নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার ‘অনন্ত দুর্দশা: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অভিযুক্তদের অবস্থা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে অভিযুক্ত ১ হাজার ৪৮৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়— রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকেরাই এই আইনে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৪৬৪ জন (৩১.২২ %), সাংবাদিক ৪৪২ জন (২৯.৭৪ %), শিক্ষার্থী ১৩৫ জন (৯.০৮ %) ও শিক্ষক ৫৯ জন (৩.৯৭ %)। পেশা অনুযায়ী মোট গ্রেপ্তার ৫৬৩ জন। এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ১৪১ জন, সাংবাদিক ৯৫ জন, শিক্ষার্থী ১০০ জন, শিক্ষক ৪২ জন (মাদ্রাসার শিক্ষক ১৭ জন)।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ৭ হাজার ১টি। তবে সিজিএসের গবেষণায় অক্টোবর ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দায়েরকৃত ১ হাজার ৪১০টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ সব মামলার তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায়—প্রতিটি মামলায় গড় আসামি ৩ দশমিক ১২ জন। তাহলে ৭ হাজার ১টি মামলার মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় অন্তত ২১ হাজার ৮৬৭ জন। প্রতিটি মামলায় গড়ে ১ দশমিক ০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মোট হিসেব দাঁড়ায় কমপক্ষে ৭ হাজার ৫৪২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে অভিযোগকারী ৮৪৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়—অভিযোগকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৩৩৩ জন (২৫৯ জন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট), আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ২৫২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে প্রধানমন্ত্রীর মানহানির জন্য মামলা হয়েছে ১৯০টি, যার মধ্যে অভিযুক্তের সংখ্যা ৪৬৪ জন, গ্রেপ্তার হয়েছে ১৬১ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ৩১টি মামলা করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক কর্তৃক মামলা হয় ১৫৯টি।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে নতুনভাবে এসেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এটা আমাদের বন্দী করে ফেলছে। বাংলাদেশ এখন শৃঙ্খলিত বাংলাদেশ। ৭ তারিখে নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের পর কর্তৃত্ববাদী সরকারের দরকার এ রকম একটা আইন যার মাধ্যমে সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি সম্প্রসারণ করা সম্ভব।’
আলোচক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইনগুলো সামগ্রিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আইনের কাজ ৷ সরকারকে রক্ষা করার অথবা সরকারি দলকে রক্ষা করার কোনো আইন মানুষের উপকারে আসে না। গণতান্ত্রিক দেশে সার্বভৌম দেশে এমন আইন চলতে পারে না।
আলোচকেরা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাইবার সুরক্ষা আইন নামে নতুনভাবে এসেছে। দুটোর মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেহেতু বাতিল হয়েছে তাই এই আইনে অভিযুক্ত সবাইকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, যে আইন দেশে নেই, সেই আইনের অধীনে মামলা কীভাবে চলে। এই মামলা থেকে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। আইনে আছে, রাজনৈতিক নেতার সমালোচনা করা যাবে না। দেবতার যদি সমালোচনা করা যায়, ধর্মবিশ্বাসের যদি বিরোধিতা করা যায়, তাহলে রাজনৈতিক নেতার কেন সমালোচনা করা যাবে না।
ওয়েবিনারে ডিএসএ মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা, মামলাগুলোর তথ্য জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করা, সব মামলার সত্যতা খুঁজে বের করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন, যারা অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত, বিচার ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার ‘অনন্ত দুর্দশা: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অভিযুক্তদের অবস্থা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে অভিযুক্ত ১ হাজার ৪৮৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়— রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকেরাই এই আইনে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৪৬৪ জন (৩১.২২ %), সাংবাদিক ৪৪২ জন (২৯.৭৪ %), শিক্ষার্থী ১৩৫ জন (৯.০৮ %) ও শিক্ষক ৫৯ জন (৩.৯৭ %)। পেশা অনুযায়ী মোট গ্রেপ্তার ৫৬৩ জন। এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ১৪১ জন, সাংবাদিক ৯৫ জন, শিক্ষার্থী ১০০ জন, শিক্ষক ৪২ জন (মাদ্রাসার শিক্ষক ১৭ জন)।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ৭ হাজার ১টি। তবে সিজিএসের গবেষণায় অক্টোবর ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দায়েরকৃত ১ হাজার ৪১০টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ সব মামলার তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায়—প্রতিটি মামলায় গড় আসামি ৩ দশমিক ১২ জন। তাহলে ৭ হাজার ১টি মামলার মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় অন্তত ২১ হাজার ৮৬৭ জন। প্রতিটি মামলায় গড়ে ১ দশমিক ০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মোট হিসেব দাঁড়ায় কমপক্ষে ৭ হাজার ৫৪২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে অভিযোগকারী ৮৪৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়—অভিযোগকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৩৩৩ জন (২৫৯ জন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট), আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ২৫২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে প্রধানমন্ত্রীর মানহানির জন্য মামলা হয়েছে ১৯০টি, যার মধ্যে অভিযুক্তের সংখ্যা ৪৬৪ জন, গ্রেপ্তার হয়েছে ১৬১ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ৩১টি মামলা করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক কর্তৃক মামলা হয় ১৫৯টি।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে নতুনভাবে এসেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এটা আমাদের বন্দী করে ফেলছে। বাংলাদেশ এখন শৃঙ্খলিত বাংলাদেশ। ৭ তারিখে নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের পর কর্তৃত্ববাদী সরকারের দরকার এ রকম একটা আইন যার মাধ্যমে সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি সম্প্রসারণ করা সম্ভব।’
আলোচক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইনগুলো সামগ্রিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আইনের কাজ ৷ সরকারকে রক্ষা করার অথবা সরকারি দলকে রক্ষা করার কোনো আইন মানুষের উপকারে আসে না। গণতান্ত্রিক দেশে সার্বভৌম দেশে এমন আইন চলতে পারে না।
আলোচকেরা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাইবার সুরক্ষা আইন নামে নতুনভাবে এসেছে। দুটোর মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেহেতু বাতিল হয়েছে তাই এই আইনে অভিযুক্ত সবাইকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, যে আইন দেশে নেই, সেই আইনের অধীনে মামলা কীভাবে চলে। এই মামলা থেকে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। আইনে আছে, রাজনৈতিক নেতার সমালোচনা করা যাবে না। দেবতার যদি সমালোচনা করা যায়, ধর্মবিশ্বাসের যদি বিরোধিতা করা যায়, তাহলে রাজনৈতিক নেতার কেন সমালোচনা করা যাবে না।
ওয়েবিনারে ডিএসএ মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা, মামলাগুলোর তথ্য জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করা, সব মামলার সত্যতা খুঁজে বের করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন, যারা অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত, বিচার ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার এই আবেদন করা হয়। আজ সোমবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মোহাম্মদ আজমি।
১০ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
৯ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৯ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
১০ ঘণ্টা আগে