বার ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্নার প্রতিবাদে দুই সংগঠনের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২১, ১৮: ১২

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্নার প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা পরিষদ। গত ৩০ মে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বরাবার এ সংক্রান্ত চিঠি দেন প্রতিবাদকারীরা।

আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস ও সম্পাদক অনুপ কুমার সাহা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা পরিষদের আহ্বায়ক জয়া ভট্টাচার্য ও সদস্য মিন্টু চন্দ্র দাস চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি, গত ২৯ মে সুপ্রিম কোর্ট বার ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্না করা হয় এবং সেদিন রাতে পরিবেশন করা হয়। এরপর ৩০ মে সকালেও গরুর মাংস রান্না হয়।

চিঠিতে তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ঐতিহ্যগতভাবেই সৃষ্টিলগ্ন থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কখনো গরুর মাংস রান্না ও পরিবেশন করা হয়নি। হঠাৎ এই ধরনের তৎপরতায় আমরা বিস্মিত ও হতবাক। আমরা এই তৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ করছি। দীর্ঘদিনের লালিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্ট বার ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্না ও পরিবেশনে বিরত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটিকে অনুরোধ করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের জানা মতে সুপ্রিম কোর্ট বার ক্যান্টিনে আগে কোনো দিন গরুর মাংস রান্না হয়নি। যে কারণে আমরা একটু উদ্বিগ্ন হয়েছি। এটা যদি চলতে থাকে, তাহলে যে অবস্থা ছিল তার পরিবর্তন হয়ে যায়। যেহেতু কোনো দিন এটা চলে নাই। সেই জন্য আমরা জিনিসটা কর্তৃপক্ষের সামনে নিয়ে আসছি। এখন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন। তারা কী করবেন, না করবেন।

তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনাতো হতেই পারে। কারণ এটা একদিকে একটা সেন্টিমেন্টাল প্রশ্ন আছে। আরেকদিকে একটা ঐতিহ্য, যা এখন ব্রেকডাউন হচ্ছে।’

বিষয়টি জানতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে তিনবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। পরে খুদেবার্তা পাঠালেও জবাব দেননি।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের এখানে কখনো গরুর মাংস রান্না হয় নাই। এটা কেন যে করল বুঝলাম না। আমার ৩৫ বছর ধরে ওকালতি করি, কখনোই দেখি নাই। দেখি এটা নিয়ে কী করা যায়। আমরা কথা বলব।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত