই মিটিংটা আবারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইএলওর উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসিলিটেশন মিটিং হবে। যেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে।’
আইএলও শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে আনিসুল হক জানান।
তিনি আরও বলেন, আইএলওর প্রতিনিধিরা সংজ্ঞার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু বিষয়ে একমত হননি আইনমন্ত্রী।
আজকে তারা কি পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মূল সাজেশন হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে... তারা বলছেন, ম্যানেজার ও সুপারভাইজার স্টাফদেরকে ওয়ার্কার বলা। একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে ওয়ার্কার বলতে হবে। আমি সেটা নাকচ করে দিয়ে বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে তাঁদেরকে ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে। আমরাও চাই না।’
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আগে কথা ছিল, তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে শ্রমিক যেসব কারখানায় আছে, তাদের শুধু ১৫ জন্য শতাংশ হবে। এখন সেটাও তুলে দেওয়া হচ্ছে, সব কারখানার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ লাগবে।
নবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ আলী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
১৩ ঘণ্টা আগে