নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার রায় পরিবর্তনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি মামলা খারিজ করে দেন।
সকালে অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে গ্রহণযোগ্য উপাদান না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান মামলা খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, মামলার অভিযুক্ত খায়রুল হক বাংলাদেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ১ অক্টোবর নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
বাদী জানান, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যোগ করা হয়েছিল। এর পর থেকে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়ে পরবর্তী সরকার গঠিত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন রিট আবেদন করেন। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ বলে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী পক্ষই আপিল বিভাগে আপিল করেন। তবে এম সলিম উল্লাহ অসুস্থতার কারণে মারা যাওয়ায় আব্দুল মান্নান খান নামের আরেকজন আইনজীবী রিট আবেদনটিকে এগিয়ে নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় পরে ২০১০ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে এর শুনানি শুরু হয়। আপিল আবেদনকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শীর্ষস্থানীয় আটজন আইনজীবী বক্তব্য দিয়েছেন। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম ও রোকনউদ্দিন মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, অ্যামিকাস কিউরিদের বক্তব্য আমলে না নিয়ে বিচারপতি খায়রুল হক তড়িঘড়ি করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেন। পরে ছয় বিচারপতির মধ্যে তিন বিচারপতি অ্যামিকাস কিউরিদের সঙ্গে একমত হন এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী কোনো সংকট তৈরি করেনি বলে মত দেন। কিন্তু অপর তিন বিচারপতি ভিন্ন মত তুলে ধরলে মামলার ফলাফল টাই হয়। তাই প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ বি এম খায়রুল হকের হাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল এবং তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেন। কিন্তু রায়ের ব্যাপারে জনমনে অসন্তুষ্টি দেখা দেওয়ায় তিনি আর স্বাক্ষর প্রদান করেননি এবং নথি নিজ জিম্মায় বাসায় নিয়ে রাখেন—যা বেআইনি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এ বি এম খাইরুল হক নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতারণা ও জাল–জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় দিয়েছেন।
প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার রায় পরিবর্তনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি মামলা খারিজ করে দেন।
সকালে অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে গ্রহণযোগ্য উপাদান না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান মামলা খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, মামলার অভিযুক্ত খায়রুল হক বাংলাদেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ১ অক্টোবর নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
বাদী জানান, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যোগ করা হয়েছিল। এর পর থেকে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়ে পরবর্তী সরকার গঠিত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন রিট আবেদন করেন। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ বলে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী পক্ষই আপিল বিভাগে আপিল করেন। তবে এম সলিম উল্লাহ অসুস্থতার কারণে মারা যাওয়ায় আব্দুল মান্নান খান নামের আরেকজন আইনজীবী রিট আবেদনটিকে এগিয়ে নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় পরে ২০১০ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে এর শুনানি শুরু হয়। আপিল আবেদনকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শীর্ষস্থানীয় আটজন আইনজীবী বক্তব্য দিয়েছেন। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম ও রোকনউদ্দিন মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, অ্যামিকাস কিউরিদের বক্তব্য আমলে না নিয়ে বিচারপতি খায়রুল হক তড়িঘড়ি করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেন। পরে ছয় বিচারপতির মধ্যে তিন বিচারপতি অ্যামিকাস কিউরিদের সঙ্গে একমত হন এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী কোনো সংকট তৈরি করেনি বলে মত দেন। কিন্তু অপর তিন বিচারপতি ভিন্ন মত তুলে ধরলে মামলার ফলাফল টাই হয়। তাই প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ বি এম খায়রুল হকের হাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল এবং তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেন। কিন্তু রায়ের ব্যাপারে জনমনে অসন্তুষ্টি দেখা দেওয়ায় তিনি আর স্বাক্ষর প্রদান করেননি এবং নথি নিজ জিম্মায় বাসায় নিয়ে রাখেন—যা বেআইনি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এ বি এম খাইরুল হক নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতারণা ও জাল–জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় দিয়েছেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৮ ঘণ্টা আগে